রোহিতরা কি খেলতে খেলতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন? ফাইল ছবি
ভারত বনাম বাংলাদেশ ম্যাচের পর শাহিদ আফ্রিদি হঠাৎই অভিযোগ করেছিলেন, ভারতকে আইসিসি অন্যায্য সুবিধা দিচ্ছে। সেই অভিযোগের পাল্টা দিয়েছিলেন নতুন সভাপতি রজার বিন্নী। জানিয়েছিলেন, ভারত ক্রিকেটবিশ্বে বড় শক্তি হলেও আইসিসি তাদের বাকি দেশগুলির মতোই দেখে। শনিবার রবিচন্দ্রন অশ্বিনও সেই কথাই আওড়ে গেলেন। উদাহরণ দিয়ে তিনি বোঝালেন, কেন তারা বিশেষ সুবিধা পাচ্ছেন না। বাকি দলগুলির থেকে বেশি পরিশ্রম ভারতের হচ্ছে। এতটাই খারাপ অবস্থা যে ভ্রমণ করতে করতে রোহিতদের জুতোর সুখতলা খসে যাচ্ছে।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলা হচ্ছে অস্ট্রেলিয়ার মতো বিরাট একটি দেশে। সেখানে পৌঁছনোর পর থেকে দৌড়েই চলেছে রোহিত শর্মার ভারত। অন্য দলগুলি যেখানে একই মাঠে পর পর দু’টি ম্যাচ খেলার সুযোগ পাচ্ছে, সেখানে ভারতকে প্রতি ম্যাচেই অন্যত্র ছুটতে হচ্ছে। দীর্ঘ এই ধকলে কি ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন রোহিত শর্মারা?
বাণিজ্যিক কারণেই আইসিসির এই সিদ্ধান্ত। অস্ট্রেলিয়ার প্রায় সব বড় শহরেই ভারতীয়রা রয়েছেন। ফলে এক জায়গায় ম্যাচ দিলে ভিড় সমান না-ও হতে পারে। সেখানে বিভিন্ন কেন্দ্রে খেলায় প্রতি ম্যাচেই ভিড় হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার পূর্ব প্রান্ত সিডনিতে ম্যাচ খেলেই ভারতকে পাঁচ ঘণ্টার উড়ানে পাড়ি দিতে হয়েছে পশ্চিম প্রান্ত পার্থে, যেখানে টাইম জ়োন আলাদা। এখনও পর্যন্ত ভারত মেলবোর্ন, সিডনি, পার্থ, অ্যাডিলেডে খেলার পর আবার ফিরেছে মেলবোর্নে।
জ়িম্বাবোয়ে ম্যাচের আগে শনিবার এ নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল অশ্বিনকে। তিনি বললেন, “অনেক দল একই শহরে একটু বেশি দিন থাকার সুযোগ পেয়েছে। ভারতের কাছে সেই সুযোগ ছিল না। তবে আমার মতে, কোনও সমস্যা হয়নি। গোটা দেশে অনেক ভারতীয় রয়েছেন। প্রত্যেকেই আমাদের খেলা দেখতে চান। তাই ব্যাপারটা বুঝতে পারি।”
আফ্রিদির বক্তব্যের বিরোধিতা করে নতুন বোর্ড সভাপতি রজার বিন্নী পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন, ভারতকে জামাইআদর করছে আইসিসি, এ রকম ভাবার কোনও কারণ নেই। তিনি বলেছেন, ‘‘যা বলা হচ্ছে একেবারেই ঠিক নয়। আমাদের কোনও রকম বাড়তি সুবিধা দিচ্ছে না আইসিসি। আমরা বাকি দলগুলোর থেকে বাড়তি কী পাচ্ছি? এটা ঘটনা, বিশ্বক্রিকেটে ভারত একটা বড় শক্তি। কিন্তু তার জন্য আমাদের আলাদা কোনও সুবিধা দেওয়া হয় না। সব দলকেই আইসিসি সমান চোখে দেখে।’’ অশ্বিনের কথাতেও সেটাই প্রমাণিত।
আরও একটি বিষয় উঠে এসেছে অশ্বিনের কথায়। এর আগে ভারত কোনও দিন অস্ট্রেলিয়ায় শীতকালে খেলেনি। বরাবর বছরের শেষ দিকে সফর করেছে তারা, যখন ভালই গরম পড়ে গিয়েছে। শীতে ওই ঠান্ডার মধ্যে খেলার কারণে কি কোনও অসুবিধা হচ্ছে? অশ্বিন বলেছেন, “আমাদের অসুবিধা হচ্ছে এটা বললে অন্যায় হবে। যে কোনও খেলাতেই পরিবেশ খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়। সেটার সঙ্গে সবার আগে মানিয়ে নিতে হবে। তাই আপনার সামনে যে পরিবেশ রয়েছে সেখানেই খেলতে হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy