টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অনবদ্য ছন্দে কোহলি। ছবি: এএফপি
প্রত্যাশা মতোই নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে সহজ জয় পেল ভারত। ভারতের ২ উইকেটে ১৭৯ রানের জবাবে নেদারল্যান্ডস করল ৯ উইকেটে ১২৩ রান। বিরাট কোহলির দাপটে পর পর দুই ম্যাচ জিতে গ্রুপে সুবিধাজনক জায়গায় থাকল রোহিত শর্মার দল।
সিডনির একই উইকেটে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর পর দু’ম্যাচ। বাংলাদেশ-দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচের পর ভারতের ম্যাচের প্রথম থেকেই মন্থর হয়ে যায় ২২ গজ। ফলে ২০ ওভারের ক্রিকেটের প্রত্যাশিত ছন্দে শুরু করতে পারেননি রোহিত, লোকেশ রাহুলরা। তার উপর রাহুল আউট হলেন ৯ রানে। ভারতীয় দলের সহ-অধিনায়ক অবশ্য আউট ছিলেন না। আম্পায়ার আউট দিলেও অধিনায়ক রোহিতের পরামর্শে রিভিউ না নিয়েই সাজঘরে ফিরে যান রাহুল। পরে দেখা যায় বল লেগ স্টাম্পের বাইরে ছিল।
ভারতীয় ইনিংসের প্রথম কয়েক ওভার তেমন রান ওঠেনি। আট-নয় ওভার থেকে হাত খুলতে শুরু করেন ভারতীয় ব্যাটাররা। মন্থর উইকেটের সুবিধা কাজে লাগাতে পারলেন না নেদারল্যান্ডসের বোলাররা। রোহিত, কোহলিরা চেনা মেজাজে ব্যাট করলেন। তাঁরা দু’জন ছাড়াও অর্ধশতরান এল সূর্যকুমার যাদবের ব্যাট থেকেও। রোহিত করলেন ৩৯ বলে ৫৩ রান। তাঁর ইনিংসে রয়েছে চারটি বাউন্ডারি এবং তিনটি ওভার বাউন্ডারি। মেলবোর্নে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যে মেজাজে ছিলেন, সিডনিতে নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধেও সেই মেজাজে দেখা গেল প্রাক্তন অধিনায়ককে। এই ম্যাচেও শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকলেন কোহলি। ৪৪ বলে ৬২ রানের ইনিংস খেলার পথে মারলেন তিনটি চার এবং দু’টি ছক্কা। প্রতিপক্ষ তুলনায় দুর্বল হলেও কোহলির চোখে-মুখে ছিল চেনা সংকল্পের ছাপ। রোহিত আউট হওয়ার পর চার নম্বরে ব্যাট করতে নামেন সূর্যকুমার যাদব। প্রত্যাশা মতো প্রথম থেকেই আগ্রাসী মেজাজে ব্যাট করলেন সূর্যকুমার। তিনি নামার পর বেশ খানিকটা বাড়ল ভারতের রান তোলার গতিও। সূর্যকুমারও শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকলেন ২৫ বলে ৫১ রানের ইনিংস খেলে। সাতটি চার এবং একটি ছয় দিয়ে সাজালেন নিজের ইনিংস।
ভারতীয় ব্যাটারদের বিরুদ্ধে নেদারল্যান্ডসের বোলারদের কেউই তেমন সুবিধা করতে পারলেন না। নেদারল্যান্ডসের সফলতম বোলার পল ভ্যান মিকিরেন ৩২ রানে ১ উইকেট নিলেন। ফ্রেড ক্লাসেন ১ উইকেট পেলেন ৩৩ রান দিয়ে।
জয়ের জন্য ১৮০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে সাধ্য মতো লড়াই করল স্কট এডওয়ার্ডসের দল। সেই সাধ্যে অবশ্য তাঁদের ভারতকে হারানোর সাধ পূর্ণ হল না। ভারতীয় বোলিং আক্রমণের সামনে নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারাল নেদারল্যান্ডস। ম্যাক্স ও’ডাউড (১০ বলে ১৬), বাস ডি লিড (২৩ বলে ১৬), কলিন অ্যাকারম্যানরা (২১ বলে ১৭) লড়াই করার চেষ্টা করলেও লাভ হয়নি। অক্ষর পটেল, রবিচন্দ্রন অশ্বিনের স্পিন পড়তে না পেরেই উইকেট দিলেন নেদারল্যান্ডসের অধিকাংশ ব্যাটার। অধিনায়ক স্কট এডওয়ার্ডসও পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিতে পারলেন না ভারতীয় শিবিরে। তিনি করলেন ৫ রান। যদিও টিম প্রিঙ্গল আগ্রাসী মেজাজে ১৫ বলে ২০ রান করলেন একটি চার এবং একটি ছয়ের সাহায্যে। শেষে পল ভ্যান মিকিরেন অপরাজিত থাকলেন ৬ বলে ১৪ রান করে।
ভারতের সফলতম বোলার ভুবনেশ্বর কুমার ২ উইকেট নিলেন মাত্র ৯ রান খরচ করে। ১৮ রান দিয়ে ২ উইকেট অক্ষরের। অশ্বিনও ২ উইকেট নিলেন ২১ রানে। ২ উইকেট পেলেন আরশদীপও। বাঁহাতি জোরে বোলার অবশ্য খরচ করলেন ৩৭ রান। ২৭ রান দিয়ে ১ উইকেট পেলেন মহম্মদ শামি। তবে তুলনামুলক দুর্বল নেদারল্যান্ডসের ১০ উইকেট তুলতে পারলেন না ভারতীয় বোলাররা।
‘অভুক্ত’ রোহিত শর্মারাও যে কতটা ভয়ঙ্কর, তা টের পেল নেদারল্যান্ডস। গত মঙ্গলবার অনুশীলনের পর খাবার ‘অযোগ্য’ এবং ‘অপর্যাপ্ত’ মধ্যহ্নভোজের ব্যবস্থা করা হয়েছিল সিডনির আয়োজকদের পক্ষে। না খেয়েই মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন রোহিত, কোহলিরা। তাতেও যে ভারতকে দমানো যায় না, তা মাঠে নেমে প্রমাণ করে দিলেন ভারতীয় দলের ক্রিকেটাররা।
তুলনায় দুর্বল প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধেও কোনও পরীক্ষা নিরীক্ষার পথে যায়নি ভারতীয় দল। পাকিস্তান ম্যাচের প্রথম একাদশে কোনও পরিবর্তন করেনি। উইনিং কম্বিনেশন ভাঙতে চাননি রাহুল দ্রাবিড়রা। ভারতের পরের ম্যাচ ৩০ অক্টোবর দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy