ম্যাচের পর কার উপর তীব্র ক্ষুব্ধ হয়ে পড়লেন শাকিব আল হাসান। ফাইল ছবি
শেষ ওভারে রুদ্ধশ্বাস উত্তেজনা। উইকেটকিপার নুরুল হাসান সোহনের একটা ভুলে ম্যাচ শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও আবার মাঠে ফিরতে হল বাংলাদেশকে। বল উইকেট পেরনোর আগেই নুরুল তা ধরে ফেলেছিলেন। আম্পায়ার ‘নো বল’ ডাকেন। ফলে আবার মাঠে ফিরতে হয় দুই দলকে। ম্যাচের পর নুরুলের প্রতি তীব্র ক্ষুব্ধ শাকিব আল হাসান। বাংলাদেশের অধিনায়কের দাবি, বার বার নুরুলকে সতর্ক করা সত্ত্বেও তিনি শেষ বলে সেই ভুলটাই করেছেন। কোনও রকমে জিতলেও ম্যাচটা বাংলাদেশের হাত থেকে বেরিয়ে যেতেই পারত।
ম্যাচের পর শাকিব বলেছেন, “শেষ বলের আগের বলটাতেই সোহনকে দেখেছিলাম বল ধরার সময় উইকেটের অনেক আগে এগিয়ে এসে দাঁড়িয়ে রয়েছে। আমি ওকে তখনই সাবধান করে দিই। তা সত্ত্বেও যে ভুলটা চাইছিলাম না সেটাই হল।” জিতে গিয়ে অবশ্য শাকিবের মুখে হাসি। মুখ দেখে বোঝাই যাচ্ছিল, কাঁধ থেকে বিরাট বোঝা নেমে গিয়েছে।
শেষের দিকের ওভারে জোরে বোলারদের আগেই ব্যবহার করে ফেলেছিলেন শাকিব। শেষ ওভারের জন্যে রেখে দিয়েছিলেন স্পিনার মোসাদ্দেক হোসেনকে। সেই ওভারেই ম্যাচ বেরিয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়। আগে জোরে বোলারদের দিয়ে বল করানো কি তাঁর পরিকল্পনার মধ্যে ছিল? শাকিবের উত্তর, “হ্যাঁ, আমরা জানতাম ওদের সাত জন ব্যাটার রয়েছে। তাই ওই সময় আমাদের উইকেট নেওয়ার দরকার ছিল। পেসাররা দারুণ বোলিং করছিল। তাই ওদের আগেই নিয়ে আসি।”
জয়ের জন্য শেষ বলে জ়িম্বাবোয়ের দরকার ছিল ৫ রান। সেই বলেই স্টাম্পড আউট হয়ে গেলেন রিচার্ড গাভারা। ৪ রানে ম্যাচ জিতে উচ্ছ্বাসে মাতলেন শাকিব আল হাসানরা। ব্যাটিং বিপর্যয়ের ধাক্কা সামলে আশা জাগিয়েও জিততে না পেরে হতাশায় মাঠ ছাড়লেন জ়িম্বাবোয়ের ক্রিকেটাররা। মাঠ থেকে বেরিয়ে গিয়েছেন দুই আম্পায়ারও। শুধু তাই নয়, খেলা শেষে মাঠের পরিচর্যা করতে নেমে পড়েছেন মাঠকর্মীরাও। নাটকের শুরু এর পরেই।
তৃতীয় আম্পায়ার জানালেন খেলা শেষ হয়নি। আরও অন্তত একটি বল খেলতেই হবে দু’দেশকে। সে কী কথা! কেন? তৃতীয় আম্পায়ার জানালেন শেষ বল ‘নো’ হয়েছে। দোষ বোলার মোসাদ্দেক হোসেনের নয়। ভুল করেছেন উইকেটরক্ষক নুরুল হাসান। গাভারাকে দ্রুততার সঙ্গে স্টাম্প আউট করতে গিয়েই বিপত্তি ঘটিয়েছেন তিনি। বল উইকেট পর্যন্ত পৌঁছনোর আগেই তালুবন্দি করেছেন তিনি। অর্থাৎ, স্টাম্পের সামনে থেকে বল সংগ্রহ করেছেন উইকেটরক্ষক নুরুল। সে কারণেই ‘নো’ বল।
তৃতীয় আম্পায়ারের নির্দেশে চার মিনিট পর মাঠে নামতে হল দু’দলের ক্রিকেটারদের। দুই ফিল্ড আম্পায়ারকে। এবং মাঠ ছাড়তে হল মাঠকর্মীদের। নুরুলের একটা ছোট্ট ভুলই রক্তচাপ বাড়িয়ে দিল শাকিবদের। কারণ জয়ের জন্য জ়িম্বাবোয়ের লক্ষ্য দাঁড়াল ১ বলে ৪ রান। সেই বল আবার ফ্রি হিট। এমন পরিস্থিতিতে যে কোনও ব্যাটারই বেপরোয়ার হবেন। পাল্টা চাল দিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। সব ফিল্ডারকে পাঠিয়ে দিলেন বাউন্ডারি লাইনে। ১,২ রান দিতে তিনি রাজি। কিন্তু বাউন্ডারি যেন না হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy