বিরাটের ভুয়ো ফিল্ডিং নিয়ে কথা বললেন শ্রীরাম। ফাইল ছবি
ভারত বনাম বাংলাদেশ ম্যাচের পর থেকেই বিরাট কোহলির ভুয়ো ফিল্ডিং নিয়ে উত্তাল হয়ে উঠেছে ক্রিকেটবিশ্ব। কোহলির এই কাজ করা উচিত হয়েছে কি না, তা নিয়ে তর্ক-বিতর্ক চলছেই। বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা হারের পিছনে সরাসরি কোহলিকেই দায়ী করেছেন। তবে সেই বিষয়কে একেবারেই পাত্তা দিতে রাজি হলেন না দলের টেকনিক্যাল বিশেষজ্ঞ শ্রীধরন শ্রীরাম। তাঁর সাফ কথা, ভুয়ো ফিল্ডিংকে কোনও ভাবেই হারের অজুহাত হিসাবে খাড়া করা যাবে না।
রবিবার বাংলাদেশ খেলতে নামবে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে। তার আগে সাংবাদিক বৈঠকে শ্রীরাম বলেছেন, “আমরা কোনও অজুহাত দিতে চাই না। ঘটনার পরেই আমি চতুর্থ আম্পায়ারের সঙ্গে কথা বলেছিলাম। তবে আমার মতে, ওটা মাঠে থাকা আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত। সেটাই আমাদের বলা হয়েছে। কিন্তু সেটা নিয়ে অজুহাত দিতে চাই না।”
শ্রীরাম সাফ জানিয়েছেন, ভারতকে তাঁরা এক সময় হারানোর মতো জায়গায় পৌঁছে গিয়েছিলেন, এটাই গোটা দলের কাছে বড় কৃতিত্বের ব্যাপার। ভারতীয় কোচের কথায়, “আমরা ম্যাচ জেতার অনেক কাছাকাছি চলে এসেছিলাম। যদি ম্যাচের আগে কেউ বলত যে ভারতের কাছে পাঁচ রানে হারব তা হলে অনেকেই সেটা বিশ্বাস করে নিত। কিন্তু ম্যাচ চলার সময় আমরা এমন একটা জায়গায় পৌঁছে গিয়েছিলাম যেখানে ভারত হেরেও যেতে পারত। তাই আমার মতে, ওটাই আমাদের সবচেয়ে বড় কৃতিত্ব। ছেলেরা অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী হয়ে গিয়েছে।”
বুধবারের ম্যাচের পর কোহলির বিরুদ্ধে ভুয়ো ফিল্ডিংয়ের অভিযোগ আনেন বাংলাদেশের নুরুল হাসান। বলেন, “আমরা সবাই জানতাম মাঠ ভিজে ছিল। তার মধ্যে ভুয়ো থ্রো করার চেষ্টা করা হয়েছে। প্রত্যেকে ওই ঘটনা দেখেছে। আমাদের পাঁচ রান পাওয়া উচিত ছিল। তা হলে আমাদের দিকে ম্যাচ ঘুরে যেত। দুর্ভাগ্যবশত, সেটা হয়নি।”
বাংলাদেশের ইনিংসের সপ্তম ওভারে ঘটে এই ঘটনা। অক্ষর পটেলের বলে ডিপ অফ-সাইডে বল ঠেলে দিয়ে রান নিতে যান লিটন দাস। কোহলি দাঁড়িয়েছিলেন পয়েন্টে। আরশদীপ বল ছুড়ে ফেরত পাঠানোর সময়েই কোহলি বল কুড়িয়ে ছুড়ে দেওয়ার ভঙ্গি করেন। মাঠের দুই আম্পায়ার মারাইস ইরাসমাস এবং ক্রিস ব্রাউনের নজর এড়িয়ে যায় এই ঘটনা। তৃতীয় আম্পায়ারও আপত্তি করেননি। বাংলাদেশের দুই ব্যাটারের তরফেও কোনও প্রতিবাদ আসেনি।
আইসিসির ৪১.৫ ধারা অনুযায়ী, ব্যাটারকে কোনও ভাবে বাধা দিলে বা বিক্ষিপ্ত করার চেষ্টা করলে আম্পায়াররা ঘটনার গুরুত্ব বুঝে বিপক্ষ দলকে পাঁচ রান শাস্তি হিসাবে দিতে পারেন। এ ক্ষেত্রে মাঠের দুই আম্পায়ার মনে করেননি, কোহলি কোনও অপরাধ করেছেন। তাই শাস্তিও দেওয়া হয়নি।
তবে এই ঘটনা নিয়ে প্রতিবাদ জানাচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। কর্তা জালাল ইউনুস বলেন, “কিছু হলেই যে বোর্ডের মাধ্যমে অভিযোগ করা হবে, ব্যাপারটা এমন নয়। এটা তো স্কুল নয় যে, আপনি গিয়ে হেডমাস্টারের কাছে অভিযোগ করবেন। পরিস্থিতিটা সে রকম না। তবে আমরা যেন সঠিক জায়গায় গিয়ে কথা বলতে পারি, সেটা মাথায় আছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy