অস্ট্রেলিয়ার জয়ের নায়ক স্টোইনিস। —ফাইল চিত্র
দেশের মাটিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রথম জয় পেল অস্ট্রেলিয়া। এর আগে প্রথম ম্যাচে নিউজ়িল্যান্ডের কাছে উড়ে গিয়েছিলেন অ্যারন ফিঞ্চরা। কিন্তু দ্বিতীয় ম্যাচে জয়ে ফিরলেন তাঁরা। পার্থে শ্রীলঙ্কাকে ৭ উইকেটে হারাল অস্ট্রেলিয়া। প্রথমে ব্যাট করে ১৫৭ রান করে শ্রীলঙ্কা। সেই রান তাড়া করে ম্যাচ জিতে যায় অস্ট্রেলিয়া। মার্কাস স্টোইনিস ঝড়ে উড়ে যায় এশিয়া চ্যাম্পিয়নরা।
টসে জিতে শ্রীলঙ্কাকে ব্যাট করতে পাঠান অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক ফিঞ্চ। শুরুটা ভাল হয়নি এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়নদের। রানের মধ্যে থাকা ওপেনার কুশল মেন্ডিসকে দ্বিতীয় ওভারেই সাজঘরে ফেরান প্যাট কামিন্স। দ্বিতীয় উইকেটে জুটি বাঁধেন পাথুম নিশঙ্ক ও ধনঞ্জয় ডি সিলভা। কিন্তু রানের গতি কম ছিল। ২৬ রান করে অ্যাস্টন অ্যাগারের বলে আউট হন ধনঞ্জয়। নিশঙ্ক করেন ৪০ রান।
শ্রীলঙ্কার বাকি ব্যাটারদের মধ্যে একমাত্র চরিথ আশালঙ্কা ছাড়া কেউ রান পাননি। একটা সময় দেখে মনে হচ্ছিল, ১৩০-১৩৫ রানের বেশি হবে না। কিন্তু শেষ দিকে কয়েকটি বড় শট খেলেন আশালঙ্কা। ফলে শ্রীলঙ্কা ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৫৭ রান করে। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে হেজ়লউড, কামিন্স, স্টার্ক, অ্যাগার ও ম্যাক্সওয়েল ১টি করে উইকেট নেন।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে অস্ট্রেলিয়ার শুরুটাও ভাল হয়নি। ডেভিড ওয়ার্নার ও ফিঞ্চকে দেখে বোঝা যাচ্ছিল, ব্যাটের মাঝে বল লাগছে না। পাওয়ার প্লে-র মধ্যেই ১১ রান করে সাজঘরে ফেরেন ওয়ার্নার। ফিঞ্চ আউট না হলেও তাঁর রানের গতি খুব কম ছিল।
বাধ্য হয়ে রানের গতি বাড়াতে বড় শট খেলার চেষ্টা করেন মিচেল মার্শ। কিন্তু ১৭ রান করে তিনিও আউট হয়ে যান। চার নম্বরে নেমে প্রথম বল থেকেই আক্রমণাত্মক ছিলেন ম্যাক্সওয়েল। ওয়ানিন্দু হাসরঙ্গকে এক ওভারে দু’টি চার ও একটি ছক্কা মারেন তিনি। কিন্তু পেসার লাহিরু কুমারার একটি ওভারে সমস্যায় পড়েন ম্যাক্সওয়েল। একটি বল তাঁর গলায় গিয়ে লাগলে মাঠে আসতে হয়ে ফিজিয়োকে। ১২ বলে ২৩ রান করে আউট হয়ে যান ম্যাক্সওয়েল। করুণারত্নের বলে বাউন্ডারিতে তাঁর দুর্দান্ত ক্যাচ ধরেন বান্ডারা।
দেখে মনে হচ্ছিল, ম্যাচ জিততে পারে শ্রীলঙ্কা। কিন্তু তখনও স্টোইনিস ঝড় বাকি ছিল। প্রথম বল থেকে বড় শট খেলা শুরু করেন তিনি। বিশেষ করে শ্রীলঙ্কার স্পিনারদের রেয়াত করেননি তিনি। মাত্র ১৭ বলে অর্ধশতরান করেন তিনি। মারেন চারটি চার ও সমসংখ্যক ছয়। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে টি-টোয়েন্টিতে দ্রুততম অর্ধশতরান করেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ২১ বল বাকি থাকতে ম্যাচ জিতে যায় অস্ট্রেলিয়া। স্টোইনিস ১৮ বলে ৫৯ ও ফিঞ্চ ৪২ বলে ৩১ রান করে অপরাজিত থাকেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy