টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দ্বিতীয় ম্যাচেই হারলেন শাকিবরা। ছবি: টুইটার।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দ্বিতীয় ম্যাচেই হোঁচট খেলেন শাকিব আল হাসানরা। প্রথম ম্যাচে তুলনায় দুর্বল নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে কষ্টার্জিত জয় এলেও, দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ১০৪ রানে হেরে গেলেন শাকিব আল হাসানরা। প্রথমে ব্যাট করে দক্ষিণ আফ্রিকা করল ৫ উইকেটে ২০৫ রান। জবাবে বাংলাদেশের ইনিংস শেষ হল ১৬.৩ ওভারে ১০১ রানেই। রিলি রুসোর ১০৯ রানও টপকাতে পারল না শাকিবের দল।
২০৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ধারাবাহিক ভাবে উইকেট হারালেন শাকিবরা। লিটন দাস ছাড়া কেউই লড়াই করতে পারলেন না। লিটনের ব্যাট থেকে এল ৩১ বলে ৩৪ রান। মারলেন একটি করে চার এবং ছয়। দুই ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্ত (৯) এবং সৌম্য সরকার (১৫) দ্রুত সাজঘরে ফেরেন। সৌম্য অবশ্য শুরুটা ভালই করেছিলেন। দু’টি বিশাল ছক্কাও মারেন। তবু বড় ইনিংস খেলতে পারলেন না। বাংলাদেশের মিডল অর্ডারের কোনও ব্যাটারই পাল্টা লড়াই পৌঁছে দিতে পারলেন না দক্ষিণ আফ্রিকা শিবিরে। দ্রুত সাজঘরে ফিরলেন শাকিব (১) এবং আফিফ হোসেন (১)। লিটন এবং সৌম্য ছাড়া দু’অঙ্কের রান করলেন বাংলাদেশের আর দু’জন ব্যাটার। মেহদি হাসান মিরাজ ১১ এবং তাসকিন আহমেদ ১০ রান করলেন।
দক্ষিণ আফ্রিকার বোলিং আক্রমণের সামনে কখনই স্বচ্ছন্দ ছিলেন না শাকিবরা। বাংলাদেশের একাধিক ব্যাটার আউট হলেন খারাব শট খেলে। অনরিখ নখিয়া মাত্র ১০ রান খরচ করে ৪ উইকেট তুলে নিলেন। ২০ রান দিয়ে বাংলাদেশের তিন ব্যাটারকে সাজঘরে ফেরালেন তাবরেজ শামসি। একটি করে উইকেট নিয়েছেন কাগিসো রাবাডা এবং কেশব মহারাজ।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচ জিতে দলের বোলারদের প্রশংসা করেছিলেন শাকিব। সেই বোলাররাও ডোবালেন দ্বিতীয় ম্যাচে। টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা। তিনি অবশ্য যথারীতি ব্যর্থ হলেন। ওপেন করতে নেমে ৬ বল খেলে করলেন ২ রান। তিনি সাজঘরে ফিরে যাওয়ার পর আগ্রাসী ব্যাটিং শুরু করেন কুইন্টন ডি’কক এবং রুসো। তাতেই রানের পাহাড়ে উঠল দক্ষিণ আফ্রিকা।
অনবদ্য শতরান করলেন রুসো। প্রায় ২০০ স্ট্রাইক রেট বজায় রেখে খেললেন গোটা ইনিংস। শাকিবের বলে আউট হওয়ার আগে রুসো করলেন ৫৬ বলে ১০৯ রান। সাতটি চার এবং আটটি ছয় এল তাঁর ব্যাট থেকে। ৫২ বলে শতরান পূর্ণ করেন তিনি। বাংলাদেশের কোনও বোলারই তাঁর আগ্রাসন থামাতে পারলেন না। শাকিবদের খেললেন অত্যন্ত সাবলীল ভাবে। ডি’ককের ব্যাট থেকেও এল আগ্রাসী ৬৩ রান। তাঁর ৩৮ বলের ইনিংসে রয়েছে সাতটি বাউন্ডারি এবং তিনটি ওভার বাউন্ডারি।
শেষ দিকে পর পর উইকেট হারানোয় দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস শেষ হল প্রত্যাশার থেকে কিছুটা কম রানেই। না হলে ২২০-২৫ রান করতে পারতেন বাভুমারা। ট্রিস্টান স্টাবস (৭), এডেন মার্করামরা (১০) রান পেলেন না। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত রইলেন ডেভিড মিলার (২) এবং ওয়েন পার্নেল (শূন্য)।
বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে সফলতম অধিনায়ক শাকিবই। ৩৩ রান দিয়ে ২ উইকেট নিলেন তিনি। সাজঘরে ফেরালেন রুসো এবং স্টাবসকে। ১১ রানে ১ উইকেট নিলেন আফিফ হোসেন। হাসান মেহমুদ ৩৬ রানে ১ উইকেট এবং তাসকিন আহমেদ ৪৬ রানে ১ উইকেট পেলেন। প্রথম ম্যাচে ৪ উইকেট নেওয়া তাসকিন ৪৬ রান দিলে ৩ ওভার বল করে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy