সুনীল গাওস্কর, সচিন তেন্ডুলকর। ফাইল চিত্র
লোঢা কমিশনের সুপারিশের উল্টো পথে হাঁটছে মুম্বই ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন (এমসিএ)। যার ফলে সুনীল গাওস্কর, সচিন তেন্ডুলকর, দিলীপ বেঙ্গসরকরদের মতো প্রাক্তন ক্রিকেটারদের আর ভোটাধিকার থাকবে না। প্রাক্তন ক্রিকেটারদের ভোটাধিকার না থাকা, ৭০ বছরের বেশি বয়স হয়ে গেলেও এমসিএ-র পদে থাকতে পারা, অ্যাপেক্স কাউন্সিলে সিইও-র থেকেও সচিবকে বেশি ক্ষমতা দেওয়া— এরকম নানা বিষয় নিয়ে আগামী ২৯ জুলাই আলোচনার জন্য বিশেষ সাধারণ সমিতির বৈঠক ডেকেছে এমসিএ। বৈঠকে এইগুলি পাস হয়ে গেলে গাওস্কর-সচিনরা আর এমসিএ-র নির্বাচনে ভোট দিতে পারবেন না।
লোঢা কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে সব রাজ্য সংস্থাগুলিকেই তাদের সংবিধান পরিবর্তন করতে হয়েছিল। লোঢা কমিটি সব প্রাক্তন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটারকে তাদের সংশ্লিষ্ট রাজ্যের ক্রিকেট সংস্থার নির্বাচনে ভোটাধিকার দিয়েছিল, ৭০ বছরের বেশি হলে কোনও সংস্থার পদে বসার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল, রাজ্য সংস্থাগুলিকে আরও বেশি পেশাদার করে তোলার জন্য সচিবের থেকেও চিফ এগজিকিউটিভদের বেশি ক্ষমতা দিয়েছিল।
এর পরিপ্রেক্ষিতে এমসিএ বিজ্ঞপ্তি জারি করে তাদের সব সদস্যকে জানিয়েছে, তাদের কোনও ব্যক্তিগত ভোটার নেই। তার বদলে ক্লাবগুলি তাদের নির্বাচনে অংশ নেয়। এমসিএ চায়, তাদের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটারদের শুধু অ্যাসোসিয়েট সদস্য করা হোক, যাঁদের কোনও ভোটাধিকার থাকবে না। এমসিএ তাদের প্রস্তাবে বলেছে, ‘লোঢা কমিটি বলেছে, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটারদের শুধু সদস্যপদ দেওয়া হোক। সেই কারণে আমরা তাদের অ্যাসোসিয়েট সদস্য করার প্রস্তাব দিচ্ছি। তাদের ভোটাধিকার দিলে অ্যাসোসিয়েশনের ভিত নড়ে যাবে।’
বয়সের ক্ষেত্রে এমসিএ বলেছে, ৭০ বছরের বেশি বয়স হয়ে গেলে কেউ আর পদে থাকতে না পারলে তো অভিজ্ঞ লোকেদের প্রশাসনেই পাওয়া যাবে না। এমসিএ ঠিক মতো চালাতে গেলে অভিজ্ঞ লোকেদেরই দরকার।
কোন দিকে এগোচ্ছে মুম্বইয়ের ক্রিকেট, সময়ই বলবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy