সূর্যকুমার যাদব। ছবি: পিটিআই।
বিশ্বকাপের গ্রুপগুলো যখন চূড়ান্ত হয়েছিল, তখন সব দলই প্রতিপক্ষের কথা মাথায় রেখে এবং কোন মাঠে খেলা হচ্ছে, হিসেব করে কৌশল তৈরি করেছিল। ভারত নিশ্চয়ই ভেবেছিল, গ্রুপের দু’টো শক্তিশালী প্রতিপক্ষ দল হবে পাকিস্তান এবং দক্ষিণ আফ্রিকা। আর বাংলাদেশ ম্যাচটা নিয়ে সতর্ক থাকতে হবে। অস্ট্রেলিয়ায় পা দেওয়ার আগে পর্যন্ত রোহিত শর্মাদের পক্ষে জানা সম্ভব ছিল না, প্রাথমিক পর্ব থেকে কোন দু’টো দল উঠে আসবে। এখন হয়তো জ়িম্বাবোয়েকে নিয়ে একটু সতর্ক থাকবে।
তবে প্রতিপক্ষের উপরে নজর রাখার পাশাপাশি আকাশের দিকেও চোখ রাখতে হবে ভারতকে। এখানে বর্ষা আসতে কিন্তু খুব দেরি নেই।
একটা ‘স্কাই’ দুশ্চিন্তার কারণ হলে অন্য এক ‘স্কাই’-কে নিয়ে কিন্তু ভারতীয় শিবির খুব খুশি আছে নিঃসন্দেহে। সেই স্কাই হল সূর্যকুমার যাদব। পার্থের বাউন্সি পিচে স্মরণীয় একটা ইনিংস খেলে গেল সূর্য। বল যত বেশি বাউন্স করেছে, যত দ্রুত এসেছে, তত তাড়াতাড়ি শট খেলার জায়গায় চলে গিয়েছে ও। আর বলের গতি কাজে লাগিয়ে কখনও স্কোয়ার পয়েন্টের পিছন দিয়ে বা কখনও স্কোয়ার লেগ-ফাইন লেগ অঞ্চল দিয়ে চার-ছয় মেরে গিয়েছে। দেখে মনে হচ্ছিল, সূর্য একটা মসৃণ রাস্তায় খেলছে। আর বাকিরা মুম্বইয়ের গর্ত ভর্তি রাস্তায়!
এই বছরের আইপিএল চারটে কেন্দ্রে হওয়ার কারণে পিচ প্রস্তুতকারকরা বাইশ গজে যথেষ্ট ঘাস ছেড়ে রেখেছিল। যাতে পিচ ভেঙে না যায়। যার ফলে আধুনিক যুগের যে সব ব্যাটসম্যান আগেই সামনের পায়ে চলে আসে, তাদের সমস্যায় পড়তে দেখা গিয়েছিল। সেই সমস্যা আরও বেশি করে ফুটে উঠল এমন একটা পিচে, যার গতি এবং বাউন্স আইপিএলের উইকেটগুলোর থেকে অনেক বেশি ছিল। তার উপরে উল্টো দিকে ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার ফাস্ট বোলাররা। এই হারের ফলে এ বার ভারতের প্রথম এগারো বাছা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে। অ্যাডিলেডের স্কোয়ার বাউন্ডারি বেশ ছোট। যার ফলে ঋষভ পন্থকে খেলানোর একটা ভাবনা থাকবেই। তবে কার্তিক সুস্থ না হলে ঋষভ এমনিতেই খেলবে। দেখার, দীপক হুডাকে ভারত আর একটা সুযোগ দেয় কি না। না কি দ্বিতীয় স্পিনার ফিরিয়ে আনে। এই সিদ্ধান্তটা মনে হয় আবহাওয়ার উপরে নির্ভর করবে। যদি আকাশ মেঘলা থাকে, তা হলে এক স্পিনারেই খেলতে পারে।
ভারতের সমান পয়েন্ট বাংলাদেশেরও। ওরা জানে, সেমিফাইনালে উঠতে গেলে দু’টো ম্যাচই জিততে হবে। এই ম্যাচটা জিতে ভারত সেমিফাইনালে ওঠা প্রায় নিশ্চিত করতে চাইবে। কিন্তু এই বিশ্বকাপে আমরাদেখেছি, এখানকার আবহাওয়ার মতো ম্যাচের ফল নিয়েও ভবিষ্যদ্বাণী করা যাচ্ছে না। (টিসিএম)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy