তিন ম্যাচ আগে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে ছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। দেখে মনে হচ্ছিল, পর পর দু’বার মহিলাদের আইপিএল জিতবেন স্মৃতি মান্ধানারা। কিন্তু ঘরের মাঠে খেলতে নেমে বদলে গেল ছবিটা। ঘরের মাঠে এ বার এখনও পর্যন্ত জিততে পারেনি বেঙ্গালুরু। হারের হ্যাটট্রিক হল মান্ধানাদের। বৃহস্পতিবার গুজরাত জায়ান্টস তাদের হারাল ৬ উইকেটে।
আগের ম্যাচে ইউপি ওয়ারিয়র্জ়ের বিরুদ্ধে জেতার মুখ থেকে হারতে হয়েছিল বেঙ্গালুরুকে। গুজরাতের বিরুদ্ধে অবশ্য শুরু থেকেই পিছিয়ে ছিল তারা। টস জিতে বল করার সিদ্ধান্ত নেন গুজরাতের অধিনায়ক অ্যাশলি গার্ডনার। তিনি যে ঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তা প্রমাণ করে দেন গুজরাতের বোলারেরা।
বেঙ্গালুরুর টপ অর্ডার এই ম্যাচে ব্যর্থ। মান্ধানা (১০), ড্যানিয়েল ওয়াট-হজ (৪) ও আগের ম্যাচে ৯০ রান করা এলিস পেরি (০) রান পাননি। রাঘবি বিস্তের সঙ্গে জুটি বাঁধেন কণিকা আহুজা। দু’জনে মিলে ৪৮ রান যোগ করেন। তবে রান তোলার গতি বেশি ছিল না। রাঘবি করেন ২২ রান। কণিকা ৩৩ রান করে আউট হন। তাঁরা আউট হলে আবার চাপে পড়ে বেঙ্গালুরু।
বাংলার রিচা ঘোষও এই ম্যাচে রান পাননি। শেষ দিকে জর্জিয়া ওয়ারহাম ২০ রান না করলে ১০০ পার করতে সমস্যা হত আরসিবির। ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১২৫ রান করে তারা।
আরও পড়ুন:
১২৬ রান তাড়া করতে মাত্র ১৬.৩ ওভার নেয় গুজরাত। ব্যাট হাতে বেথ মুনি, হরলিন দেওলরা রান না পেলেও জিততে সমস্যা হয়নি তাদের। অধিনায়ক গার্ডনার করেন ৩১ বলে ৫৮ রান। তাঁকে সঙ্গ দেন ফোবে লিচফিল্ড। ৩০ রান করেন তিনি।
৬ উইকেটে এই ম্যাচ জিতে মহিলাদের আইপিএল জমিয়ে দিল গুজরাত। পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। চার ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ৬। পাঁচ ম্যাচ খেলে ৬ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে দিল্লি ক্যাপিটালস। তিন, চার ও পাঁচ নম্বরে রয়েছে যথাক্রমে বেঙ্গালুরু, ইউপি ও গুজরাত। তবে তিন দলেরই পয়েন্ট পাঁচ ম্যাচ খেলে ৪। অর্থাৎ, এই পরিস্থিতি থেকে যে কেউ পয়েন্ট তালিকায় উপরের দিকে উঠতে পারে। প্রথম তিনটি দল যাবে প্লে-অফে। এখনও আটটি ম্যাচ বাকি। এখন দেখার, পরের ম্যাচগুলিতে কোন তিনটি দল এগিয়ে যায় প্লে-অফের দিকে।