হাসপাতালের বিছানায় শোয়েব। ছবি: টুইটার।
ক্রিকেটজীবনে দেশের জন্য মাঠে নিজেকে উজাড় করে দিয়েছেন। চোট পাওয়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা থাকলেও কখনও বলের গতির সঙ্গে সমঝোতা করেননি। শোয়েব আখতারকে তারই ফল ভুগতে হচ্ছে অবসর জীবনে। চোট-মুক্ত হতে আবার অস্ত্রোপচার করাতে হল তাঁকে।
গত ১১ বছর ধরে শোয়েবকে ভোগাচ্ছে ডান হাঁটুর সমস্যা। এর আগে পাঁচ বার অস্ত্রোপচার করিয়েছেন। তাতেও মেলেনি সুরাহা। তাই চিকিৎসকদের পরামর্শে ষষ্ঠ বার হাঁটুতে অস্ত্রোপচার করালেন পাকিস্তানের প্রাক্তন জোরে বোলার। অস্ত্রোপচারের পর মেলবোর্নের হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে একটি ভিডিয়ো নেটমাধ্যমে অনুরাগীদের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন শোয়েব। সঙ্গে তিনি লিখেছেন, ‘অস্ত্রোপচার ভাল হয়েছে। সুস্থ হতে কিছুটা সময় লাগবে। আপনারা আমার জন্য প্রার্থনা করুন।’ অস্ট্রেলিয়ায় শোয়েবের দেখভাল করছেন তাঁর বন্ধু কামিল খান। তাঁকেও ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রাক্তন ক্রিকেটার।
হাঁটুর চোটের জন্যই তাড়াতাড়ি অবসর নিতে হয়েছিল বলে জানিয়েছেন শোয়েব। অবসর জীবন হুইলচেয়ারে বসে কাটাতে চাননি। তাই ক্রিকেট থেকে অবসরের সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছিল তাঁকে। শোয়েব ভিডিয়োয় বলেছেন, ‘‘হয়তো আরও চার-পাঁচ বছর খেলতে পারতাম। কিন্তু তা হলে আমাকে বাকি জীবন হুইলচেয়ারে বন্দি হয়ে কাটাতে হত। সেটা চাইনি। তাই ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম।’’ শোয়েব আরও বলেছেন, ‘‘হাঁটুতে বেশ ব্যথা রয়েছে। আপনাদের প্রার্থনা আমার প্রয়োজন। আশা করব, এটাই আমার শেষ অস্ত্রোপচার।’’
এক দশকের বেশি সময় হাঁটুর চোট ভোগালেও আক্ষেপ নেই শোয়েবের। বরং, সুযোগ থাকলে দেশের জন্য এমন কষ্ট ভোগ করতে তিনি রাজি। প্রাক্তন জোরে বোলার বলেছেন, ‘‘পাকিস্তানের জন্য সব সময় সেরাটাই দিয়েছি। বেশি গতিতে বল করার জন্যই এই চোট। হাড় ক্ষয়ে গিয়েছে। তাতে কোনও আক্ষেপ নেই। খেলার সময় যা যা করতাম, সুযোগ থাকলে আবার সেগুলোই করব।’’
পাকিস্তানের হয়ে ৪৬টি টেস্ট, ১৬৩টি এক দিনের ম্যাচ এবং ১৪টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন শোয়েব। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তাঁর ৪৪৪টি উইকেট রয়েছে। উল্লেখ্য, ক্রিকেটের ইতিহাসে শোয়েবই এক মাত্র বোলার যাঁর ১০০ মাইল (১৬০.৯৩৪ কিলোমিটার) প্রতি ঘণ্টা গতিতে বল করার নজির রয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy