শাইক রশিদ। ছবি: টুইটার থেকে
যশ ঢুলের সঙ্গে ভারতকে বড় রানের ইনিংস গড়তে সাহায্য করেছিলেন তিনি। কিন্তু অধিনায়ক শতরান পেলেও শাইক রশিদকে শতরান থেকে থামতে হল মাত্র ৬ রান দূরে। যশ আউট হওয়ার পরের বলেই ফিরে যান তিনি। তবে দলের জয়ের পিছনে তাঁর অবদানও কম নয়। পুরস্কার নিতে গিয়ে অধিনায়কের প্রশংসাও পেয়েছেন রশিদ। অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ আরও এক তারার আলো দেখতে পেল বুধবার।
রশিদের ক্রিকেটার হয়ে ওঠার পিছনে তাঁর বাবা শাইক বালিশাভল্লির অবদান বিশাল। প্রতি দিন স্কুটার করে ১২ কিলোমিটার দূরে অনুশীলন করাতে নিয়ে যেতেন ছেলেকে। সেটি ছিল অন্ধ্রপ্রদেশের গুন্টুরের শহরতলি মণ্ডলগিরিতে অন্ধ্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের অ্যাকাডেমি। ক্রিকেটের প্রয়া কিছুই না জানা বালিশাভল্লির কাজে যেতে দেরি হয়ে যেত প্রায়ই। দু’বার চাকরি হারাতে হয় তাঁকে। বালিশাভল্লি বলেন, “দেরি করে কাজে যাওয়ার জন্য অন্তত দু’বার আমাকে কাজে আসতে বারণ করে দেওয়া হয়েছিল।”
বল ছুড়ে নিজে ছেলেকে অনুশীলন করানোর পর ৪০ কিলোমিটার দূরে রাজ্য স্তরের কোচেদের কাছে অনুশীলন করাতেও নিয়ে যেতেন বালিশাভল্লি। এক সংবাদমাধ্যমকে রশিদের বাবা বলেন, “ক্রিকেট বলগুলির দাম ছিল ৪০০ টাকা করে। খেলার সরঞ্জামও খুব দামী। তাই বল ছুড়ে যখন অনুশীলন করাতাম, তখন সিন্থেটিক বল ব্যবহার করতাম। ওই দামে তিন, চারটে বল হয়ে যেত।”
বিশ্বকাপ খেলতে যাওয়ার আগে রশিদ বলেন, “বাবা কখনও আমাকে খরচের কথা জানতেই দেয়নি। আমি জানতাম খুব সহজ নয়, কিন্তু বাবা ঠিক টাকা যোগাড় করে ফেলত আমার খেলার জন্য।” বালিশাভল্লির এক বন্ধু রশিদের খেলা দেখেন এবং বুঝতে পারেন তাঁর প্রতিভা। তিনি রশিদের ক্রিকেট খেলার খরচ বহন করেন। বালিশাভল্লি বলেন, “আমার বন্ধু ইন্দ্রসেনা রেড্ডি পাশে দাঁড়িয়ে ছিল। ও হায়দরাবাদের একজন চিকিৎসক। কখনও আমাকে সাহায্য করার আগে দু’বার ভাবেনি।”
বয়সভিত্তিক খেলায় এক বার সুযোগ পাওয়ার পর আর ফিরে তাকাতে হয়নি রশিদকে। ২০১৮-১৯ সালে বিজয় মার্চেন্ট অনূর্ধ্ব ১৬ ক্রিকেটে তিন নম্বরে ব্যাট করে নজর কাড়েন তিনি। ছয় ম্যাচে ৬৭৪ রানে করেন। অপরাজিত ২০০-সহ তিনটি শতরানের ইনিংস ছিল তাঁর। এই মরসুমে বিনু মাঁকড় (অনূর্ধ্ব ১৯) প্রতিযোগিতায় ছয় ম্যাচে ৩৭৬ রান করেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy