সরফরাজ় খান। —ফাইল চিত্র।
দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছে সরফরাজ় খানের। সদ্যসমাপ্ত ভারত-ইংল্যান্ড টেস্ট সিরিজ়ের শেষ তিনটি ম্যাচ খেলেছেন মুম্বইয়ের ব্যাটার। তিনটি অর্ধশতরান এসেছে তাঁর ব্যাট থেকে। ভারতীয় দলের জার্সি পরার পর কতটা বদলাল তাঁর জীবন? সরফরাজ় জানিয়েছেন, গত এক মাসে সমাজমাধ্যমে তাঁকে অনুসরণকারীর সংখ্যা বিপুল বৃদ্ধি পেয়েছে।
এক অনুষ্ঠানে সরফরাজ়কে প্রশ্ন করা হয়েছিল, ভারতের হয়ে খেলার পর কতটা পরিবর্তন হয়েছে তাঁর জীবনে। মুম্বইয়ের ব্যাটার রসিকতা করে বলেন, ‘‘গত চার বছর ধরে ইনস্টাগ্রামে আমার ফলোয়ারের সংখ্যা ৬ থেকে ৭ লাখের মধ্যে ঘোরাফেরা করত। হঠাৎ করে সেই সংখ্যাটা বেড়ে ১৫ লাখ হয়ে গিয়েছে। এটা আমার বেশ ভাল লেগেছে।’’ সরফরাজ় জানিয়েছেন, লাল বলের ক্রিকেটই সব থেকে প্রিয় তাঁর। ২৬ বছরের ক্রিকেটার বলেছেন, ‘‘ছোট থেকে টেস্ট ক্রিকেটের নানা গল্প শুনে বড় হয়েছি। টেস্ট ক্রিকেটের গুরুত্ব বোঝানো হয়েছিল আমাকে। বাবা আমাকে সব সময় লাল বলের ক্রিকেটের গুরুত্বের কথা বুঝিয়েছেন। বলব না আমার কোনও চাপ ছিল না। অবশ্যই অভিষেক সিরিজ়ে খেলার সময় চাপ অনুভব করেছি।’’
ঘরোয়া ক্রিকেটে পরের পর মরসুম ভাল রান করলেও জাতীয় দলের দরজা খোলেনি সরফরাজ়ের সামনে। কেমন ছিল সেই সময়ের অনুভূতি? সরফরাজ় বলেছেন, ‘‘সে সময় বাবাকে বলতাম, আর কবে ভারতের হয়ে খেলার সুযোগ পাব? কেউ যদি একটু আমাদের সমর্থন করেন! উত্তরে বাবা আমাকে আবৃত্তি করে কয়েকটা লাইন শোনাতেন। যার অর্থ, রাস্তায় চলতে গেলে হোঁচট খেতেই হবে। হোঁচট খেলে আবার উঠে পড়তে হবে। এগিয়ে যেতে হবে। থেমে যাওয়ার থেকে এগিয়ে যাওয়া ভাল। সেটাই জীবন।’’ সরফরাজ় আরও বলেছেন, ‘‘বাবা আমাকে সব সময় বলতেন, দেশের হয়ে খেলতে চাইলে রান করে যেতে হবে। ভারতের হয়ে খেললেও পরের ঘরোয়া ম্যাচে রান করতে হবে জায়গা ধরে রাখার জন্য। আমাকে বাবা শুধু একটাই কাজ করার কথা বলতেন। শুধু রান করে যেতে হবে।’’
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হওয়ার পর জীবন প্রায় একই রকম আছে বলে জানিয়েছেন সরফরাজ়। তাঁর একটাই লক্ষ্য। যে ম্যাচই খেলবেন, ভাল রান করা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy