সানিয়া মির্জ়া। —ফাইল চিত্র।
সানিয়া মির্জ়াকে বিয়ে করার আগে আয়েশা সিদ্দিকির সঙ্গে বিচ্ছেদ করতে হয়েছিল শোয়েব মালিককে। অন্য দিকে সানিয়ারও বাগ্দান হয়ে গিয়েছিল। ভারতীয় টেনিসের রানির সঙ্গে সম্পর্ক ছিল সোহরাব মির্জ়ার। তিনি ছিলেন সানিয়ায় ছোটবেলার বন্ধু। সেই বন্ধুর সঙ্গে সম্পর্ক ছিল সানিয়ার। কিন্তু সেই সম্পর্ক ভেঙে দিয়েছিলেন টেনিস তারকা।
সানিয়া এবং সোহরাব তাঁদের সম্পর্কের কথা প্রকাশ্যে বলেননি। কিন্তু বাগ্দানের পর তাঁরা নিজেরাই বুঝতে পেরেছিলেন যে, একে অপরের সঙ্গে থাকা সম্ভব নয়। তাঁদের চিন্তাভাবনা আলাদা, তাই সম্পর্ক ভেঙে যায় বলে জানা গিয়েছিল। সোহরাব ছিলেন একটি বেকারি সংস্থার মালিক। তিনি ইংল্যান্ড থেকে পড়াশোনা করেছিলেন। হায়দরাবাদ শহরে যথেষ্ট পরিচিত মুখ সোহরাব। সানিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পর এক সাক্ষাৎকারে সোহরাব বলেছিলেন, “তিন পুরুষ ধরে আমাদের দুই পরিবারের সম্পর্ক। বাগ্দানের পর থেকেই আমার এবং সানিয়ার মধ্যে মনোমালিন্য শুরু হয়। তাই বাগ্দান হলেও সেটা বিয়ে পর্যন্ত এগোল না। আমি বুঝতে পারছিলাম এমনটা হবে।”
সানিয়া এবং সোহরাবের সম্পর্ক ভেঙে গেলেও দুই পরিবারের মধ্যে কোনও গন্ডগোল হয়নি বলেই দাবি করেছিলেন সোহরাবের বাবা। তিনি জানিয়েছিলেন, দুই পরিবারের মধ্যে আগের মতোই বন্ধুত্ব রয়েছে।
শুধু সোহরাব নয়, সানিয়ার সঙ্গে নাম জড়িয়েছিল দক্ষিণী অভিনেতা নবদীপ পাল্লাপলুর। তাঁরা একসঙ্গে জিম করতেন বলে শোনা যায়। যদিও নবদীপকে সানিয়া শুধুই বন্ধু বলে দাবি করেছিলেন। নবদীপও সেই সম্পর্ক নিয়ে কখনও কিছু বলেননি।
২০১০ সালে শোয়েবকে বিয়ে করেন সানিয়া। তাঁদের পরিচয় হয়েছিল সেই বছরই ব্রিসবেনে। ২০১০ সালে অস্ট্রেলিয়ায় খেলতে গিয়েছিল পাকিস্তান ক্রিকেট দল। ব্রিসবেন ইন্টারন্যাশনাল খেলতে গিয়েছিলেন সানিয়া। পাকিস্তান ক্রিকেট দল যে হোটেলে ছিল, সেখানেই ছিলেন সানিয়া। আলাপ হয় সানিয়া এবং শোয়েবের। সম্পর্ক গড়াতে বেশি সময় লাগেনি। পরিচয়, প্রেম এবং পরিণয়— চার মাসের মধ্যে সবই হয়ে যায় সানিয়া এবং শোয়েবের।
সেই সম্পর্ক ভাঙতে শুরু করে ২০২২ সাল থেকে। পাক সংবাদমাধ্যমের খবরে সানিয়া এবং শোয়েবের বিবাহবিচ্ছেদের জল্পনা তৈরি হয়েছিল। সেই সময়ই জানা গিয়েছিল যে সানিয়া এবং শোয়েব একসঙ্গে থাকছেন না। সেই সময় ইনস্টাগ্রামে একটি স্টোরিতে সানিয়া লিখেছিলেন, “ভাঙা হৃদয় কোথায় যায়? ঈশ্বর খুঁজতে।” ভারতের অন্যতম সেরা টেনিস তারকা সন্তানের সঙ্গে একটি ছবিও পোস্ট করেছিলেন। তাতে দেখা যাচ্ছে ইজ়হান তাঁকে চুমু খাচ্ছে। সেই সঙ্গে সানিয়া লেখেন, “যে মুহূর্তগুলো কঠিন সময় পার করে দেয়।” সানিয়ার সেই পোস্ট ঘিরেই জল্পনার শুরু। এর পর একের পর এক পোস্টে ভাঙা সম্পর্কের আভাস পাওয়া গিয়েছিল।
শোয়েবের ইনস্টাগ্রাম বায়োতে লেখা থাকত যে তিনি সানিয়ার স্বামী। নিজেকে এক জন ‘সুপারউওম্যান’-এর স্বামী হিসেবেও উল্লেখ করেছিলেন শোয়েব। কিছু দিন আগে সেই বাক্য সরিয়ে নিয়েছিলেন পাকিস্তানের প্রাক্তন অধিনায়ক। এমনকি তাঁর ইনস্টাগ্রামে সানিয়ার সব ছবিও মুছে দিয়েছিলেন। তবে ছেলে ইজ়হানের সঙ্গে অনেক ছবি দেখতে পাওয়া গিয়েছে। সানিয়াও তাঁর ইনস্টাগ্রাম থেকে শোয়েবের সব ছবি মুছে দিয়েছিলেন। শুধু একটি মাত্রই ছবি রয়েছে শোয়েবের সঙ্গে। সেখানে সানিয়া এবং শোয়েবের সঙ্গে তাঁদের ছেলে ইজ়হানও রয়েছেন। সেই ছবির ক্যাপশনে শোয়েবের বিশেষ নামোল্লেখ নেই। ইজ়হানের জন্মদিন উপলক্ষে সেই ছবিটি পোস্ট করেছিলেন সানিয়া। সেই ছবি বাদে শোয়েবের সব ছবি মুছে দিয়েছিলেন সানিয়া।
শনিবার শোয়েব জানান তিনি বিয়ে করেছেন পাক অভিনেত্রী সানা জাভেদকে। সানিয়ার বাবা ইমরান মির্জ়া জানিয়েছেন, ধর্মীয় আইন মেনেই সানিয়া বিচ্ছেদ দিয়েছেন শোয়েবকে। ফলে তাঁদের সম্পর্কের যে ইতি ঘটে গিয়েছে তা বলাই যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy