Advertisement
E-Paper

রোহিতদের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয়ে বাঁকা হাসি! বাকিদের ব্যর্থতার দায় কি ভারতের?

ভারতের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয় নিয়ে প্রশংসার পাশাপাশি সমালোচনাও হচ্ছে। রোহিত শর্মাদের সাফল্যকে খাটো করে দেখানোর চেষ্টা করছে ক্রিকেটবিশ্বের একাংশ। কতটা যুক্তিযুক্ত সেই প্রচেষ্টা?

গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৫ মার্চ ২০২৫ ১৮:০০
Share
Save

ভারতীয় ক্রিকেটারদের যোগ্যতা এবং দক্ষতা নিয়ে ক্রিকেটবিশ্বের সংশয় নেই। রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলিদের সাফল্য নিয়েও শ্রদ্ধাশীল ক্রিকেটপ্রেমীরা। তবে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) যে ভাবে বিশ্ব ক্রিকেটকে পরিচালনা করতে চাইছে, তা নিয়ে বিভিন্ন দেশের মধ্যে অসন্তোষ তৈরি হচ্ছে। কতটা যুক্তিগ্রাহ্য সেই ভাবনা?

রোহিতদের সাফল্য নিয়ে প্রশ্ন

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সময় ভারতীয় দলকে পাকিস্তানে পাঠাতে রাজি হয়নি বিসিসিআই। ভারতীয় দল সব ম্যাচ খেলেছে দুবাইয়ে। ভারতের জন্য অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, নিউ জ়িল্যান্ডের মতো দলগুলিকে ম্যাচ খেলতে যাতায়াত করতে হয়েছে দু’দেশের মধ্যে। এই দেশগুলির ক্রিকেটারেরা বিশ্রামের সময় কম পেয়েছেন। তাঁদের শারীরিক ধকল বেড়েছে। অন্য দিকে ভারতীয় ক্রিকেটারেরা দুবাইয়েই থাকায় বিশ্রামের পর্যাপ্ত সুযোগ পেয়েছেন। ভারতীয় দলের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয় নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে ক্রিকেটমহলের একাংশে। বিসিসিআইয়ের ক্ষমতার সুবাদে রোহিত, কোহলিরা বাড়তি সুবিধা পাওয়ায় অসন্তোষ তৈরি হয়েছে ।

ক্রিকেট বিশেষজ্ঞেরা মানছেন, ভারতে ক্রিকেট প্রতিভার অভাব নেই। ঋষভ পন্থ, যশস্বী জয়ওয়ালের মতো ক্রিকেটারদের না খেলানোর বিলাসিতা ভারত দেখতে পারে অনায়াসে। কারণ দলের প্রতিটি জায়গায় খেলার মতো একাধিক বিকল্প রয়েছে। তাঁরা প্রত্যেকেই বিশ্বমানের ক্রিকেটার। আন্তর্জাতিক মঞ্চে তাঁদের যোগ্যতাও প্রমাণিত। খেতাব জয়ের দাবিদার হিসাবেই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলেছে ভারত। তাই রোহিতদের সাফল্য অপ্রত্যাশিত নয়। তবু বিসিসিআইয়ের আর্থিক ক্ষমতা এবং আগ্রাসী মনোভাবই ২২ গজে ভারতের সাফল্যকে নিষ্কলুষ থাকতে দিচ্ছে না।

সাফল্য মানেই সুন্দর নয়

ক্রিকেট মাঠে ভারতীয় দল এখন যে রকম দাপট দেখাচ্ছে, খেলাধুলোর ইতিহাসে তা নতুন নয়। ক্লাইভ লয়েডের ওয়েস্ট ইন্ডিজ় বা রিকি পন্টিংয়ের অস্ট্রেলিয়া একই রকম দাপট দেখিয়েছে অতীতে। অন্য খেলাতেও এমন উদাহরণ কম নেই। মাইকেল জর্ডনের শিকাগো বুলস, রিচি ম্যাককের অল ব্ল্যাকসের কথা বলাই যায়। ব্যক্তিগত খেলাতেও এমন বহু নজির রয়েছে। খেলার মাঠে জয় কী ভাবে আসছে, তা নিয়ে আলোচনা, বিতর্কের শেষ নেই। সাফল্য মানেই সুন্দর নয়। অনেক সময় অপেক্ষাকৃত যোগ্য দল বা খেলোয়াড়ও খেতাব জিততে ব্যর্থ হয়। যে দল বা খেলোয়াড়ের সাফল্য নিয়ে প্রশ্ন এবং সংশয় যত কম, সেই দল বা খেলোয়াড়ের সাফল্য তত সুন্দর। সেই সাফল্যের প্রতি মানুষের ভালবাসা, শ্রদ্ধা অন্য মাত্রার হয়। প্রতিপক্ষদের ঈর্ষা ছাড়া বিশেষ কিছু করার থাকে না। ঠিক এই জায়গাতেই হোঁচট খাচ্ছে ভারতীয় ক্রিকেট দলের সাফল্য। কারণ, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সাফল্য শর্তনির্ভর হতে পারে না। রোহিতদের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয়ের নেপথ্যে সূক্ষ্ম ভাবে হলেও রয়েছে বিসিসিআইয়ের শর্তের প্রভাব।

Picture of Cricket

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পুরস্কার মঞ্চে জয় শাহ এবং রোহিত শর্মা। —ফাইল চিত্র।

প্রশংসার পাশাপাশি প্রশ্নও

ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) প্রতিযোগিতায় গত আড়াই বছরে রোহিতদের দাপট প্রশ্নাতীত। ২৪টি ম্যাচের ২৩টিতেই জিতেছেন রোহিতেরা। এই সাফল্য সর্বকালের সেরা দলের আলোচনায় এনে দিয়েছে ভারতকে। তবু প্রশংসার পাশাপাশি প্রশ্নও উঠছে। ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ককে ঢাল করে এবং আর্থিক ক্ষমতা ব্যবহার করে রোহিতদের অনৈতিক সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠছে বিসিসিআইয়ের বিরুদ্ধে। ক্রিকেটবিশ্বের একাংশ তাই ভারতীয় দলের এই সাফল্যকে কিছুটা হলেও বাঁকা চোখে দেখছে। কেউ কেউ ব্যঙ্গও করছে।

সমালোচনা কি ঠিক?

যাঁরা সমালোচনা করছেন তাঁরা মনে রাখছেন না, ঘরের মাঠে খেলা মানেই সাফল্য নিশ্চিত নয়। তেমন হলে ২০২৩ সালে এক দিনের বিশ্বকাপ ফাইনালে ভারতকে হারতে হত না। যেমন বলা হচ্ছে না, ২০২৪ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথমার্ধ আমেরিকায় এবং দ্বিতীয়ার্ধ ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ে খেলেও চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ভারতীয় দল। প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত এবং গুরুত্বপূর্ণ পর্বে পিচ, আবহাওয়ার সঙ্গে নতুন করে মানিয়ে নিতে হয়েছিল রোহিতদের। এ কথাও বলা হচ্ছে না, দুবাই পিচের চরিত্র ভারতের মতো নয়। সেখানে গিয়েও ভারতীয় দলকে মানিয়ে নিতে হয়েছে। এক একটি ম্যাচ এক এক রকম চরিত্রের ২২ গজে খেলতে হয়েছে। অনুশীলন করতে হয়েছে আইসিসি অ্যাকাডেমির মাঠে। যে মাঠের ২২ গজ সম্পূর্ণ ভিন্ন চরিত্রের। ভারতীয় ক্রিকেটারদের প্রতিকূলতার দিকগুলি ঊহ্য রেখেই সমালোচনায় মেতেছেন নিন্দকেরা।

প্রশ্ন তোলা হচ্ছে আইসিসি চেয়ারম্যান জয় শাহের আচরণ নিয়েও। ভারত ট্রফি জেতার পর উচ্ছ্বসিত জয় যে ভাবে রোহিতদের আলিঙ্গন করেছিলেন বা ক্রিকেটারদের সঙ্গে উষ্ণ শুভেচ্ছা বিনিময় করেছিলেন, তা পক্ষপাতদুষ্ট। জয় গত পাঁচ বছর বিসিসিআইয়ের সচিব ছিলেন। তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ঘনিষ্ঠ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের ছেলে। তাই তাঁর ক্ষমতা প্রশ্নাতীত। পুরস্কার প্রদান মঞ্চে তাঁর আচরণ ছিল গর্বিত ভারতীয়ের মতো। একজন ভারতীয়ের ভারতীয় দলের সাফল্যে খুশি হওয়া নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন সমালোচকেরা। তাঁদের যুক্তি, সুইৎজারল্যান্ড ফুটবল বিশ্বকাপ জিতলে ফিফা সভাপতি জিয়ানি ইনফ্যান্টিনোর এমন উচ্ছ্বাস কল্পনা করা যায় না। আসলে যা ঘটেনি বা ঘটার সম্ভাবনা কম, তেমন বিষয়কে তুলনায় টেনে আনা হচ্ছে!

Picture of Cricket

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিজয়ী ভারতীয় দল। —ফাইল চিত্র।

লাভের গুড় খেতে চায় সবাই

ভারতীয় ক্রিকেটে অর্থের অভাব নেই। বিসিসিআইয়ের এই সাফল্যকে কাজে লাগাতে কিন্তু তৎপর প্রতিটি দেশের ক্রিকেট বোর্ড। প্রায় সব দেশের ক্রিকেট বোর্ডই চায় অন্তত এক বছর অন্তর তাদের দেশে সফর করুক ভারতীয় ক্রিকেট দল। কারণ ভারতের সিরিজ় থেকে বোর্ডগুলি যে মুনাফা করার সুযোগ পায়, তা দিয়ে দুই বা তিন বছরের খরচ চালিয়ে নিতে পারে তারা। যেমন, দু’টি আর্থিক বছরে ক্ষতির পর দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেট বোর্ড ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে ৩৪.৫ মিলিয়ন পাউন্ড (প্রায় ৩৮৮ কোটি টাকা) লাভ করেছিল। এ প্রসঙ্গে সাউথ আফ্রিকা ক্রিকেটের নির্বাহী প্রধান ফোলেৎসি মোসেকি বলেন, ‘‘আমরা হয়তো পর পর দু’-তিন আর্থিক বছর ক্ষতি স্বীকার করব। তার পর একটি বছর এমন হওয়া উচিত, যে বছরে আমরা উল্লেখযোগ্য হারে মুনাফা করব। তা দিয়ে বাকি বছরগুলির ক্ষতি সামাল দেওয়া যাবে। ক্রিকেটবিশ্বের ভারতের উপর নির্ভরশীলতা এখনই এই পর্যায়ে পৌঁছেছে।

ভারতীয় ক্রিকেটের প্রভাব আন্তর্জাতিক স্তরের বাইরেও ছড়িয়ে পড়েছে। আইপিএলের দল কর্তৃপক্ষদের হাতে রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ়, আমেরিকা, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি, ইংল্যান্ডের টি-টোয়েন্টি লিগের একাধিক দলের মালিকানা। এই দেশের লিগগুলিতে বিপুল বিনিয়োগ রয়েছে ভারতীয় বহুজাতিক সংস্থাগুলির। এ কথা অস্বীকার করার জায়গায় নেই বিভিন্ন দেশের ক্রিকেট বোর্ডগুলি। এই প্রসঙ্গে মোসেকি একবার বলেছিলেন, ‘‘ক্রিকেটের বাস্তুতন্ত্রে সব সদস্যের জন্য, এমনকি আইসিসির জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভারতে। প্রত্যেক দেশের জন্য ভারতীয় দলের সফরও ভীষণ জরুরি। ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়া কোনও দেশের পক্ষেই বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ হতে পারে না।’’

ভারতের বিরুদ্ধে যাওয়ার ধক নেই

সমালোচনা হচ্ছে ভারতীয় বোর্ডের আর্থিক সক্ষমতা নিয়েও। প্রশ্ন উঠছে, আর্থিক সক্ষমতা ভারতকে ক্রিকেট সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ সব সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার দেয় কি? একটি দেশ গোটা প্রতিযোগিতা খেলছে নির্দিষ্ট একটি স্টেডিয়ামে। বাকি দেশগুলিকে খেলতে হচ্ছে একাধিক দেশ ঘুরে। এই পরিস্থিতির জন্য ভারতীয় বোর্ডের দম্ভ, একগুঁয়ে মনোভাব এবং ক্ষমতার অপব্যবহারকে দায়ী করা হচ্ছে। বিভিন্ন সমালোচনার জবাব সমাজমাধ্যমে দিচ্ছেন ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমীরাই। তাঁদের বক্তব্য, বাকি দেশগুলির আসলে কান্নাকাটি করা ছাড়া আর কিছুই করার নেই। ক্ষমতা থাকলে বিদ্রোহ করে দেখাক। বিদ্রুপ করে বলা হচ্ছে, কোনও দেশ টেলিভিশনের রিপ্লেতেও জিততে পারে না! আসল কথা হচ্ছে, দেশের ক্রিকেটকে বাঁচিয়ে রাখার জন্যই অন্য দেশগুলির বোর্ডের পক্ষে বিসিসিআইয়ের বিরোধিতা করার উপায় নেই। বিচ্ছিন্ন ভাবে অসন্তোষ প্রকাশ করলেও ভারতের বিরুদ্ধে কঠোর সিদ্ধান্ত নেওয়ার ধক নেই।

বলা হচ্ছে, ইংল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট বোর্ড ভারতের বিরুদ্ধে জোট বাঁধার সাহস দেখাতে পারলে পরিস্থিতি বদলাতে পারে। আরও কিছু দেশ তাদের সঙ্গে থাকতে পারে। সে ক্ষেত্রে মোসেকির বক্তব্য অপ্রাসঙ্গিক হয়ে যেতে পারে। বিসিসিআইয়ের আর্থিক ক্ষমতা ছাড়াই বাকি বিশ্বে ক্রিকেট টিকে থাকতে পারবে। ক্ষুদ্র ক্রিকেটবিশ্বকে দ্বিখণ্ডিত করার ভাবনা শুরু হয়েছে বিভিন্ন অসমর্থিত স্তরে।

আইসিসির রাজস্ব বণ্টনের পরিবর্তিত নীতি অনুযায়ী, বিসিসিআই এখন মোট উদ্বৃত্ত আয়ের প্রায় ৪০ শতাংশ পায়। যা এখনও বাকি ৯৬টি সহযোগী দেশ এবং অন্য সব বোর্ডের মোট প্রাপ্তির থেকে অনেক কম। কিন্তু বোর্ডভিত্তিক হিসাব করলে দ্বিতীয় স্থানে থাকা ইংল্যান্ডের ৬.৮৯ শতাংশের তুলনায় অনেক বেশি। আইসিসি পরিচালন ব্যবস্থায় ধনতন্ত্রের পরিবর্তে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করার কথা বলা হচ্ছে। সমালোচকদের একাংশ বলছেন, ভারতকে হয় তারা ন্যায্য ভাবে খেলুক, নয়তো একক ভাবে খেলুক। তা হলে হয়তো বাকি দেশগুলির স্বার্থে লভ্যাংশের আরও কিছুটা ছাড়তে রাজি হবে বিসিসিআই।

বাকিদের ব্যর্থতার দায় ভারতের?

বিপরীত মতও রয়েছে। সমালোচকদের আর এক অংশের বক্তব্য, এই বিষয়টা অনেকটা স্বপ্নের মতো। ভারত কেন তাদের পরিশ্রমের অর্জিত অংশের ভাগ ছেড়ে দেবে? অন্য দেশগুলির আর্থিক ব্যর্থতার দায় কেন তারা বহন করবে? ক্রিকেটের বাণিজ্যিকীকরণে অন্য দেশগুলির ব্যর্থতার জন্য তো ভারত দায়ী নয়। একটা বড় সময় ক্রিকেটবিশ্বকে ইংল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়ার অধীনে থাকতে হয়েছে। ভারতকেও সেই প্রভাবের অধীনে থাকতে হয়েছে। পরিস্থিতির পরিবর্তন হয়েছে। বাজারের শক্তি এখন ভারতের পক্ষে। তাই এখন তারা সিদ্ধান্ত নেবে, সেটাই স্বাভাবিক। শুধু আর্থিক নয়। ক্রিকেটীয় সক্ষমতার ক্ষেত্রেও ভারত অনেক এগিয়ে বাকিদের থেকে। জসপ্রীত বুমরাহের মতো বোলারকে ছাড়াই চ্যাম্পিয়ন হতে পারে ভারত। ভারতের ব্যাটারেরা বিশ্বের সেরা, সর্বত্র সফল। ভারতের স্পিনারেরা যে কোনও ধরনের পিচে দক্ষতার সঙ্গে বল করতে পারে। প্রতিপক্ষকে সমস্যায় ফেলতে পারে। ভারতীয় ক্রিকেটের সার্বিক উৎকর্ষের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া উচিত। ভারতের কাছ থেকে শেখার চেষ্টা না করে সকলে সমালোচনা করতে ব্যস্ত। অন্যের নিন্দা করে কখনও নিজের উন্নতি সম্ভব নয়। ভারতকে বাদ দিয়ে ক্রিকেটবিশ্বের সৌন্দর্য নষ্ট করার চেয়ে সম্মিলিত ভাবে চেষ্টা করা উচিত সেই সৌন্দর্য বৃদ্ধি করার। ভারতের স্বনির্ভরতায় ঈর্ষা না করে বাকি দেশগুলিরও স্বনির্ভর হওয়ার চেষ্টা করা উচিত। তা হলেই ক্রিকেটের সর্বোচ্চ প্রশাসনে ভারসাম্য তৈরি হতে পারে।

ICC Champions Trophy Indian Cricket BCCI ICC

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}