রোহিত শর্মা। —ফাইল চিত্র।
রাঁচী টেস্টে ইংল্যান্ডের উপর চেপে বসছে ভারত। বল হাতে রবিচন্দ্রন অশ্বিনের ৫ উইকেট। চতুর্থ টেস্টে জয়ের জন্য ভারতের প্রয়োজন আর ১৫২ রান। তৃতীয় দিনের শেষে কোনও উইকেট না হারিয়ে ৪০ রান তুলেছে ভারত। রোহিত শর্মা অপরাজিত ২৪ রানে। যশস্বী জয়সওয়াল করেছেন ১৬ রান।
প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ড ৩৫৩ রান করে। সেই ইনিংসে জো রুট ১২২ রান করেছিলেন। ১১২ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকা দলকে অক্সিজেক দিয়েছিলেন তিনি। সঙ্গী বেন ফোকস করেছিলেন ৪৭ রান। লোয়ার অর্ডারে অলি রবিনসন গুরুত্বপূর্ণ ৫৮ রান যোগ করেছিলেন। যা ইংল্যান্ডকে ৩৫৩ রান তুলতে সাহায্য করে।
শুকনো পিচে প্রথম দিন থেকেই বল নিচু হচ্ছিল। এমন পিচে রান করা কঠিন হবে বলে মনে করা হয়েছিল। কিন্তু জো রুট দেখিয়ে দেন যে, ধরে খেললে রান আসবে। ভারতীয় ব্যাটারদের অনেকেই সেটা করতে পারলেন না। তবে শুরুতে যশস্বী জয়সওয়াল ৭৩ রান করে দলকে ভরসা দিয়েছিলেন। রবিবার ধ্রুব জুরেল এবং কুলদীপ যাদব মিলে দলকে ভরসা দেন। তাঁদের ব্যাটে ভর করেই এগিয়ে চলেছিল ভারত। জুরেলের লড়াকু ৯০ রান ভারতের রান ইংল্যান্ডের কাছাকাছি জায়গায় পৌঁছে দেয়। কিন্তু শতরান থেকে ১০ রান দূরে আউট হয়ে যান জুরেল। ইংল্যান্ড ৪৬ রানে লিড পেয়ে যায়।
দ্বিতীয় ইনিংসে ইংল্যান্ডকে দাঁড়াতে দেয়নি ভারত। ভারতীয় স্পিনারদের সামলাতে সমস্যায় পড়ছিলেন ইংরেজ ব্যাটারেরা। বেন ডাকেট (১৫) এবং অলি পোপকে (শূন্য) পর পর দু’বলে আউট করে ইংল্যান্ডকে চাপে ফেলে দেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। ১৯ রানে ২ উইকেট হারানোর চাপ সামলাতে পারলেন না স্টোকসেরা। ওপেনার জ্যাক ক্রলি ছাড়া কেউই বলার মতো রান করতে পারলেন না। জো রুট (১১), স্টোকস (৪) দলকে ভরসা দিতে পারলেন না। কিছুটা লড়াই করেছিলেন জনি বেয়ারস্টো।
ক্রলির ব্যাট থেকে এসেছিল ৬০ রানের ইনিংস। উইকেটের অন্য দিকে পর পর উইকেট পড়লেও লক্ষ্যে অবিচল ছিলেন তিনি। সাতটি চার দিয়ে নিজের ইনিংস সাজিয়েছিলেন ক্রলি। চা পানের বিরতির সময় ২২ গজে ছিলেন বেয়ারস্টো। সঙ্গে ছিলেন বেন ফোকস। কিন্তু তাঁরা দলকে বড় রান তুলতে সাহায্য করতে পারেননি। বেয়ারস্টো ৩০ রানে আউট হন। ফোকস করেন ১৭ রান। ইংল্যান্ডের ইনিংস শেষ হয়ে যায় ১৪৫ রানে। রবিচন্দ্রন অশ্বিন নেন ৫ উইকেট। কুলদীপ যাদব নেন ৪ উইকেট। অন্য উইকেটটি নেন রবীন্দ্র জাডেজা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy