রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর অধিনায়ক হিসাবে রজত পাটীদারের নাম ঘোষণার পর সবাইকে তাঁর পাশে থাকতে বলেছিলেন বিরাট কোহলি। কলকাতার এক অনুষ্ঠানে দেখা গিয়েছিল অধিনায়ক পাটীদারকে মাঝখানে রেখে পাশে সরে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে হার মেনে নিতে পারছেন না কোহলি। মাঠেই ক্ষোভ প্রকাশ করলেন তিনি। প্রশ্ন উঠছে, পাটীদারের পাশে সকলকে থাকতে বলে নিজেই কি সরে গেলেন কোহলি?
বৃহস্পতিবার বাউন্ডারিতে ফিল্ডিং করছিলেন কোহলি। সেই সময় বেশ উত্তেজিত ভাবে দীনেশ কার্তিকের সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায় তাঁকে। দলের কোনও একটি সিদ্ধান্ত নিয়ে খুশি হতে পারেননি। সেটাই বোঝাচ্ছিলেন দলের মেন্টর ও ব্যাটিং কোচ কার্তিককে। সম্প্রচারকারী সংস্থার ক্যামেরায় সেটা ধরা পড়ে। যা দেখে ধারাভাষ্যকার আকাশ চোপড়া এবং বীরেন্দ্র সহবাগ মনে করিয়ে দেন যে, কোহলি এখন আর অধিনায়ক নন। তাঁর উচিত কোনও কিছু মনে হলে সেটা অধিনায়ককে বলা। সেখানেই প্রশ্ন উঠছে, কোহলির সঙ্গে কি পাটীদারের দূরত্ব তৈরি হয়েছে?

আরও পড়ুন:
দিল্লি এবং বেঙ্গালুরুর মধ্যে পার্থক্য গড়ে দেন লোকেশ রাহুল। প্রথমে ব্যাট করে বেঙ্গালুরু ১৬৩ রান করেছিল। যে রান তাড়া করতে নেমে ৩০ রানের মধ্যে ৩ উইকেট চলে গিয়েছিল দিল্লির। তার পরেও ৬ উইকেট হাতে নিয়ে ম্যাচ জিতে নেয় তারা। নেপথ্যে রাহুলের ৫৩ বলে অপরাজিত ৯৩ রানের ইনিংস।
পাটীদার যদিও দোষ দিলেন ব্যাটারদের। তিনি ম্যাচ শেষে বলেন, “আমরা পিচ বুঝতে পারিনি। ভেবেছিলাম ব্যাটারেরা সাহায্য পাবে, কিন্তু সেটা হয়নি। আমরা ভাল ব্যাটিং করতে পারিনি। ব্যাটারেরা অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসী হয়ে গিয়েছিল বলে মনে হয় না। কিন্তু ৮০ রানে ১ উইকেট থেকে ৯০ রানে ৪ উইকেট হারানো মেনে নেওয়া যায় না। (বেঙ্গালুরু ৬১ রানে প্রথম উইকেট হারিয়েছিল। ৯১ রানে ৪ উইকেট পড়েছিল ছিল তাদের।) আমাদের দলের ব্যাটিং যথেষ্ট ভাল। এই ধরনের পরিস্থিতি সামলাতে হবে। টিম ডেভিড চেষ্টা করেছিল। পাওয়ার প্লে-তে আমরা ভাল বোলিংও করেছিলাম। বাইরের মাঠে জিতছি ভেবে বসে থাকলে হবে না। আমাদের ভাল ক্রিকেট খেলতে হবে।”