(বাঁ দিকে) বিরাট কোহলি এবং রবিচন্দ্রন অশ্বিন। ছবি: সংগৃহীত।
গত বছর অস্ট্রেলিয়ায় হওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে রুদ্ধশ্বাস জয় পেয়েছিল ভারত। সেই ম্যাচে ৫৩ বলে ৮২ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেছিলেন বিরাট কোহলি। কিন্তু ম্যাচের পরে যাবতীয় চর্চাটা ছিল আর.অশ্বিনকে নিয়ে। সেই ম্যাচে শেষ ওভারে বল করছিলেন পাকিস্তানের বাঁ হাতি স্পিনার মহম্মদ নওয়াজ়। তাঁর শেষ বলে অশ্বিনই বাউন্ডারি মেরে ভারতকে জিতিয়েছিলেন। সেই ম্যাচে ভারতের জেতা-হারা নির্ভর করছিল অশ্বিনের হাতেই। কারণ শেষ বলে তিনিই স্ট্রাইকে ছিলেন। অশ্বিন জানালেন সে দিন শেষ বল খেলার আগে কোহলিকে দেখে মনে হয়েছিল যেন তাঁর উপরে কোনও দৈবশক্তি ভর করেছে।
এত দিন পরে নিজের ইউটিউব চ্যানেলে ভারতের তারকা স্পিনার বলেছেন, “বিরাট আমাকে সেই একটা বল খেলার জন্য সাতটি বিকল্পের কথা বলেছিল। কিন্তু বাস্তবটা হচ্ছে, আমি যদি ওর পরামর্শ অনুযায়ী শট খেলতে পারতাম, তা হলে আট নম্বরে ব্যাট করতাম না! কথাটা অবশ্য নিজের মনেই ভেবেছিলাম, বিরাটকে বলতে পারিনি। আমি বিরাটের দিকে যখন তাকালাম, ওর চোখ দেখে মনে হল যেন অন্য কোনও গ্রহে আছে। ও যেন তখন আর নিজের মধ্যে নেই। আমাকে কিন্তু অচিরেই বাস্তব পরিস্থিতিটা ভাবতে হয়েছিল।’’
নওয়াজ় শেষ বল ওয়াইড করেছিলেন। তাই ভারতের সামনে একটা অতিরিক্ত বল খেলার সুযোগও এসেছিল। স্ট্রাইকে তখন ছিলেন সদ্য মাঠে নামা অশ্বিন। তাঁর সংযোজন, ‘‘ওদের বোলারের ওয়াইড বলের পরেই আমার মনে হয়েছিল, আমরা ম্যাচটা জিততে চলেছি। নিজের মধ্যে ইতিবাচক মনোভাব বজায় রেখেছিলাম ম্যাচের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত। পরে যখনই সেই ম্যাচের ভিডিয়ো দেখেছি, রোমাঞ্চিত হয়েছি।’’
টেস্টে ভারতের এক নম্বর বোলার অশ্বিন আরও জানালেন ঠিক কতটা চাপ নিয়ে সে দিন মেলবোর্নে তাঁকে মাঠে নামতে হয়েছিল, ‘‘আমি মনে মনে খুবই রেগে যাচ্ছিলাম দীনেশ কার্তিকের উপরে, এত কঠিন পরিস্থিতিতে আমাকে ফেলার জন্য। মাঠ ভর্তি দর্শকেরা চিৎকার করছিল। আমি এত দর্শকের সামনে এই ধরনের পরিস্থিতিতে কখনও ব্যাট করিনি।’’ কার্তিক সেদিন মাত্র এক রান করে আউট হয়েছিলেন।
প্রসঙ্গত সেই ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে পাকিস্তান তোলে ১৫৯ রান। জবাবে একটা সময় ৬.১ ওভারে ৩১ রানে ৪ উইকেট পড়ে গিয়েছিল ভারতের। সেই জায়গা থেকে ভারতকে টেনে তুলেছিলেন হার্দিক পাণ্ড্য ও কোহলি। পাণ্ড্য আউট হয়ে গেলেও কোহলি এবং অশ্বিন ভারতকে দুরন্ত জয় উপহার দেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy