বিশ্বকাপে ভারতকেই এগিয়ে রাখলেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। ফাইল ছবি
বারো বছর পর আবার ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ খেলতে নামছে ভারত। এ বছরের শেষ দিকে হবে সেই প্রতিযোগিতা। তিনি দলে থাকবেন কি না জানা নেই। তবে বিশ্বকাপে ভারতকেই এগিয়ে রাখলেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। একই সঙ্গে দাবি তুললেন শিশিরমুক্ত বিশ্বকাপের।
অশ্বিন বলেছেন, “ঘরের মাঠে ভারতের বিশ্বকাপ জেতার সম্ভাবনা বেশি বলেই আমি মনে করি। ২০১৯ বিশ্বকাপের পর থেকে ঘরের মাঠে এক দিনের ক্রিকেটে ভারতের জয়ের পরিসংখ্যান খুবই ভাল। ওয়েস্ট ইন্ডিজ়, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, শ্রীলঙ্কা— যে দলই ভারতে এসেছে, তাদের বিরুদ্ধেই জিতেছে। ৭৮-৮০ শতাংশ ম্যাচে জয় পেয়েছে। ২০১৯ বিশ্বকাপের পর ১৮টা এক দিনের ম্যাচ খেলা হয়েছে ১৪টা মাঠে। অস্ট্রেলিয়া বা ইংল্যান্ডে এই জিনিস নেই। ওরা টেস্ট খেলে ৪-৫টা মাঠে, এক দিনের ক্রিকেট খেলে ২-৩টে মাঠে। তাই হাতের তালুর মতো চেনে। ভারতীয় দল দেশের সব মাঠের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারবে।”
আরও একটি বিষয় তুলে ধরেছেন অশ্বিন। বলেছেন, “ধোনির নেতৃত্বে ২০১১ বিশ্বকাপ জেতার পর থেকে অনেক জল বয়ে গিয়েছে। ভারতীয় ক্রিকেটাররা ইংল্যান্ড, নিউ জ়িল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়ায় গিয়ে খেলে এসেছে। ফলে ওদের আত্মবিশ্বাস তুঙ্গে থাকবে। বাকিরাও অবশ্য এ দেশে আইপিএলের সুবাদে অনেক বার এসেছে। ফলে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে।”
অক্টোবর-নভেম্বরে বিশ্বকাপ হওয়ার কথা। সেই সময় ভারতের বেশির ভাগ মাঠেই শিশিরের সমস্যা থাকবে। এতে পরে ব্যাট করা দল সুবিধা পাবে। অশ্বিনের মতে, ভারত সেই পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারবে। তবে কিছুটা হলেও চিন্তা থাকবেই।
অশ্বিনের কথায়, “পরিবেশের সঙ্গে মোকাবিলা করার চেষ্টা করে লাভ হবে না। কারণ পরিবেশ নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। তাই সবার আগে পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতে হবে। ভারতের দলে এমন অনেক ক্রিকেটার রয়েছে যারা এটা সহজে করতে পারে। তবু যদি কোনও ম্যাচে শিশির, বাউন্ডারির দৈর্ঘ্য বা আরও কিছু জিনিস নিয়ে সমস্যা তৈরি হয়, তা হলে ভারত চিন্তায় পড়তে পারে। তবে আগে দেখতে হবে কতগুলো মাঠে আমরা খেলার সুযোগ পাব। যদি এমন মাঠে খেলা পড়ে যেখানে পরিবেশের প্রভাব ছাড়া স্রেফ দক্ষতার বিচারে খেলা হবে, তা হলে নিঃসন্দেহে ভারত সেখানে বাকিদের থেকে এগিয়ে থাকবে। এই কারণেই আমার মনে হয় শিশিরমুক্ত বিশ্বকাপ আয়োজন করা উচিত আইসিসি-র।”
কিছু দিন আগে অশ্বিন দাবি তুলেছিলেন বেলা সাড়ে ১১টা থেকে এক দিনের ম্যাচ শুরু করার। সেই দাবিকে অনেকে সমর্থনও করেছেন। এ দিনও একই কথা বলেছেন অশ্বিন। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে প্রথম এক দিনের ম্যাচকে তিনি উদাহরণ হিসাবে তুলে ধরেছেন, যেখানে ভারতের দখলে বিরাট রান থাকা সত্ত্বেও তারা শেষ দিকে গিয়ে সমস্যায় পড়ে।
শুধু শিশির নয়, বাউন্ডারির দৈর্ঘ্য নিয়েও আপত্তি রয়েছে অশ্বিনের। তাঁর মতে, বিজ্ঞাপনী বোর্ডের কারণে বাউন্ডারির দৈর্ঘ্য ১০-১২ মিটার কমিয়ে দিতে হয়, যা সুবিধা করে দেয় ব্যাটারদের। বলেছেন, “হায়দরাবাদ বড় মাঠ। কিন্তু এলইডি বোর্ডের কারণে তার বাউন্ডারির দৈর্ঘ্য কমে যায়। সব মাঠেই একই সমস্যা। বিশেষত পুরনো মাঠগুলোতে, যেগুলো টি-টোয়েন্টির কথা ভেবে তৈরি হয়। সেই জন্যেই হায়দরাবাদে ৭০ মিটারের বাউন্ডারি কমে দাঁড়ায় ৫৮ মিটারে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy