মহেন্দ্র সিংহ ধোনির ব্যাটিং দেখে রেগে গিয়েছিলেন রবি শাস্ত্রী। সেই ঘটনা এ বার প্রকাশ্যে এল। —ফাইল চিত্র
মহেন্দ্র সিংহ ধোনির ব্যাটিংয়ে রেগে গিয়েছিলেন রবি শাস্ত্রী। এতটাই রেগে গিয়েছিলেন যে তাঁকে দল থেকে বার করে দেওয়ার হুমকি পর্যন্ত দিয়েছিলেন তিনি। ভারতের প্রাক্তন কোচের সেই কথা প্রকাশ্যে আনলেন শাস্ত্রীর সঙ্গে কাজ করা ভারতের তৎকালীন ফিল্ডিং কোচ আর শ্রীধর।
নিজের আত্মজীবনীতে শাস্ত্রী-ধোনি প্রসঙ্গ টেনে এনেছেন শ্রীধর। ঘটনাটি ঘটেছিল ২০১৮ সালে ইংল্যান্ড সফরে। দ্বিতীয় এক দিনের ম্যাচ ইংল্যান্ডের করা ৩২৩ রান তাড়া করতে গিয়ে বিরাট কোহলি ও সুরেশ রায়না আউট হওয়ার পরে চাপে পড়ে গিয়েছিল ভারত। দলকে টানার দায়িত্ব একা গিয়ে পড়েছিল ধোনির কাঁধে। কিন্তু জেতার চেষ্টাই নাকি করেননি ধোনি। মন্থর ব্যাটিং করেছিলেন তিনি। ধোনির মনোভাব পছন্দ হয়নি শাস্ত্রীর।
আত্মজীবনীতে শ্রীধর লিখেছেন, ‘‘ধোনি যখন ক্রিজে ছিল তখন প্রতি ওভারে ১৩ রান করে দরকার ছিল। হঠাৎ যেন ও দোকান বন্ধ করে দিল। পরের ছ’ওভারে মাত্র ২০ রান উঠল। শেষ পর্যন্ত ধোনিও আউট হয়ে গেল। আমরা বড় ব্যবধানে হারলাম। ওই ম্যাচেই ধোনি নিজের আন্তর্জাতিক কেরিয়ারে ১০ হাজার রান করেছিল। কিন্তু ওর খেলায় খুশি হয়নি শাস্ত্রী। ওর চোখ-মুখ দেখে সেটা বোঝা যাচ্ছিল।’’
সেই ম্যাচে ৫৯ বল খেলে ৩৭ রান করেছিলেন ধোনি। তিনি আউট হয়ে ফেরার পরে শাস্ত্রী কিছু বলেননি। কিন্তু পরের ম্যাচের আগে শাস্ত্রী বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, ক্রিকেটারদের কাছে কী চাইছেন তিনি। শ্রীধর লিখেছেন, ‘‘আমরা ৮৬ রানে হেরে যাওয়াতে শাস্ত্রী রাগেনি। ওর রাগ ছিল আমাদের খেলার ধরনে। ধোনি যে ম্যাচ জেতার কোনও চেষ্টা করেনি, সেটা মানতে পারেনি শাস্ত্রী। সে দিন ও কিছু বলেনি। কিন্তু পরের ম্যাচের আগে সাজঘরে নিজের ক্ষোভ দেখিয়েছিল শাস্ত্রী।’’
ধোনিকে সরাসরি কিছু বলেননি শাস্ত্রী। ধোনির নাম নেননি। কিন্তু সবাই বুঝতে পেরেছিল, কথাগুলি ধোনিকেই বলেছেন তিনি। বইয়ে শ্রীধর লিখেছেন, ‘‘শাস্ত্রী বলেছিল, ‘আমরা ম্যাচ হারতেই পারি। কিন্তু জেতার চেষ্টা না করে হার আমি মানতে পারব না। অন্তত আমার কোচিংয়ে সেটা হবে না। যদি আমার কোচিংয়ে সেটা কেউ করে তা হলে সেটাই তার শেষ ম্যাচ হবে।’ শাস্ত্রী কারও নাম না নিলেও ধোনির দিকে তাকিয়ে কথাটা বলেছিল। সবাই বুঝতে পারছিল কার উপর ও রেগে আছে।’’
ধোনি অবশ্য পাল্টা কিছু বলেননি। ঠান্ডা মাথায় পুরোটা শুনেছিলেন। শাস্ত্রীর চোখে চোখ রেখে বসেছিলেন তিনি। ধোনির এই গুণেরও প্রশংসা করেছেন শ্রীধর। তিনি লিখেছেন, ‘‘ধোনি এক জায়গায় বসে শাস্ত্রীর চোখের দিকে তাকিয়েছিল। এক বারের জন্যও চোখ সরায়নি। নিজের ভুল বুঝতে পেরেছিল ধোনি। নিজের ভুল স্বীকার করতে ভয় পেত না ধোনি। এটা ওর একটা বড় গুণ।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy