চহাল তাঁর এই নতুন অভিজ্ঞতায় বলেছেন, ‘‘২০১১ সালে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতার পরে চেন্নাইয়ের হোটেলে অ্যান্ড্রু সাইমন্ডস প্রচুর ফলের রস খেয়ে (বলে হাসেন চহাল) এবং জেমস ফ্র্যাঙ্কলিন আমার হাত-পা, মুখ বেঁধে বলে এ বার বাঁধন খুলে মুক্ত হতে হবে তোমাকে।
বিতর্ক: চহালকে নিগ্রহ করেছিলেন সাইমন্ডস। ফাইল চিত্র
ভারতীয় ক্রিকেটার যুজ়বেন্দ্র চহালের ২০১৩ সালে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সে খেলার সময়ে যে ঘটনায় প্রাণ বিপন্ন হয়েছিল, সেই খবরে কড়া প্রতিক্রিয়া দিলেন প্রাক্তন ভারতীয় কোচ রবি শাস্ত্রী। তাঁর মতে, সতীর্থকে শারীরিক নির্যাতন করেছিল যে ক্রিকেটার তাঁকে কড়া শাস্তি দেওয়া হোক, যাতে সে ক্রিকেট মাঠে ঢুকতে না পারে। আজীবনের জন্য নির্বাসিত করা হোক তাঁকে।
সম্প্রতি চহাল এক অনুষ্ঠানে জানিয়েছিলেন, ২০১৩ সালে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সে খেলার সময় এক সতীর্থ মদ্যপ অবস্থায় তাঁকে হোটেলের ১৫ তলার বারান্দা থেকে ঝুলিয়ে রেখে দিয়েছিলেন। যা শোনার পরে শাস্ত্রী বলেছেন, ‘‘যদি সংশ্লিষ্ট ক্রিকেটার সে দিন বেহুঁশ অবস্থায় এ সব করে থাকে, তা হলে সেটি চিন্তার বিষয়।’’
একটি ক্রিকেট ওয়েবসাইটকে শাস্ত্রী বলেন, ‘‘বিষয়টি হাসির ব্যাপার নয় মোটেই। আমি জানি না, কে এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত। নিশ্চিত সে দিন সংশ্লিষ্ট ক্রিকেটার বেহুঁশ ছিল। যদি তা-ই হয়ে থাকে, সেটি চিন্তার বিষয় তো বটেই।’’ যোগ করেছেন, ‘‘যে এটি করেছে, সে মোটেও প্রকৃতস্থ অবস্থায় ছিল না। এই ধরনের ঘটনায় বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ভুল হয়ে অঘটন ঘটে। এটা কোনওমতেই বরদাস্ত করা যায় না।’’ শাস্ত্রী আরও বলেন, ‘‘এই ধরনের কুকীর্তির খবর এই প্রথম আমি শুনছি। এটা মোটেও মজার ঘটনা নয়। যদি আজকের দিনে এ ধরনের ঘটনা ফের ঘটে, তা হলে আমি নিশ্চিত জড়িত ব্যক্তি সারাজীবন নির্বাসিত হবেন। আর সেই ব্যক্তিকে পুনর্বাসন কেন্দ্রে পাঠাতে হবে দ্রুত। আজীবন নির্বাসিত হয়ে ক্রিকেট মাঠের ধারেকাছে আসতে না পারলেই তিনি বুঝতে পারবেন, এটা কতটা মজার বা কতটা নির্যাতন।’’
শাস্ত্রীর মতে, এ রকম ঘটনা ঘটলেই ক্রিকেটারদের উচিত তৎক্ষণাৎ তা দল পরিচালন সমিতিকে জানানো। কারণ দেরি করলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। ক্রিকেটারদের উদ্দেশ্যে তাঁর পরামর্শ, ‘‘কেউই নিশ্চয়ই চাইবে না, এ রকম ঘটনার জেরে কোনও দুর্ঘটনা ঘটে যাক। এ রকম হলে তৎক্ষণাৎ দল পরিচালন সমিতিকে গোটা বিষয়টি জানানো দরকার। ঠিক যে রকম ম্যাচ গড়াপেটা সংক্রান্ত ঘটনার আভাস পেলে বা প্রস্তাব এলে দুর্নীতি দমন শাখাকে জানানো হয়ে থাকে, সে রকম ভাবেই দল পরিচালন সমিতিকে এই বিষয়েও ওয়াকিবহাল রাখা প্রয়োজনীয়।’’
সেখানেই শেষ হচ্ছে না চহাল-কাহিনি। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সে খেলার সময় তিনি যে আরও দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছিলেন, সেই গল্পও ফাঁস করেছেন রাজস্থান লেগস্পিনার। সে বার অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটার অ্যান্ড্রু সাইমন্ডস ও জেমস ফ্র্যাঙ্কলিন তাঁর হাত-পা মুখ বেঁধে একটি ঘরে ঢুকিয়ে চাবি দিয়ে চলে যান। ভুলেই গিয়েছিলেন চহালকে ঘর থেকে বার করার কথা। পরের দিন সকালে সাফাইকর্মী দরজা খুলে উদ্ধার করেন তাঁকে।
চহাল তাঁর এই নতুন অভিজ্ঞতায় বলেছেন, ‘‘২০১১ সালে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতার পরে চেন্নাইয়ের হোটেলে অ্যান্ড্রু সাইমন্ডস প্রচুর ফলের রস খেয়ে (বলে হাসেন চহাল) এবং জেমস ফ্র্যাঙ্কলিন আমার হাত-পা, মুখ বেঁধে বলে এ বার বাঁধন খুলে মুক্ত হতে হবে তোমাকে। আমাকে ঘরে বন্ধ করে রেখে ওরা পার্টি করতে চলে যায়।’’ যোগ করেছেন, ‘‘পার্টি শেষ হয় সকালে। সাফাই কর্মীরা আমার বাঁধন খুলে মুক্ত করেন। জিজ্ঞাসা করেন, কতক্ষণ এ ভাবে পড়ে ছিলাম। আমি বলি, সারা রাত ধরে এ ভাবেই ছিলাম। তাঁরা অবাক হয়ে যান।’’ সেই ঘটনার জন্য সাইমন্ডস বা ফ্র্যাঙ্কলিন কি ক্ষমা চেয়েছিলেন? চহাল বলেন, ‘‘না, ক্ষমা চায়নি। বলেছিল, ফলের রস বেশি খেলে পরিস্থিতি ওদের নিয়ন্ত্রণে থাকে না। ওদের কিছু মনেও থাকে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy