ফাইনালে ওঠার দিকে লক্ষ্মীর বাংলা। ছবি: পিটিআই
শুক্রবারের পর থেকে যদি মনোজ তিওয়ারিরা আরও এক বার রঞ্জি ট্রফির ফাইনাল খেলার স্বপ্ন দেখতে শুরু করে দেন, তা হলে অবাক হওয়ার কিছু নেই। অঘটন না হলে এ বারও রঞ্জি ট্রফির ফাইনাল খেলতে চলেছে বাংলা। মধ্যপ্রদেশের বিরুদ্ধে তৃতীয় দিনের শেষে ৩২৭ রানে এগিয়ে বাংলা। দ্বিতীয় ইনিংসে ২ উইকেটে ৫৯ তুলেছে তারা।
হাতে এখনও আট উইকেট। চতুর্থ দিন মনোজদের লক্ষ্য থাকবে যত বেশি সম্ভব রানের বোঝা মধ্যপ্রদেশের ঘাড়ে চাপিয়ে দেওয়া। এমনিতেই চতুর্থ ইনিংসে মধ্যপ্রদেশকে ব্যাট করতে হবে, যা ইনদওরের পিচে সহজ কাজ নয়। মধ্যপ্রদেশকে অলআউট করে বাংলার সরাসরি জয়ের সম্ভাবনা থাকছে। না হলে প্রথম ইনিংসে লিডের ভিত্তিতে এমনিই ফাইনালে চলে যেতে পারে বাংলা।
গত বছর সেমিফাইনালে মধ্যপ্রদেশের কাছে হার এখনও যে বাংলার ক্রিকেটাররা ভোলেননি, সেটা তাঁদের খেলায় বোঝা যাচ্ছে। দুই ব্যাটার অনুষ্টুপ মজুমদার এবং সুদীপ ঘরামি শতরান করেছিলেন। বল হাতেও দুরন্ত খেললেন বাংলার বোলাররা। মধ্যপ্রদেশের প্রথম ইনিংস শেষ হয়ে গেল ১৭০ রানেই। ইনদওরের পিচে জ্বলে উঠলেন আকাশ দীপ। ৪২ রানে পাঁচ উইকেট নিলেন তিনি। দু’টি উইকেট শাহবাজ আহমেদের। মুকেশ কুমার এবং ঈশান পোড়েল একটি করে উইকেট পেয়েছেন। সারাংশ জৈনের অর্ধশতরান এবং শুভম শর্মার অপরাজিত ৪৪ বাদে বলার মতো আর কেউ রান করেননি।
প্রথম ইনিংসে ২৬৮ রানে এগিয়ে থাকা সত্ত্বেও বিপক্ষকে ফলো-অন করায়নি বাংলা। সম্ভবত বোলারদের বিশ্রাম দেওয়া এবং চতুর্থ ইনিংসে ব্যাট না করার ঝুঁকি নেওয়ার কারণেই এই সিদ্ধান্ত। ব্যাট করতে নেমে অবশ্য এ বারও দুই ওপেনার বড় জুটি গড়তে পারলেন না। সারাংশের বলে বোল্ড হয়ে ১৯ রানেই সাজঘরে ফিরলেন করণ লাল। বোল্ড হলেন অভিমন্যু ঈশ্বরণ। তাঁকে তুলে নিলেন কুমার কার্তিকেয়। তাঁর বলের লাইন বুঝতেই পারেননি অভিমন্যু। দিনের শেষে ২ উইকেট হারিয়ে ৫৯ তুলেছে বাংলা। উইকেটে সুদীপ (১২) এবং অনুষ্টুপ (৯)।
তার আগে, ৬ উইকেট হারিয়ে মধ্যাহ্নভোজে গিয়েছিল মধ্যপ্রদেশ। ফিরে এসে সারাংশ এবং শুভম বাংলার বোলারদের বিরুদ্ধে পাল্টা লড়াই শুরু করেন। ৫৪ রানের জুটি গড়েন তাঁরা। কিন্তু আকাশ দীপ সেই জুটি ভেঙে দেন। সারাংশকে ফিরিয়ে দেন তিনি। বোল্ড হয়ে যান সারাংশ। পরের বলেই কুমার কার্তিকেয়র উইকেট তুলে নেন আকাশ। আবেশ খানও কোনও রান করতে পারেননি। তাঁর উইকেটও নেন আকাশ।
শেষ উইকেটটি রান আউট হয়। গৌরব যাদবকে নন স্ট্রাইকারের দিকে খেলতে চাইছিলেন শুভম। তাই শেষ বলে রান নিতে যান তিনি। সেই সময় অনুষ্টুপ মজুমদারের থ্রো ধরে উইকেট ভেঙে দেন অভিষেক পোড়েল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy