ছন্দ খুঁজছেন বিরাট-রোহিত। —ফাইল চিত্র
পর পর দশটি কোন। প্রত্যেকটির উপর রাখা একটি করে লাল ক্রিকেট বল। ব্যাটার আসছেন বলের পিছনে, পা এবং ব্যাট জায়গায় নিয়ে যাচ্ছেন। তার পর সেই বলে শট খেলছেন। পর পর দশটি বলের পিছনে এসে একই কাজ করলেন ব্যাটার। এর পর সবক’টি বল কুড়িয়ে আনলেন নিজেই। মাটিতে পড়ে থাকা কোনগুলি সাজিয়ে ফের তার উপর বল বসালেন। ফের শুরু অনুশীলন।
রোহিত শর্মার কোচ দীনেশ লাড জানালেন এই অনুশীলনের নাম ‘কোন প্র্যাকটিস’। রঞ্জি ট্রফিতে মুম্বইয়ের হয়ে অভিষেক ম্যাচে ২৫২ রান করা সুভেদ পারকারকে এই অনুশীলনই করিয়েছিলেন দীনেশ। উত্তরাখণ্ডকে হারিয়ে রঞ্জির সেমিফাইনালে পৌঁছে গিয়েছে মুম্বই। সুভেদের ২৫২ রানের দাপটে এই জয় এসেছে সহজেই। একটা সময় ছন্দ হারানো সুভেদ রানে ফিরতে ‘কোন প্র্যাকটিস’ করতেন। কী লাভ এই অনুশীলনে?
আনন্দবাজার অনলাইনকে দীনেশ বললেন, “এই অনুশীলনে এক জন ব্যাটারকে সব কিছু একা একা করতে হয়। নিজেকে কোন সাজাতে হয়। বল তুলে আনতে হয়। একাগ্রতা বাড়ে এই অনুশীলনে। কোনের কোন জায়গায় পা রাখলে ঠিক ভাবে বল মারা যাবে, সেই অনুশীলন করলে পায়ের নড়াচড়া ঠিক হয়।” এই অনুশীলনই ছন্দে ফেরায় সুভেদকে। আনন্দবাজার অনলাইনকে মুম্বইয়ের ব্যাটার বললেন, “প্রতি দিন এক ঘণ্টা ‘কোন প্র্যাকটিস’ করতাম। তার পর নেটে ব্যাটিং অনুশীলন করতাম। মুম্বইয়ের ঘরোয়া লিগ টাইমস শিল্ডের সময় এই ‘কোন প্র্যাকটিস’ করতাম। তিন সপ্তাহ এই অনুশীলন করেছিলাম।”
তিন সপ্তাহের অনুশীলনেই ছন্দ খুঁজে পেয়েছিলেন সুভেদ। টাইমস শিল্ডে রান করেন। রঞ্জি দলে জায়গা করে নেন। রঞ্জি অভিষেকে ২৫২ রানের ইনিংস খেলেন। মুম্বইয়ের দ্বিতীয় ব্যাটার হিসাবে অভিষেক ম্যাচে আড়াইশো রানের ইনিংস খেলেন সুভেদ। তাঁর আগে এই কীর্তি ছিল অমল মজুমদারের। তিনি বর্তমানে মুম্বই দলের কোচ। সুভেদ বললেন, “আমার ব্যাটিং অমল স্যরের খুব পছন্দ হয়েছে। তবে খুব বেশি কিছু বলেননি উনি।”
এই ধরনের অনুশীলন দীনেশ ছাড়াও আরও অনেক কোচই করান। দীনেশ এই অনুশীলনে বেশি জোর দেন। সুভেদকে ‘কোন প্র্যাকটিস’ করার উপদেশ দেওয়া দীনেশ তাঁর অন্য ছাত্রদেরও এই অনুশীলন করার পরামর্শ দেন। বললেন, “সব ছাত্রকেই আমি এই অনুশীলন করাই। আমার ছ’বছরের নাতিকেও করাই। এই অনুশীলন একাগ্রতা বাড়াতে সাহায্য করে। পায়ের নড়াচড়া ঠিক করে।” বিরাট কোহলীর ভক্ত সুভেদের পছন্দের আরও এক ক্রিকেটার জো রুট। ইংল্যান্ডের প্রাক্তন অধিনায়কের ব্যাটিং দেখতে পছন্দ করেন তিনি। রুটের পায়ের নড়াচড়া দেখেন। সেখান থেকে শিখতে চেষ্টা করেন।
দীনেশ জানিয়েছেন রোহিত শর্মাকে কখনও এই অনুশীলন করাননি। রোহিত যখন তাঁর কাছে খেলা শিখতেন সেই সময় এই পদ্ধতি জানতেন না দীনেশ। পরে শিখেছেন। ভারতীয় ক্রিকেটের দুই মহারথী রোহিত এবং বিরাট এই মুহূর্তে ছন্দহীন। তাঁরাও এই অনুশীলন করবেন কি? দীনেশ মনে করেন, এটা তাঁদের ব্যাপার। তিনি বললেন, “ছন্দ হারানো যে কোনও ব্যাটার এই অনুশীলন করলে তার উপকার হবে।”
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy