Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Arun lal

Ranji Trophy 2022: ৮৮ রানে অল আউট হওয়ার পরে কী ভাবে ঘুরে দাঁড়াল দল, জানালেন মনোজ, অভিমন্যুরা

বাংলার জয়ের পর দলকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সিএবি সভাপতি অভিষেক ডালমিয়া। তিনি বলেন, “তারুণ্য এবং অভিজ্ঞতার মিশেল রয়েছে এই দলে। অভিমন্যু সামনে থেকে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছে এবং আত্মবিশ্বাস ভরে দিয়েছে দলটার মধ্যে।” সিএবি সচিব স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “এই রকম জয় এনে দেওয়ার জন্য দলকে অভিনন্দন।”

মনোজ তিওয়ারি, অরুণ লাল, অভিমন্যু ঈশ্বরণ।

মনোজ তিওয়ারি, অরুণ লাল, অভিমন্যু ঈশ্বরণ। ফাইল চিত্র

শান্তনু ঘোষ
কলকাতা শেষ আপডেট: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১৭:৩৬
Share: Save:

প্রথম ইনিংসে ৮৮ রানে অল আউট হয়ে যাওয়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসে ৩৫০ রান করে ম্যাচ জেতা যে কোনও পরিস্থিতিতেই কৃতিত্বের দাবি রাখে। বাংলা দলের অধিনায়ক, কোচ, অভিজ্ঞ ক্রিকেটাররা যদিও বলছেন তাঁরা নিজেদের উপর থেকে আত্মবিশ্বাস হারাননি।

রবিবার বরোদার বিরুদ্ধে রঞ্জির প্রথম ম্যাচে ৩৪৯ রানের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় বাংলা। শনিবার ৭৯ রান করেছিলেন অভিমন্যু ঈশ্বরণ। সেই রানেই রবিবার ফিরে যান তিনি। তবে দল ভেঙে পড়েনি। ম্যাচ জিতেই মাঠ ছাড়েন শাহবাজ আহমেদ এবং অভিষেক পোড়েল। ম্যাচ শেষে আনন্দবাজার অনলাইনকে অভিমন্যু বললেন, “আমাদের ব্যাটিং খুব ভাল হয়েছে। নিজেদের উপর আত্মবিশ্বাস ছিল যে বড় রান তাড়া করে আমরা জিততে পারি। একটা খারাপ দিন যেতেই পারে। বোলাররা ভাল খেলে আমাদের ম্যাচে ফিরিয়ে এনেছিল। নইলে ৪০০-৪৫০ রানও তাড়া করতে হতে পারত। কিন্তু আমরা পরিশ্রম করেছি, নিজেদের উপর বিশ্বাস রেখেছিলাম যে আমরা পারব।”

অভিজ্ঞ মনোজ তিওয়ারিও খুশি দলের জয়ে। তিনি বললেন, “আমরা আত্মবিশ্বাসী ছিলাম। উইকেট থেকে সাহায্য পাব সেটা জানতাম। প্রথম ইনিংসে কম রানে আউট হয়ে যাওয়া মানেই সব শেষ নয়। বোলাররা খুব ভাল বল করেছে। ওদের জন্যই লক্ষ্য ৩৪৯ রানের মধ্যে আটকে রাখা সম্ভব হয়েছিল। ওরা ভাল বল না করলে আরও বড় রান করতে হতে পারত। অভিমন্যু আর সুদীপ ঘরামি ভাল শুরু করেছিল। অনুষ্টুপ ভাল খেলেছে। সবাই খুব নির্ভয়ে খেলেছে।”

রঞ্জিতে প্রথম ম্যাচে বরোদাকে হারানোর পর বাংলার ক্রিকেটারদের উল্লাস।

রঞ্জিতে প্রথম ম্যাচে বরোদাকে হারানোর পর বাংলার ক্রিকেটারদের উল্লাস। ছবি: সিএবি

কটকে এ দিন মেঘলা আকাশ ছিল। তার মধ্যে ব্যাট করা কঠিন ছিল বলেই মনে করছেন কোচ অরুণ লাল। তিনি বললেন, “মধ্যাহ্নভোজ পর্যন্ত উইকেট স্যাঁতসেতে ছিল। মেঘলা আকাশের জন্য ব্যাট করা খুব কঠিন ছিল। শাহবাজ মাথা ঠাণ্ডা রেখে জয় এনে দিল দলকে। এই জয়ের ধারা ধরে রাখতে চাই আগামী দিনে।”

বাংলার সহকারী কোচ সৌরাশিস লাহিড়ী বললেন, “দলের মধ্যে কোনও নেতিবাচক দিক নেই। সবাই খুব ভাল ফিল্ডিং করেছে। অভিমন্যু দুর্দান্ত নেতৃত্ব দিয়েছে। নিজে ব্যাট করেছে খুব ভাল।” তিনি জানালেন এটাই রান তাড়া করে বাংলার সেরা জয়। এত রান তাড়া করে রঞ্জিতে আগে কখনও জেতেনি বাংলা।

বাংলার জয়ের পর দলকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সিএবি সভাপতি অভিষেক ডালমিয়া। তিনি বলেন, “তারুণ্য এবং অভিজ্ঞতার মিশেল রয়েছে এই দলে। অভিমন্যু সামনে থেকে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছে এবং আত্মবিশ্বাস ভরে দিয়েছে দলটার মধ্যে।” সিএবি সচিব স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “এই রকম জয় এনে দেওয়ার জন্য দলকে অভিনন্দন।”

পরের ম্যাচ নিয়ে এখনই ভাবছেন না বলে জানিয়েছেন অভিমন্যু। তিনি বলেন, “দলের সকলে মিলে আনন্দ করছি। পরের ম্যাচ নিয়ে এখনই ভাবছি না। সবাই পরের ম্যাচের আগে তরতাজা হয়ে উঠুক।”

বাংলার পরের ম্যাচ হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে কটকেই। ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু সেই ম্যাচ।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy