বরোদার বিরুদ্ধে জয়ের পর বাংলা। ছবি: সিএবি
তিন ম্যাচে জিতে রঞ্জির নক আউট পর্বে পৌঁছে গেল বাংলা। কটক থেকে ফোনে আনন্দবাজার অনলাইনের সঙ্গে কথা বলার সময় মনোজ তিওয়ারি, অভিমন্যু ঈশ্বরণ, অরুণ লালদের গলায় উচ্ছ্বাস। গ্রুপ পর্ব থেকে আত্মবিশ্বাস নিয়ে নক আউটের অঙ্ক কষা শুরু বাংলা দলের।
অরুণ লাল, কোচ
ছেলেদের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দিয়েছিল বরোদার বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংসে ৮৮ রান করার পর দ্বিতীয় ইনিংসে সাড়ে তিনশো রান করে জয়। সেই আত্মবিশ্বাসই বাকি ম্যাচ জিততে সাহায্য করেছে। আমরা জয়ের মধ্যে রয়েছি। ধারাবাহিকতা দেখাতে পেরেছি। এটাই আসল। এখনই নক আউট নিয়ে ভাবছি না। আপাতত সবাই বিভিন্ন লিগ খেলতে ব্যস্ত হয়ে যাবে। ম্যাচ প্রাকটিস হবে ওখানেই।
সৌরাশিস লাহিড়ী, সহকারী কোচ
যে ভাবে ছেলেরা খেলেছে সেটা খুব তৃপ্তির। নক আউট নিয়ে এখনই ভাবছি না। ছুটি কাটাব এক সপ্তাহ। বাংলার ক্রিকেটের জন্য এই দিনটা মনে রাখার মতো। ক্লাব, আইপিএল খেলে সবাই ফিরলে তখন আবার ভাবনা চিন্তা করব। ছন্দ ধরে রাখা নিয়ে চিন্তিত নই। সকলে খেলার মধ্যেই থাকবে।
অভিমন্যু ঈশ্বরণ, অধিনায়ক
এই জয়গুলো আমাদের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দিয়েছে। প্রথম ম্যাচে ৩৫০ তুলে জয় আমাদের আলাদা ভাবে উল্লেখ করতেই হবে। তবে প্রথম দু’টি ম্যাচ জিতে গ্রুপ শীর্ষে থেকে পরের পর্বে যাওয়া প্রায় নিশ্চিত হয়ে যাওয়ার পরেও সকলে যে ভাবে জয়ের জন্য লড়াই করেছে সেটা অবিশ্বাস্য। সকলের মধ্যে জয়ের খিদে রয়েছে। বিভিন্ন কঠিন পরিস্থিতি থেকে ম্যাচ জেতা নক আউট পর্বে আমাদের সাহায্য করবে।
মনোজ তিওয়ারি, প্রাক্তন অধিনায়ক এবং দলের অভিজ্ঞ ব্যাটার
জয়টাকে অভ্যেসে পরিণত করে ফেলেছে বাংলা দল। এটা খুব প্রয়োজন। দলটার মধ্যে একটা ছন্দ তৈরি হয়ে গিয়েছে। প্রতিটা ম্যাচে একেক রকমের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। সেখান থেকে আমরা ম্যাচগুলিকে বার করতে পেরেছি। বোলারদের বিশেষ ভাবে কৃতিত্ব দিতেই হবে। রান তাড়া করে জয় হোক বা শেষ ওভারে গিয়ে উইকেট নিয়ে ম্যাচ জেতা, অনেক ধরনের অভিজ্ঞতা হল এই তিন ম্যাচে।
অনুষ্টুপ মজুমদার, প্রাক্তন অধিনায়ক এবং দলের অভিজ্ঞ ব্যাটার
গ্রুপের প্রথম দল হওয়াই আমাদের লক্ষ্য ছিল। নইলে নক আউটে যাওয়া যেত না। প্রথম ম্যাচ জিতে আত্মবিশ্বাসটা পেয়ে গিয়েছিলাম। কোয়ার্টার ফাইনালে সেটা ধরে রাখতে পারলে ভাল হবে। তবে মাঝে যে গ্যাপটা রয়েছে সেটা একটা প্রভাব ফেলতে পারে। কিন্তু এর একটা ইতিবাচক দিকও রয়েছে। যে ব্যাটার ছন্দে নেই, সে ছন্দ খুঁজে পেতে পারে। নিজেদের ভুল শুধরে নেওয়ার সুযোগ পাওয়া যাবে এই মাঝের সময়টাতে। দু’বছর আগে রঞ্জি ফাইনাল খেলেছিলাম, সেই ছন্দ আমরা এখনও ধরে রেখেছি। সেখানে এই দু’মাস সময় আলাদা করে প্রভাব নাও ফেলতে পারে।
অভিষেক পোড়েল, উইকেটরক্ষক এবং দলে সদ্য অভিষিক্ত
দুর্দান্ত অভিজ্ঞতা। খুব উত্তেজিত ছিলাম প্রথম ম্যাচের সময়। অনেক কিছু শিখেছি সিনিয়র ক্রিকেটারদের থেকে। তাঁদের থেকে প্রচুর ভালবাসা পেয়েছি। এ বার অনূর্ধ্ব ১৯ এবং অনূর্ধ্ব ২৫ দল খেলব। তারপর ফের রঞ্জি খেলার জন্য ফিরব। সিনিয়ররা আমাকে বলেছেন, কেরিয়ারের সবে শুরু, তাই সাফল্য পেলেও পা মাটিতে রাখতে। এই ভাল খেলাটাই চালিয়ে যাওয়ার উপদেশ দিয়েছেন তাঁরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy