—ফাইল চিত্র
অরুণ লাল ফোন করে খেলতে বলেছিলেন। বাংলা দলও চাইছে তিনি খেলুন। কিন্তু ঋদ্ধিমান সাহা নিজের সিদ্ধান্তে অটল। তিনি বাংলার হয়ে খেলবেন না। এটা নিয়ে আর বেশি ভাবতে চাইছে না দল। ঋদ্ধি-পর্ব থেকে বেরিয়ে আসতে চাইছে বাংলা। তবু ঋদ্ধি তো, একটা খচখচানি রয়েই যাচ্ছে বাংলার রঞ্জি দলে।
৬ জুন থেকে ঝাড়খণ্ডের সঙ্গে বাংলার রঞ্জি কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচ শুরু। তার আগে বাংলার সহকারী কোচ সৌরাশিস লাহিড়ী বললেন, “ঋদ্ধির অভিজ্ঞতা প্রচুর। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেছে। ছন্দে রয়েছে। ওর মতো ক্রিকেটারকে কোয়ার্টার ফাইনালে পেলে দলের উপকার হত।’’ এটুকু বলার পরেই তিনি যোগ করেন, ‘‘তবে গ্রুপ পর্বে তো ঋদ্ধি ছিল না। তাও আমরা তিনটে ম্যাচ জিতেছি। তাই নক আউট পর্বেও আমরা আত্মবিশ্বাসী।”
বেঙ্গালুরুতে কর্নাটকের বিরুদ্ধে একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছে বাংলা। অমীমাংসিত ভাবে শেষ হয় সেই ম্যাচ। প্রথম ইনিংসে কর্নাটক ৪৬০ রান তোলে সাত উইকেট হারিয়ে। বাংলার প্রথম ইনিংস শেষ হয়ে যায় মাত্র ১২৭ রানে। দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলা দুই উইকেটে ১৯৭ রান তোলে। অভিমন্যু ঈশ্বরন (৫২) এবং সুদীপ চট্টোপাধ্যায় (৫১) রান পেয়েছেন। কোয়ার্টার ফাইনালে নামার আগে বৃহস্পতিবার থেকে উত্তরাখণ্ডের বিরুদ্ধে আরও একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে বাংলা।
সৌরাশিস বললেন, “লাল বলের ক্রিকেটে অনেক দিন পর খেলতে নামছে দল। মানিয়ে নিতে একটু সময় লাগবে। কোয়ার্টার ফাইনালে নামার আগে ঠিক ছন্দ পেয়ে যাবে সকলে।” গ্রুপ পর্বে বাংলা শেষ ম্যাচ খেলেছিল ৬ মার্চ, চণ্ডীগড়ের বিরুদ্ধে।
আইপিএল খেলতে ব্যস্ত ছিলেন বাংলার রঞ্জি দলে থাকা চার ক্রিকেটার। ২৭ মে বাংলা দল বেঙ্গালুরু গেলেও তাই যোগ দিতে পারেননি শাহবাজ আহমেদ, ঈশান পোড়েল, আকাশ দীপ এবং ঋত্বিক চট্টোপাধ্যায়। মঙ্গলবার বেঙ্গালুরুতে পৌঁছে গিয়েছেন আকাশ। বুধবার বাকি তিন জনও দলে যোগ দেবেন। ঋদ্ধিমানের বদলে দ্বিতীয় উইকেটরক্ষক হিসাবে নিয়ে যাওয়া হয়েছে শাকির হাবিব গাঁধীকে। খেলতে পারছেন না মহম্মদ শামিও। তাঁর বদলে কোনও পরিবর্ত ক্রিকেটার নেওয়া হয়নি। তবে দলে রয়েছেন শামির ভাই মহম্মদ কইফ।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy