মনোজ তিওয়ারি। —ফাইল চিত্র
আউট হয়ে মাঠ ছাড়ার সময় তাঁর মুখে হতাশার ছাপ স্পষ্ট। তৃতীয় দিনের খেলা শেষে মাঠ থেকে হোটেলে ফেরার সময় বলছিলেন সেই কথা। বাংলার ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী এখনও আশাবাদী রঞ্জি ফাইনালে খেলার ব্যাপারে। আনন্দবাজার অনলাইনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সেই কথাই শোনালেন মনোজ তিওয়ারি।
প্রশ্ন: ম্যাচটা তো কঠিন হয়ে গেল?
মনোজ: হ্যাঁ, তা ঠিক। এখন যে জায়গায় দাঁড়িয়ে তাতে কঠিন হয়ে গেল অবশ্যই। যদিও খেলা বাকি অনেকটা। এখনও দু’দিন বাকি। দেখা যাক কী হয়।
প্রশ্ন: কত রানের মধ্যে আটকাতে চাইবেন মধ্যপ্রদেশকে?
মনোজ: যত তাড়াতাড়ি সম্ভব। শুক্রবার সেই লক্ষ্যেই নামব আমরা। ওদের বাকি উইকেটগুলো তাড়াতাড়ি নিতে হবে।
প্রশ্ন: কোনও লক্ষ্য নেই? কত রানের মধ্যে আটকালে বাংলা জিততে পারবে?
মনোজ: ৩৫০-৪০০ রানের লক্ষ্য হলে জেতা সম্ভব। কঠিন ম্যাচ, তবে জেতা সম্ভব। সেই চেষ্টাই করতে হবে।
প্রশ্ন: মধ্যপ্রদেশের বোলারদের বিরুদ্ধে সুইপ, রিভার্স সুইপ মারাই আপনার অস্ত্র ছিল?
মনোজ: ওদের স্পিনারদের লাইন, লেংথ ঘেঁটে দেওয়ার জন্য ওটাই আমার পরিকল্পনা ছিল। আমাদের ব্যাটাররা যখন আউট হচ্ছিল, সেই সময়ই ভেবেছিলাম এই ভাবে খেলব। উইকেটে যখন বল টার্ন করে, তখন এই ধরনের পরিকল্পনা কাজে দেয়।
প্রশ্ন: আউটও হলেন সেই সুইপেই। ওই বলটার সময় কী হয়েছিল?
মনোজ: শটটা ঠিক ছিল। কিন্তু আমি ঠিক মতো খেলতে পারিনি। বলটা একটু উপরে পড়েছিল। তাতেই গণ্ডগোল হল।
প্রশ্ন: আফসোস হচ্ছে?
মনোজ: হ্যাঁ, তা তো হচ্ছেই। ভেবেছিলাম আরও রান করতে পারব। শেষ পর্যন্ত ব্যাট করতে চেয়েছিলাম। আর আমি আউট হওয়ার পরেই পর পর আউট হয়ে গেল বাকিরা।
প্রশ্ন: শতরানের পর চিরকুট বার করে স্ত্রী ও পুত্রকে বার্তা। বিশেষ কোনও কারণ?
মনোজ: সকালেই ওটা লিখে মাঠে নেমেছিলাম। আমার সাফল্যের পিছনে ওদের অবদান প্রচুর। আমি তো বাইরের কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকি। সুস্মিতা যে ভাবে ইউভানকে সামলায়, বাকি সব কিছু সামলায় সেটাকেই সম্মান জানাতে চেয়েছি।
প্রশ্ন: চতুর্থ দিনের পরিকল্পনা?
মনোজ: স্পিনারদের উপর অনেক কিছু নির্ভর করবে। ওদের বেশি করে কাজে লাগাতে হবে। স্পিনাররাই কিন্তু বেশি কার্যকর হচ্ছে এই উইকেটে। মধ্যপ্রদেশের বোলাররা ঠিক জায়গায় বল রেখেই সাফল্য পেয়েছে। আমাদের ব্যাটারদের জায়গা দেয়নি।
প্রশ্ন: উইকেট কেমন মনে হচ্ছে?
মনোজ: ব্যাট করা সহজ এই উইকেটে। সব বল ঘুরছে না। ঠিক জায়গায় বল করতে হবে। তাড়াতাড়ি ফেরাতে হবে মধ্যপ্রদেশকে।
প্রশ্ন: বাংলা দলে দুই স্পিনারই বাঁহাতি। এক জন ডানহাতি হলে সুবিধা হত?
মনোজ: মধ্যপ্রদেশের ন’জন ব্যাটার ডানহাতি। সেই ক্ষেত্রে আমাদের বাঁহাতি বোলার খেলানোই সুবিধা ছিল। এখন পরিস্থিতি কঠিন বলে অন্য কথা বলব না। দলের যেটা সিদ্ধান্ত সেটা মেনে নিতেই হবে। যে খেলছে সে তো নিজেকে প্রমাণ করেছে বলেই দলে জায়গা পেয়েছে। দিনটা খারাপ ছিল, বল ঠিক জায়গায় পড়েনি। খেলায় এমন হতেই পারে।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy