ইডেনে ঝাড়খণ্ডের বিরুদ্ধে ৪ উইকেট নিলেন আকাশ দীপ। ছবি: সিএবি
ইডেনে খেলতে চায়নি বাংলা দল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সিদ্ধান্ত মেনে সেখানেই খেলতে হচ্ছে মনোজ তিওয়ারিদের। মঙ্গলবার সকালে টস জিতে ঝাড়খণ্ডকে ব্যাট করতে পাঠায় বাংলা। খেলতে না চাওয়া ইডেনই বাংলার বোলারদের হাত ভরিয়ে দিল। সকাল থেকেই দ্রুত উইকেট নেন মুকেশ কুমাররা। ঝাড়খণ্ড শেষ ১৭৩ রানে।
৭৭ রানের মধ্যে ৫ উইকেট চলে যায় বাংলার। মুকেশ কুমার, ঈশান পোড়েল এবং আকাশ দীপ তিন পেসারকে নিয়েই নেমেছে বাংলা। ভারতীয় দলে ছিলেন মুকেশ। শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচের আগেই মুকেশকে ছেড়ে দিয়েছে তারা। পূর্ণ শক্তি নিয়েই রঞ্জি ট্রফি কোয়ার্টার ফাইনালে খেলতে নেমেছে বাংলা। ঝাড়খণ্ডের অধিনায়ক বিরাট সিংহ ম্যাচের আগে বলেছিলেন, “এই মরসুমটা দল ভাল খেলছে। আশা করছি কোয়ার্টারেও ভাল খেলব আমরা। গত বার বাংলার বিরুদ্ধে আমরা খুব খারাপ ভাবে হেরেছিলাম। আশা করছি এ বার বদলা নিতে পারব।”
মঙ্গলবার যদিও সেটা দেখা গেল না। বাংলার বোলাররাই দাপট দেখালেন। আকাশ দীপ নিলেন ৪ উইকেট। মুকেশ নিলেন ৩ উইকেট। একটি করে উইকেট ঈশান এবং আকাশ ঘটক। শাহবাজ় আহমেদ প্রথম ইনিংসে বল করেননি। ইডেনের পেস সহায়ক পিচে পেসাররাই শেষ করে দিল ঝাড়খণ্ডকে।
ঝাড়খণ্ডের ব্যাটিং ব্যর্থতার দিনে একা লড়লেন কুমার সুরজ। তিন নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ৮৯ রানে অপরাজিত রইলেন তিনি। কোনও ব্যাটারই তাঁকে সঙ্গ দিতে পারলেন না। অধিনায়ক বিরাট মাত্র ৬ রান করেন। পঙ্কজ কুমার করেন ২১ রান। শেষ উইকেটে ২০ রান যোগ করে ঝাড়খণ্ড। সুদীপ ঘরামি রান আউট করেন আশিস কুমারকে। তাতেই শেষ হয়ে যায় ঝাড়খণ্ডের ইনিংস।
প্রথম দিনে বাংলা আর ব্যাট করতে নামেনি। আলো কম থাকায় ঝাড়খণ্ডের ইনিংসের পরেই দিনের খেলা শেষ করে দেওয়া হয়। দ্বিতীয় দিন ব্যাট করতে নামবে বাংলা। ইডেনে সকালের দিকে পেস বোলাররা সাহায্য পাচ্ছেন। বাংলার ওপেনারদের সেই আক্রমণ সামলাতে হবে। এই ম্যাচে সুযোগ দেওয়া হয়েছে কাজী জুনেইদ সৈফিকে। তিনি এবং অভিমন্যু ঈশ্বরন ওপেন করবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy