ঈশান পোড়েল প্রথম ইনিংসে নিয়েছিলেন ৫ উইকেট। ছবি: সিএবি
ইডেনের পিচে প্রথম দিন পড়েছিল ১৪টি উইকেট, দ্বিতীয় দিনে পড়ল ১০ উইকেট। দু’দিনে দুই দল মিলিয়ে ২৪টি উইকেট হারায়। রঞ্জির প্রথম ম্যাচে বাংলা এবং উত্তরপ্রদেশ খেলছে ইডেনে। সেই ম্যাচে দ্বিতীয় দিনের শেষে ১৫১ রানে পিছিয়ে বাংলা। উত্তরপ্রদেশের দ্বিতীয় ইনিংসে স্কোর ১২২/৪।
প্রথম ইনিংসে ১৯৮ রান তুলেছিল উত্তরপ্রদেশ। বাংলার হয়ে ৫ উইকেট নেন ঈশান পোড়েল। ব্যাট করতে নেমে শেষ বেলায় প্রথম দিনের শেষে বাংলা মাত্র ২৯ রানে ৪ উইকেট হারায়। সেই অবস্থায় ব্যাট করতে নেমে বেশি ক্ষণ ক্রিজে থাকতে পারেননি প্রীতম। মনোজ তিওয়ারি ২৩ রান করেন। অভিষেক পোড়েল করেন ৩৩ রান। আকাশ দীপ ৪১ রান করেন। শেষ বেলায় কিছুটা রান তুলে বাংলার মুখ রক্ষার চেষ্টা করেছিলেন আকাশ। কিন্তু বাংলা থেমে যায় ১৬৯ রানেই।
শিবম মাভি একাই নেন ৬ উইকেট। আকিব খান নেন দু’টি উইকেট। একটি করে উইকেট নেন অঙ্কিত রাজপুত এবং শিবম শর্মা। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে রিঙ্কু সিংহ এবং আকাশদীপ নাথ ৮২ রানের জুটি গড়েন। তাঁরাই দলের ভরসা হয়ে উঠেছেন। ঈশান পোড়েল দু’টি উইকেট নেন। একটি করে উইকেট নেন আকাশ দীপ এবং সায়ন মণ্ডল। রিঙ্কু দিনের শেষে ৪৪ রানে অপরাজিত। তাঁর সঙ্গে ৪৭ করে ব্যাট করছেন আকাশদীপ। ইডেনে কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে ব্যাট করার অভিজ্ঞতা রয়েছে রিঙ্কুর। তিনি প্রথম ইনিংসে ৭৯ রান করেন। দ্বিতীয় ইনিংসেও বাংলার চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছেন রিঙ্কু।
আইপিএলে কলকাতার হয়ে খেলে যাওয়া শিভম মাভিরও ইডেনে খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে। তিনি ৬ উইকেট বাংলার ব্যাটারদের রান করতে দেননি। নাইটদের প্রাক্তন এবং বর্তমান ক্রিকেটারের দাপটেই চাপে বাংলা। আগের ম্যাচ শেষে বাংলার কোচ লক্ষ্মীরতন শুক্ল বলেছিলেন, “ব্যাট করতে নেমে আমরা ৪ উইকেট হারিয়েছি কিন্তু বিশ্বাস রাখি যে বুধবার ভাল ব্যাট করে ঘুরে দাঁড়াতে পারব।” কিন্তু সেটা সম্ভব হয়নি। মনোজরা প্রথম ইনিংসে বড় রান করতে ব্যর্থ। বাংলা এই মুহূর্তে ১৫১ রানে পিছিয়ে। মনোজদের দলের লক্ষ্য থাকবে দ্রুত বাকি উইকেট তুলে কম রানের মধ্যে উত্তরপ্রদেশকে আটকে রাখা। তা হলেই ম্যাচ জেতার জায়গা তৈরি করতে পারবে বাংলা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy