মেজাজ হারালেন পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) চেয়ারম্যান মহসিন নকভি। ক্ষোভ প্রকাশ করলেন আসন্ন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিয়ে ভারতীয়দের ভূমিকায়। রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলিদের ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) পাকিস্তানে পাঠাতে রাজি না হওয়ায় হাইব্রিড মডেলে রাজি হতে হয়েছে পিসিবিকে। তার উপর প্রস্তুতি নিয়ে নানা অভিযোগ সামনে আসছে। সব মিলিয়ে অস্বস্তিতে পিসিবি কর্তারা। সেই অস্বস্তি ঢাকতেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন নকভি। গুজব ছড়ানোর অভিযোগ করেছেন তিনি।
শুক্রবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন নকভি। পাকিস্তানের স্টেডিয়ামগুলির সংস্কারের কাজের অগ্রগতি নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। উত্তরে পিসিবি চেয়ারম্যান বলেন, ‘‘সীমান্তের ওপারের কিছু মানুষ এবং আরও কেউ কেউ বলছেন, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি পাকিস্তান থেকে সরে যাবে। সময় মতো স্টেডিয়ামের কাজ নাকি শেষ হবে না। আমি জানাতে চাই আমরা প্রস্তুত। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য তো বটেই, তার আগের ত্রিদেশীয় সিরিজ়ও হবে পাকিস্তানে।’’
কয়েক দিন আগে লাহোরের গদ্দাফি স্টেডিয়ামের একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছিল। তাতে দেখা গিয়েছে, সংস্কারের বহু কাজ বাকি। স্টেডিয়ামের মূল ভবন, গ্যালারির একাংশ, সাজঘরে কাজ চলছে। পরিদর্শনে যাওয়া নকভিকে খানিকটা হতাশ দেখিয়েছিল তাতে। করাচি এবং রাওয়ালপিন্ডির স্টেডিয়াম দু’টির পরিস্থিতিও খুব ভাল নয়। ফলে সুষ্ঠু ভাবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজন নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে ক্রিকেটপ্রেমীদের একাংশের মধ্যে। সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময়ও প্রস্তুতি নিয়ে হতাশা লুকিয়ে রাখতে পারেননি পিসিবি চেয়ারম্যান। প্রস্তুতি নিয়ে একের পর এক প্রশ্নে মেজাজ হারান। শেষে অস্বস্তি ঢাকতে ভারতীয়দের ভূমিকা নিয়ে সরব হন। যদিও সরাসরি ভারতের নাম বলেননি। তিনি বোঝাতে চেয়েছেন, পাকিস্তানের প্রস্তুতি নিয়ে অপপ্রচার চলছে।
পাকিস্তানের তিনটি স্টেডিয়ামে হবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ম্যাচগুলি। করাচি, লাহোর এবং রাওয়ালপিন্ডির স্টেডিয়ামগুলি ১১ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) হাতে তুলে দেওয়ার কথা। তার পর আইসিসি নিজেদের মতো করে স্টেডিয়ামগুলি সাজিয়ে তুলবে। কিন্তু পাকিস্তানের কোনও স্টেডিয়ামের সংস্কারের কাজই এখনও শেষ হয়নি। কাজের গতি বেশ স্লথ। যদিও পিসিবি কর্তারা বার বার দাবি করছেন, সময়ের মধ্যেই সব কাজ শেষ করে স্টেডিয়ামগুলি আইসিসির হাতে তুলে দেওয়া হবে। উল্লেখ্য, আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি।