অ্যাশেজ আধার। ছবি: টুইটার।
টেস্ট বিশ্বকাপ ফাইনাল অতীত। প্যাট কামিন্সদের চোখ এখন অ্যাশেজ সিরিজ়ে। মোট ছ’টি টেস্ট খেলতে ইংল্যান্ডে এসেছে অস্ট্রেলিয়া। সফরের শুরুটা ভাল হওয়ার পর বেন স্টোকসদের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ়েও ভাল করার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী অস্ট্রেলীয় অধিনায়ক।
টেস্ট ক্রিকেটে শ্রেষ্ঠত্ব প্রতিষ্ঠা সম্পন্ন। এ বার মর্যাদার লড়াই। অ্যাশেজ ইংল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়ার জ্যাতাভিমানের সঙ্গে জড়িত। এই সিরিজ় কোনও ভাবেই হারতে চান না দু’দেশের ক্রিকেটারেরা। তাই রোহিত শর্মাদের বিরুদ্ধে লড়াই জেতার পর কামিন্সদের নজরে অ্যাশেজ। ১৬ জুন থেকে শুরু হবে সিরিজ়ের প্রথম টেস্ট।
কতটা প্রস্তুত হয়ে এসেছে অস্ট্রেলিয়া? তার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে ওভালের ২২ গজে। কামিন্স বলেছেন, ‘‘গত দু’মাস ধরে আমরা এই ছ’টা টেস্টের জন্য প্রস্তুতি নিয়েছি। সফরটা বেশ লম্বা। দু’টো গুরুত্বপূর্ণ খেতাব জেতার সুযোগ রয়েছে এই সফরে। তার একটা জিততে পেরেছি আমরা। শুরুটা ভালই হল।’’
বর্ডার-গাওস্কর সিরিজ় খেলে এসে অস্ট্রেলিয়ার একাধিক ক্রিকেটার বলেছিলেন, অ্যাশেজের থেকেও তাঁরা এখন অনেক বেশি গুরুত্ব দেন ভারতের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ়কে। তা হলে অ্যাশেজ সিরিজ়ের গুরুত্ব কি কমেছে? কামিন্স বলেছেন, ‘‘আমরা পছন্দ করি বা না করি অ্যাশেজকে উপেক্ষা করতে পারি না। এই সিরিজ় অনেকগুলো যুগ এবং দলকে সংজ্ঞায়িত করে। টেস্ট বিশ্বকাপ ফাইনালের পর অনুভব করতে পারছি, গত দু’বছর ধরে আমরা বেশ ভাল ক্রিকেট খেলেছি। যেটা শেষ হয়েছে ট্রফি পাওয়ার মধ্যমে। এটা আমাদের দলের জন্য দারুণ একটা ব্যাপার। জানি অ্যাশেজ সিরিজ় কঠিন। জেতা একদমই সহজ নয়। জিততে পারলে সেটা বড় ব্যাপার হবে।’’
প্রথম দেশ হিসাবে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিলের সব ট্রফি জিতেছে অস্ট্রেলিয়া। স্বভাবতই অস্ট্রেলিয়ার সাজঘরে রবিবার ছিল উৎসবের আবহ। অ্যাশেজ শুরুর আগে দলকে সেখান থেকে বের করে আনতে চান কামিন্স। সাফল্য আত্মবিশ্বাসী করলেও তার রেশ নিয়ে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে মাঠে নামতে চান না কামিন্স। অ্যাশেজের আগে কামিন্সকে আত্মবিশ্বাসী করছে গত দু’বছর টেস্ট ক্রিকেটে অস্ট্রেলিয়ার ধারাবাহিক সাফল্য।
অজি অধিনায়ক বলেছেন, ‘‘টেস্ট বিশ্বকাপের ফাইনালে পৌঁছতে হলে বিশ্বের সর্বত্র জিততে হয়। শেষ বার মনে হয় আমরা মোট ২০টি টেস্ট খেলেছি। সেই ২০টি ম্যাচের তিন বা চারটিতে হেরেছি। ছেলেরা ধারাবাহিক ভাবে দুর্দান্ত খেলেছে।’’ অ্যাশেজে দলের সম্ভাবনা নিয়ে কামিন্স বলেছেন, ‘‘আমরা এখানে ভাল ভাবে মানিয়ে নিতে পেরেছি। এটাই সব থেকে বেশি স্বস্তি দিচ্ছে।’’
Champion bowlers 💪#WTC23 pic.twitter.com/GU8eciglry
— ICC (@ICC) June 11, 2023
২০০১ সালের পর ইংল্যান্ডের মাটিতে অ্যাসেজ সিরিজ় জেতেনি অস্ট্রেলিয়া। তাই টেস্ট বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হিসাবে এ বারের অ্যাশেজে কামিন্সদের উপর বাড়তি চাপ থাকবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy