বাবর আজ়ম। ছবি: আইসিসি
এশিয়া কাপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে পাকিস্তানের প্রতিপক্ষ ভারত। এশিয়া কাপের সব থেকে বড় ম্যাচ। গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে হারের বদলা নিতে চাইবেন বাবর আজ়মেরা। ভারতকে হারাতে পারলে আত্মবিশ্বাসও অনেকটা বাড়বে পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের। ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের শক্তি কোথায়? কোন জায়গায় সমস্যায় পড়তে পারেন বাবরেরা?
শক্তি
১) অধিনায়ক বাবরের ছন্দ—
নেপালের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচেই শতরান করেছেন বাবর। শুরু থেকেই ছন্দে রয়েছেন পাক অধিনায়ক। এই ফর্ম ভারতের বিরুদ্ধেও ধরে রাখতে চাইবেন বাবর। ভারতের বিরুদ্ধে আগেও ভাল খেলেছেন বাবর। তিনি পাকিস্তানের বড় ভরসা।
২) অভিজ্ঞ মিডল অর্ডার—
পাকিস্তানের মিডল অর্ডারে অভিজ্ঞতার অভাব নেই। বাবর ছাড়াও মহম্মদ রিজওয়ান ও ইফতিখার আহমেদের মতো ব্যাটার রয়েছেন। নেপালের বিরুদ্ধে দু’জনেই ভাল খেলেছেন। প্রাথমিক ধাক্কা সামলে দলকে ভাল জায়গায় নিয়ে গিয়েছেন। মিডল অর্ডার ভরসা দিচ্ছে বাবরকে।
৩) শাহিনের বাঁ হাতি পেস—
বাঁ হাতি পেসারদের সামনে ভারতীয় ব্যাটারদের দুর্বলতা বার বার দেখা গিয়েছে। পাকিস্তানের শাহিন শাহ আফ্রিদির বিরুদ্ধে রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলিরা সমস্যায় পড়তে পারেন। অতীতে কিন্তু শাহিন বার বার তাঁদের সমস্যায় ফেলেছেন।
৪) ভারতের বিরুদ্ধে ফখর জমানের রেকর্ড—
ভারতের বিরুদ্ধে ভাল খেলেন ওপেনার ফখর জমান। ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে তাঁর শতরানে ভর করেই ভারতকে হারিয়েছিল পাকিস্তান। শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক শট খেলতে পারেন তিনি। ফখরের ব্যাটে রান এলে সমস্যায় পড়তে পারেন রোহিতেরা।
৫) নাসিম, হ্যারিসের গতি—
শাহিন ছাড়াও পাকিস্তানের আরও দুই পেসার সমস্যায় ফেলতে পারেন ভারতকে। হ্যারিস এখন বিশ্বেস অন্যতম দ্রুত গতির বোলার। এশিয়া কাপের আগে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে এক দিনের সিরিজ়ে ভাল বল করেছেন তিনি। নাসিমও ভারতের বিরুদ্ধে ভাল খেলেছেন। এই দুই ডান হাতি পেসারের দিকেও তাকিয়ে থাকবে পাকিস্তান।
দুর্বলতা
১) ধারাবাহিকতার অভাব—
পাকিস্তানের ব্যাটিং আক্রমণের ধারাবাহিকতার অভাব রয়েছে। আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে কোনও ম্যাচে ৩০০-র বেশি রান তাড়া করেছেন, তো কোনও ম্যাচে ২০০ রানে অল আউট হয়ে গিয়েছেন। এই ধারাবাহিকতার অভাব আগেও ভুগিয়েছে পাকিস্তানকে।
২) অতিরিক্ত বাবর নির্ভরতা—
পাকিস্তানের ব্যাটিং মূলত বাবর নির্ভর। অধিনায়ক যদি ভাল খেলেন তা হলে দল রান করে। কিন্তু বাবর তাড়াতাড়ি আউট হলে সমস্যায় পড়ে দল। আগেও তা দেখা গিয়েছে। অতিরিক্ত বাবর নির্ভরতা সমস্যায় ফেলতে পারে পাকিস্তানকে।
৩) ভাল স্পিনারের অভাব—
পাকিস্তানের পেস আক্রমণ ভাল হলেও স্পিনে দুর্বলতা রয়েছে। শাদাব খান ছাড়া তেমন মানের স্পিনার নেই। মহম্মদ নওয়াজ চাপে মাথা ঠান্ডা রাখতে পারেন না। ফলে মাঝের ওভারে ভারতকে চাপে রাখার মতো বোলারের সমস্যা হতে পারে বাবরদের।
৪) অনভিজ্ঞ বোলিং—
ভারতের দুই ব্যাটার রোহিত ও বিরাট যদি ছন্দে থাকেন তা হলে সমস্যা হতে পারে পাকিস্তানের। কারণ, নিজেদের দিনে কোনও বোলারকেই রেয়াত করেন না তাঁরা। দুই ব্যাটার যথেষ্ট অভিজ্ঞ। তাঁদের তাড়াতাড়ি ফেরাতে না পারলে সমস্যা হতে পারে পাকিস্তানের।
৫) অনভিজ্ঞ মিডল অর্ডার—
পাকিস্তানের মতো ভারতেরও পেস আক্রমণ ভাল। যশপ্রীত বুমরা, মহম্মদ শামি, মহম্মদ সিরাজ যদি ছন্দে থাকেন তা হলে পাকিস্তানের ক্রিকেটারেরা সমস্যায় পড়তে পারেন। শুরুতে উইকেট হারালে বড় রান করতে সমস্যা হতে পারে পাকিস্তানের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy