শ্রীলঙ্কার উইকেট পড়ার পর বাবরদের উল্লাস। ছবি: রয়টার্স।
দেশের মাটিতে পর্যুদস্ত শ্রীলঙ্কা। পাকিস্তানের কাছে দ্বিতীয় টেস্টে তারা হেরে গেল এক ইনিংস এবং ২২২ রানে। গোটা একটা দিনও টিকল না শ্রীলঙ্কার দ্বিতীয় ইনিংস। অতীতে ঘরের মাঠে দাপট দেখানো শ্রীলঙ্কার এই অবস্থা দেখে অনেক ক্রিকেটপ্রেমীই ব্যথিত। ব্যাটে যদি পাকিস্তানের নায়ক হন আবদুল্লাহ শফিক, তা হলে বল হাতে দ্বিতীয় ইনিংসে শ্রীলঙ্কার ব্যাটিংয়ে ধস নামালেন নোমান আলি। ৭ উইকেট নিলেন তিনি।
আব্রার আহমেদ এবং নাসিম শাহের দাপটে প্রথম ইনিংসে ১৬৬ রানে অলআউট হয়ে গিয়েছিল শ্রীলঙ্কা। জবাবে ৫৭৬-৫ তুলে ডিক্লেয়ার করে দেয় পাকিস্তান। বৃহস্পতিবার, অর্থাৎ ম্যাচের চতুর্থ দিন ৫৬৩-৫ নিয়ে খেলা শুরু করে ১৩ রান তুলেই ইনিংস ছেড়ে দেয় পাকিস্তান।
শ্রীলঙ্কার দুই ওপেনার নিশান মদুশঙ্ক এবং দিমুথ করুণারত্নে শুরুটা ভালই করেছিলেন। প্রথম উইকেটে ৬৯ রান উঠে যায়। কিন্তু ৪১০ লিড মাথায় নিয়ে খেলতে নামা যে কোনও দলের কাছেই চাপের। তাতেই পাকিস্তানের বোলারদের সামনে ভেঙে পড়ে শ্রীলঙ্কার ব্যাটারদের প্রতিরোধ। প্রাক্তন অধিনায়ক অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজ বাদে কেউ লড়াই করতে পারেননি। ম্যাথুজ শেষ পর্যন্ত ৬৩ রানে অপরাজিত থেকে যান। শেষের দিকের ব্যাটাররা কেউ নোমানের বোলিংয়ের সামনে টিকতে পারেননি।
২০২১-এর পর থেকে এই নিয়ে দ্বিতীয় বার ঘরের মাঠে চুনকাম হল শ্রীলঙ্কা। পাকিস্তানের আগে ইংল্যান্ডের কাছে দু’টি টেস্টেই হেরেছিল তারা। ১৯৯৪ সালে শেষ বার শ্রীলঙ্কার মাটিতে তাদের চুনকাম করেছিল পাকিস্তান। তার থেকেও বড় ব্যাপার, এই টেস্টে কোনও ইনিংসেই গোটা একটা দিনও ব্যাট করতে পারেনি শ্রীলঙ্কা। অন্য দিকে, দু’টি টেস্টেই পাকিস্তান শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত শ্রীলঙ্কাকে শাসন করেছে। কোনও সুযোগই দেয়নি প্রত্যাবর্তনের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy