নিউ জ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম এক দিনের ম্যাচে চেনা মেজাজে দেখা গিয়েছে বাবরকে। ছবি: আইসিসি।
টি-টোয়েন্টি সিরিজ়ে হারের পর প্রথম এক দিনের ম্যাচে ঘুরে দাঁড়াল পাকিস্তান। বাবর আজ়মরা ৫ উইকেটে হারালেন নিউ জ়িল্যান্ডকে। প্রথমে ব্যাট করে সফরকারীরা করেন ৭ উইকেটে ২৮৮। জবাবে ৪৮.৩ ওভারে ৫ উইকেটে ২৯১ রান পাকিস্তানের।
কাজে লাগল না ড্যারেল মিচেলের ১১৩ রানের ইনিংস। ওপেনার উইল ইয়ংয়ের ৮৬ রানের দুরন্ত ইনিংসও দাম পেল না। তাঁর দু’জনের ইনিংসের উপর নির্ভর করে বড় রান তোলে নিউ জ়িল্যান্ড। সফরকারী দলের অন্য ব্যাটাররা বড় রান না পেলেও সমস্যা হয়নি। মিচেলের ১১৫ বলের ইনিংসে রয়েছে ১১টি চার এবং ১টি ছক্কা। অন্য দিকে ইয়ং ৭৮ বলে ইনিংসে মারেন ৮টি চার এবং ২টি ছয়। চার নম্বরে রান পাননি নিউ জ়িল্যান্ডের দ্বিতীয় সারির দলের অধিনায়ক টম লাথাম। তাঁর ৩৬ বলে ২০ রানের ইনিংস এখনকার সাদা বলের ক্রিকেটের সঙ্গে একদমই মানানসই নয়। তিনি নামার পর নিউ জ়িল্যান্ডের রান তোলার গতিও অনেক কমে যায়। সেই সুযোগে দলকে লড়াইয়ে ফেরান পাকিস্তানের বোলাররা।
আয়োজক দলের সফলতম বোলার নাসিম শাহ ২৯ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়েছেন। শাহিন আফ্রিদি ২ উইকেট নিলেও খরচ করেছেন ৬৩ রান। ৬৫ রান দিয়ে ২ উইকেট হ্যারিস রউফের। ৫৬ রানে ১ উইকেট শাদাব খানের।
জবাবে ভাল ব্যাট করলেন পাকিস্তানের ব্যাটাররাও দুই ওপেনারই খেলার নিয়ন্ত্রণ নিজেদের ব্যাটে নিয়ে নেন। শতরান করলেন ফখর জামান। তিনি ১১৪ বলে ১১৭ রানের ইনিংসটি সাজালেন ১৩টি চার এবং ১টি ছয় দিয়ে। অন্য ওপেনার ইমাম উল হকের ব্যাট থেকে এল ৬৫ বলে ৬০ রান। ৫টি চার এবং ১টি ছয় মারেন তিনি। ১ রানের জন্য অর্ধশতরান হাতছাড়া করলেন বাবর। তিন নম্বরে নেমে ৩টি চার এবং ১টি ছয়ের সাহায্যে পাক অধিনায়ক করলেন ৪৬ বলে ৪৯ রান। শান মাসুদ (১) রান না পেলেও সমস্যা হয়নি। পাঁচ নম্বরে নেমে মহম্মদ রিজওয়ান অপরাজিত থাকেন ৩৪ বলে ৪২ রান করে। তিনিই দলকে কাঙ্ক্ষিত জয় এনে দিলেন ৬টি চার এবং ১টি ছক্কার মাধ্যমে।
নিউ জ়িল্যান্ডের কোনও বোলারই তেমন সাফল্য পেলেন না রাওয়ালপিন্ডির ২২ গজে। অ্যাডাম মিলনে ৬০ রানে ২ উইকেট নিয়েছেন। ১টি করে উইকেট পেয়েছেন ব্লেয়ার টিকনার, ইশ সোধি এবং রাচিন রবীন্দ্র। সফরকারীরা হারলেন মূলত অভিজ্ঞতার অভাবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy