বিশ্বকাপে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের দিন। ফাইল ছবি।
প্রতিযোগিতার শেষ লগ্নে এসে শুরুটা কিছুতেই ভুলতে পারছে না পাকিস্তান। বরং, তারা ভুলতে চাইছে না। শুরুকে আঁকড়ে ধরেই শেষ করতে চাইছে তারা। ম্যাথু হেডেনের কথায় উঠে এসেছে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের প্রসঙ্গ। পাকিস্তান দলের ব্যাটিং কোচ বলেই দিয়েছেন, ভারতের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচটাই তাঁদের সেমিফাইনালে তুলে দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সেমিফাইনালে খেলতে নামবে পাকিস্তান। তার আগে সাংবাদিক সম্মেলনে এসে হেডেন বলেন, ‘‘এই দুবাইতেই ম্যাচটা খেলেছিলাম। আমার মনে হয়, ভারতের বিরুদ্ধে ওই ম্যাচটাই আমাদের বাকি চার সপ্তাহের মেজাজ এবং ছন্দ ঠিক করে দিয়েছে। দলের মধ্যে একটা তাগিদ, দায়বদ্ধতা, কঠোর পরিশ্রম দেখেছি। প্রচুর চাপ ছিল। একমাত্র অ্যাশেজ সিরিজে এই চাপ থাকে। কিন্তু ছেলেরা মাথা ঠান্ডা রেখে, আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে ওরকম একটা বড় ম্যাচের চাপ সামলেছে।’’
পাকিস্তান শিবির কতটা চাপমুক্ত, তা ধরা পড়েছে একটি ভিডিয়োয়। সেখানে দেখা যাচ্ছে টিম বাসে গিটার বাজিয়ে গান গাইছেন হেডেন আর হুল্লোড় করছে বাবর আজমের দল।
এখনও হেডেনের চোখে ভাসছে ভারতের বিরুদ্ধে ম্যাচে শাহিন শাহ আফ্রিদির সেই ইনসুইং ডেলিভারিটা, যা ছিটকে দিয়েছিল লোকেশ রাহুলের স্টাম্প। হেডেন বলেন, ‘‘অসাধারণ একটা বল ছিল। আমি এ রকম বল দেখিনি কখনও। আসলে গতি আফ্রিদির একটা বড় অস্ত্র। আফ্রিদির সেই বলগুলো কিন্তু ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারে। রাহুলের ক্ষেত্রে আমরা যেটা দেখেছি।’’
হেডেনের কথায়, আফ্রিদি শুধু মাঠে নয়, মাঠের বাইরেও পার্থক্য গড়ে দিচ্ছেন। বলেন, ‘‘নেটেও পাকিস্তানি ব্যাটারদের সামলাতে হচ্ছে আফ্রিদির গতি এবং সুইং। ফলে নেটে মহড়া হয়ে যাচ্ছে পাকিস্তানি ব্যাটারদের।’’
বৃহস্পতিবার দুই অস্ট্রেলীয় কোচের মাথার লড়াই। সেই দু’জন আবার দীর্ঘদিন সতীর্থ ছিলেন, চরম সাফল্যের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার ওপেনিংয়ের দায়িত্ব সামলেছেন বছরের পর বছর। কারণ, যাদের বিরুদ্ধে সেমিফাইনাল, সেই অস্ট্রেলিয়ার কোচ জাস্টিন ল্যাঙ্গার।
দুবাইয়ে অস্ট্রেলিয়ার হোটেলেই উঠেছে পাকিস্তান দল। সেখানে হেডেনের সঙ্গে দেখা হয়েছে ল্যাঙ্গারের। দুই কোচকে কিছু সময় আড্ডা মারতেও দেখা গিয়েছে।
অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে খেলতে হওয়া নিয়ে হেডেন বলেন, ‘‘একটা অদ্ভুত অনুভূতি হচ্ছে। কুড়ি বছর ধরে অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটের এক সৈনিক ছিলাম। তার ফলে এই ক্রিকেটারদের সম্পর্কে যথেষ্ট ধারণা আমার আছে। আর শুধু ক্রিকেটারদের সম্পর্কেই নয়, অস্ট্রেলীয় ক্রিকেট সংস্কৃতি নিয়েও আমার ধারণাটা পরিষ্কার।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy