শাকিব আল হাসান। —ফাইল চিত্র
বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচে জয়ের পর টানা দু’ম্যাচে হারতে হল বাংলাদেশকে। এ বার চেন্নাইয়ে নিউ জ়িল্যান্ডের কাছে হারলেন শাকিব আল হাসানেরা। প্রথমে ব্যাট করে ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৪৫ রান করে বাংলাদেশ। সেই রান তাড়া করতে বিশেষ সমস্যা হল না নিউ জ়িল্যান্ডের। প্রথম দুই ম্যাচে খেলতে পারেননি কেন উইলিয়ামসন। বিশ্বকাপের তৃতীয় ম্যাচে দলে ফিরেই ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেললেন নিউ জ়িল্যান্ডের অধিনায়ক। যদিও শেষ পর্যন্ত খেলতে পারেননি তিনি। আঙুলে চোট পাওয়ায় মাঠ ছাড়তে হয় তাঁকে।
চেন্নাইয়ের উইকেটে টসে জিতে প্রথম বল করার সিদ্ধান্ত নেন উইলিয়ামসন। তাঁর সিদ্ধান্ত যে ঠিক তা প্রথম বলেই বুঝিয়ে দেন ট্রেন্ট বোল্ট। প্রথম বলেই লিটন দাসকে আউট করেন তিনি। অপের ওপেনার তানজিদ হাসানও বেশি রান করতে পারেননি। ব্যর্থ নাজমুল হোসেন শান্তও। মেহেদি হাসান মিরাজ শুরুটা করেছিলেন। কিন্তু ৩০ রান করে তিনিও আউট হয়ে যান। ৫৬ রানে ৪ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
ধাক্কা সামলে দলের হাল ধরেন বাংলাদেশের সব থেকে অভিজ্ঞ দুই ক্রিকেটার শাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম। বেশি আক্রমণাত্মক দেখাচ্ছিল মুশফিকুরকে। নিউ জ়িল্যান্ডের বোলারদের বিরুদ্ধে পাল্টা বড় শট খেলেন তিনি। শাকিব প্রথমে কিছুটা ধরে খেললেও ধীরে ধীরে শট খেলা শুরু করেন। দুই ব্যাটারের মধ্যে ৯৬ রানের জুটি হয়।
ইংল্যান্ডের পরে নিউ জ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধেও অর্ধশতরান করেন মুশফিকুর। শাকিবও সেই পথে হাঁটছিলেন। কিন্তু ৪০ রানের মাখায় লকি ফার্গুসনের বাউন্সারে আউট হন তিনি। মুশফিকুর ৬৬ রান করে আউট হলে বাংলাদেশ আবার চাপে পড়ে যায়।
একটা সময় দেখে মনে হচ্ছিল, কোনও রকমে ২০০ পার করবে বাংলাদেশ। কিন্তু শেষ দিকে দলকে টানেন মাহমুদুল্লা। ৪১ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। তাঁকে সঙ্গ দেন তাসকিন আহমেদ। এই দুই ব্যাটারের ব্যাটে ২৫০-র কাছে যায় বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত ২৪৫ রানে শেষ হয় তাদের ইনিংস।
জবাবে শুরুটা ভাল হয়নি নিউ জ়িল্যান্ডেরও। প্রথম দুই ম্যাচে রান করা রচিন রবীন্দ্র এই ম্যাচে রান পাননি। তিন নম্বরে নামেন উইলিয়ামসন। প্রথমেই ডেভন কনওয়ের সঙ্গে জুটি বাঁধেন তিনি। তাঁরা জানতেন, চেন্নাইয়ের উইকেটে খুব বেশি আক্রমণাত্মক শট খেলা যাবে না। তাই স্কোরবোর্ড সচল রাখার খেলা শুরু করেন তাঁরা। দু’জনের মধ্যে ৮০ রানের জুটি হয়।
৪৫ রান করে শাকিবের বলে আউট হন কনওয়ে। তার পরে ড্যারিল মিচেলের সঙ্গে জুটি বাঁধেন উইলিয়ানসন। কোনও রকম ঝুঁকি না নিয়ে লক্ষ্যের দিকে এগোতে থাকেন তাঁরা। অর্ধশতরান করেন উইলিয়ামসন। চোট সারিয়ে ফেরার পরে তাঁকে ভাল দেখাচ্ছিল। মিচেলও পরের দিকে বড় শট খেলা শুরু করেন। ৭৮ রানের মাথায় রান নিতে গিয়ে উইলিয়ামসনের আঙুলে লাগে। ফলে উঠে যান তিনি। মিচেল নিজের অর্ধশতরান করেন।
শেষ দিকে দ্রুত রান তুলতে শুরু করে নিউ জিল্যান্ড। বাংলাদেশের আর কিছু করার ছিল না। হার ছিল সময়ের অপেক্ষা। শেষ পর্যন্ত ৪৩ বল বাকি থাকতে ৮ উইকেটে ম্যাচ জিতে যায় নিউ জ়িল্যান্ড। মিচেল ৮৯ রানে অপরাজিত থাকেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy