একাই ব্যাট করলেন হরমনপ্রীত কউর। দেখে মনে হচ্ছিল, তিনি অন্য পিচে আর মুম্বইয়ের বাকি ব্যাটারেরা অন্য পিচে ব্যট করছেন। হরমনপ্রীত না থাকলে মহিলাদের আইপিএলের ফাইনালে মুম্বই ১০০ রান করতে পারত কিনা সন্দেহ। ৪৪ বলে ৬৬ রান করলেন মুম্বইয়ের অধিনায়ক। কিন্তু কোনও সঙ্গী পেলেন না তিনি। নীচের সারির ব্যাটারেরা কয়েকটি বড় শট খেললেন। ফাইনালে প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৪৯ রান করল মুম্বই। প্রথম বারের জন্য মহিলাদের আইপিএল জিততে হলে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের (দলের ডিরেক্টর অফ ক্রিকেট সৌরভ) দিল্লির দরকার ১৫০ রান।
শুরুটা ভাল হয়নি মুম্বইয়ের। যে ওপেনিং জুটি গত দুই ম্যাচে দলকে ভাল শুরু দিয়েছিলেন, সেই হেইলি ম্যাথুজ় ও যস্তিকা ভাটিয়ার ব্যাট চুপ ছিল। তার নেপথ্যে অবশ্য মারিজেন কাপের বোলিং। তাঁর বল দু’দিকেই সুইং করছিল। ফলে ব্যাটে-বলে হচ্ছিল না দুই ওপেনারের। ম্যাথুজ়কে ফাঁদে ফেলেন কাপ। পর পর আউটসুইং করতে করতে একটি বল ভিতরে ঢোকান তিনি। বুঝতে না পেরে ৩ রান করে বোল্ড হন ম্যাথুজ়। নিজের পরের ওভারে ৮ রানের মাথায় যস্তিকাকেও ফেরান কাপ। ১৪ রানে ২ উইকেট পড়ে যায় মুম্বইয়ের। পাওয়ার প্লে-তে ওঠে মাত্র ২০ রান। টানা চার ওভার বল করেন কাপ। ১১ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন।
ধুঁকতে থাকা মুম্বইয়ের ইনিংস ধরেন অভিজ্ঞ ন্যাট শিভার-ব্রান্ট ও অধিনায়ক হরমনপ্রীত কউর। শুরুতে কিছুটা ধরে খেলছিলেন তাঁরা। পাওয়ার প্লে-র পরে হাত খোলেন হরমনপ্রীত। বলের গতি ব্যবহার করে একের পর এক বড় শট মারতে শুরু করেন। পাল্টা আক্রমণের পথে যান মুম্বইয়ের অধিনায়ক। তাতে চাপে পড়ে যায় দিল্লি ক্যাপিটালস।
আরও পড়ুন:
মাত্র ৩৩ বলে নিজের অর্ধশতরান করেন হরমনপ্রীত। তিনি এক দিকে হাত খোলায় নিজের উইকেট ধরে রেখেছিলেন শিভার-ব্রান্ট। চলতি মরসুমে ৫০০-এর বেশি রান করেছেন তিনি। ইংল্যান্ডের ক্রিকেটার জানতেন, এই জুটিকে শেষ পর্যন্ত থাকতে হবে। সে ভাবেই খেলছিলেন তাঁরা। পাওয়ার প্লে-র পরের আট ওভারে ৭২ রান করেন তাঁরা। যেখানে শুরুতে দেখে মনে হচ্ছিল, মুম্বইয়ের ব্যাটিং ভেঙে পড়বে সেই দলই বড় রানের পথে এগোচ্ছিল।
মুম্বইকে বড় ধাক্কা দিলেন নাল্লাপুরেড্ডি চারানি। এই তরুণ স্পিনারের বলে ৩০ রান করে আউট হলেন শিভার-ব্রান্ট। মিড উইকেটে দাঁড়িয়ে দুর্দান্ত ক্যাচ ধরলেন মিন্নু মণি। এই উইকেটের কৃতিত্ব তাঁর। জুটি ভাঙার পর বাকি ব্যাটারেরা সমস্যায় পড়লেন। আমেলিয়া কের, সজীবন সজনা রান পাননি। চাপ বাড়ছিল হরমনপ্রীতের উপর। বাধ্য হয়ে অ্যানাবেল সাদারল্যান্ডের বলে বড় শট মারতে গিয়ে ৬৬ রানে ফিরলেন অধিনায়ক। সেখানেই বড় রানের আশা শেষ হয়ে গেল তাদের। কোনও রকমে ১৪৯ রান করল তারা।