প্রথম বার জাতীয় দলে সুযোগ পেয়েছেন মুকেশ কুমার। —ফাইল চিত্র
দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে এক দিনের সিরিজ়ে ভারতীয় দলে ডাক পেয়েছেন তিনি। প্রথম বার জাতীয় দলে সুযোগ পেয়েও মন খারাপ বাংলার পেসার মুকেশ কুমারের। বার বার তাঁর মনে পড়ছে প্রয়াত বাবার কথা। বাবা চিরকাল ভাবতেন, তিনি সফল হতে পারবেন না। বাবা বেঁচে থাকলে তাঁকে দেখাতে পারতেন, স্বপ্ন সফল হয়েছে তাঁর। জাতীয় দলে সুযোগ বাবাকে উৎসর্গ করেছেন এই ডান হাতি পেসার।
সংবাদ সংস্থাকে সাক্ষাৎকারে মুকেশ বলেছেন, “খুব আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছি। চোখের সামনে সব ঝাপসা হয়ে আসছে। বাংলার হয়ে রঞ্জি খেলার সময় বাবা বার বার বলতেন, পেশাদারি ক্রিকেটে হয়তো আমার পক্ষে ভাল কিছু করা সম্ভব নয়। ওঁর ধারণা ছিল, আমার অতটা দক্ষতা নেই। বাবা বেঁচে থাকলে বুঝতে পারতেন, আমার পরিশ্রম বিফলে যায়নি।”
২০১৯ সালে রঞ্জি ফাইনাল খেলার আগে বাবা কাশীনাথ সিংহ ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হন। তার আগে রোজ সকালে অনুশীলন করে বিকেলে হাসপাতালে যেতেন মুকেশ। বাবার বিছানার পাশে বসে থাকতেন। হাজার চেষ্টা সত্ত্বেও কাশীনাথকে বাঁচানো যায়নি। কিন্তু অবশেষে নিজের স্বপ্ন পূরণ করতে পেরে খুশি মুকেশ। বলেছেন, “খবরটা শুনে মায়ের চোখে জল। বাড়ির প্রত্যেকে আনন্দ কাঁদছে।”
গত মরসুমে লাল বলের ক্রিকেটে বাংলার হয়ে সবচেয়ে ধারাবাহিক ছিলেন মুকেশ। ভারত ‘এ’ দলের হয়েও দুর্দান্ত খেলেছেন। ইরানি কাপে অবশিষ্ট ভারতের হয়ে সুযোগ পেয়ে প্রথম বার নেমেই চার উইকেট তুলে নিয়েছেন। বল দু’দিকে ঘোরাতে পারার জন্য সুনাম রয়েছে মুকেশের। জাতীয় দলে আবেশ খান, মহম্মদ সিরাজ, দীপক চাহারদের সঙ্গে একই সাজঘরে থাকবেন তিনি। তাঁদের কাছ থেকে শিখে নিজের বোলিং আরও ধারাল করতে চাইছেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy