মহম্মদ শামি। ছবি: পিটিআই।
ক্রিকেটকে অনেকেই বলেন ব্যাটারদের খেলা। রবিবারের ম্যাচের সেরার পুরস্কার নির্বাচনের পর সেই প্রশ্ন আরও এক বার উঠতেই পারে। মহম্মদ শামি এবং যশপ্রীত বুমরা বল হাতে যে ভাবে ইংরেজদের ঘুম উড়িয়ে দিয়েছিলেন, তার পরেও ম্যাচের সেরা হলেন ব্যাটার রোহিত শর্মা।
প্রথমে ব্যাট করে হাতে মাত্র ২২৯ রান। এমন অবস্থায় ভারতের প্রয়োজন ছিল দ্রুত উইকেট। শামি সেটাই করলেন। চার উইকেট তুলে নিলেন। বেন স্টোকসকে যে ভাবে একের পর এক আউট সুইংয়ের পর ইন সুইংয়ে বোল্ড করলেন, তা যে কোনও পেসারের কাছেই স্বপ্নের মতো। সঠিক লাইন এবং লেংথ সেই সঙ্গে সিমের উপর বল রাখা, শামি এই মুহূর্তে যে কোনও বোলারের শিক্ষক হতে পারেন। ইংল্যান্ডের ব্যাটারেরা বুঝতেই পারছিলেন না কী ভাবে সামলাবেন। ৭ ওভারে ২২ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়েছেন শামি। স্টোকস ছাড়াও নিয়েছেন জনি বেয়ারস্টো, মইন আলি এবং আদিল রশিদের উইকেট। এঁদের মধ্যে মইন ছাড়া বাকিরা বোল্ড হন। মইন ক্যাচ দেন উইকেটরক্ষক লোকেশ রাহুলের হাতে।
শামির সঙ্গী ছিলেন যশপ্রীত বুমরা। তিনি নেন ৩ উইকেট। শামির সঙ্গে তাঁর জুটি বাকি দলের জন্য চিন্তার কারণ হয়ে উঠতে শুরু করেছে। পরে কোনও ম্যাচে দু’জন পেসার খেলালে সিরাজ নাকি শামি কাকে খেলানো হবে, সেই নিয়েও চিন্তায় পড়তে পারেন রোহিতেরা। কিন্তু তাঁদের বাদ দিয়ে সেরা হলেন রোহিত।
লখনউয়ে রবিবার রোহিত না থাকলে সত্যিই হয়তো ভারত ২২৯ রানে পৌঁছত না। ভারত অধিনায়কের করা এই ৮৭ রান শতরানের থেকেও দামি। কারণ উল্টো দিকে যখন একের পর এক উইকেট যাচ্ছে, তখন রোহিত দাঁড়িয়ে ছিলেন। অন্য দিনের মতো বিধ্বংসী নয়, সচেতন ইনিংস খেললেন তিনি। যদিও ধৈর্য ধরতে না পেরেই নিজের উইকেট দিয়ে আসেন রোহিত। কিন্তু ম্যাচের শেষে তিনি পেলেন সেরার পুরস্কার। দেখলেন চার উইকেট নেওয়া শামি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy