সূর্যকুমার যাদব। — ফাইল চিত্র।
রবিবার দেশের হয়ে প্রথম খেলতে নেমেছিলেন মায়াঙ্ক যাদব এবং নীতীশ রেড্ডি। দুই তরুণ ক্রিকেটার স্বাভাবিক ভাবেই বেশ চাপে ছিলেন। সেই চাপ কাটিয়ে দেন অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদবই। দুই ক্রিকেটারকে শান্ত রাখতে সাহায্য করেন। ম্যাচের পর সূর্যের প্রশংসা করেছেন মায়াঙ্ক এবং নীতীশ দু’জনেই।
২২ বছরের মায়াঙ্ক আইপিএলে চোট পাওয়ার পর প্রথম খেলতে নেমেছিলেন। চার ওভারে ২১ রানে এক উইকেট নিয়েছেন। দেড়শো কিলোমিটারের উপর বল করতে না পারলেও নিয়মিত ১৪০-এর কাঁটা পেরিয়েছেন। অন্য দিকে নীতীশ ফিল্ডিংয়ের সময় একটি সহজ ক্যাচ ফেলেছেন ঠিকই, তবে ভাল বল করেছেন। ব্যাট হাতে ১৫ বলে ১৬ রান করে অপরাজিত ছিলেন।
বোর্ডের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ভিডিয়োয় মায়াঙ্ক বলেছেন, “সূর্য আপনাকে স্বাধীনতা দেয়। আমি রান-আপ নেওয়ার সময় বার বার বলছিল, ‘তোমার যেটা সবচেয়ে ভাল মনে হবে সেটাই করো’। একজন জোরে বোলারের পক্ষে এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষত যখন আপনি অভিষেক ম্যাচে খেলতে নামেন।”
নীতীশ বলেছেন, “সূর্য খুবই শান্ত এবং ধীরস্থির। অসাধারণ অধিনায়কত্ব করছে। আমাদের কোনও চাপ দিচ্ছে না। আমরা দু’জনেই প্রথম খেললাম। চিন্তা এবং চাপ অবশ্যই ছিল। কিন্তু সূর্য আমাদের নিজেদের মতো খেলার অধিকার দিয়েছে। অধিনায়কের থেকে তরুণ ক্রিকেটারেরা সেটাই আশা করে।”
চোটের পর নিজের প্রত্যাবর্তন প্রসঙ্গে মায়াঙ্ক বলেছেন, “অসাধারণ একটা মুহূর্ত। চোট সারিয়ে ফেরা সহজ নয়। আমি নার্ভাস ছিলাম। বার বার নিজেকে বলছিলাম চাপে না পড়তে। প্রথম ম্যাচ খেলতে নামব এটা জানার পর চোখের সামনে গত চার মাসের স্মৃতি বার বার ফিরে এসেছে।”
মায়াঙ্কের সংযোজন, “খুব ভাল লেগেছে। জানতাম না প্রথম ওভারেই মেডেন হবে। সেই মুহূর্তটা উপভোগ করেছি। গত তিন বছর ধরে মর্নি মর্কেলের সঙ্গে কাজ করেছি। দু’জনেই একে অপরকে ভাল করে চিনি। তাই ওর সঙ্গে আবার কাজ করে খুব ভাল লেগেছে।”
অভিষেক নিয়ে খুশি নীতীশও। তাঁর কথায়, “দেশের যে কোনও ক্রিকেটারের কাছে অভিষেক গর্বের ব্যাপার। ভারতের হয়ে খেলা মানে স্বপ্ন সত্যি হওয়া। চিন্তা ছিলই। কিন্তু আমি সেটা উপভোগ করেছি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy