অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দল। ছবি: রয়টার্স।
কোনও ম্যাচে ‘কনকাশন পরিবর্ত’ এতটা প্রভাব ফেলতে পারেন, সেটা বৃহস্পতিবার মার্নাস লাবুশেনকে না দেখলে বোঝা যেত না। প্রথম একাদশে ছিলেনই না। ক্যামেরন গ্রিনের পরিবর্ত হিসাবে নেমে ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেলে দিলেন। তাঁর দাপটে অস্ট্রেলিয়া হারিয়ে দিল দক্ষিণ আফ্রিকাকে। ম্যাচের পর লাবুশেন জানিয়েছেন, প্রথম একাদশে না থাকা সত্ত্বেও তাঁর মায়ের বিশ্বাস ছিল যে এই ম্যাচে খেলবেন। তবে বিশ্বকাপের দলে সুযোগ পাওয়ার ব্যাপারে কোনও কথা বলেননি।
বৃহস্পতিবার দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ২২৩ রান তাড়া করতে নেমে এক সময় ৭৪ রানে পাঁচ উইকেট হারিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। তার আগেই কাগিসো রাবাডার বলে মাথায় আঘাত লেগেছিল গ্রিনের। ডাক্তার এসে পরীক্ষা করেন। গ্রিনের মাথা ফেটে রক্ত বেরোতে দেখা যায়। ঝুঁকি না নিয়ে সঙ্গে সঙ্গে কনকাশন পরিবর্ত হিসাবে লাবুশেনের নাম ঘোষণা করা হয়।
পঞ্চম উইকেট পড়ার পর লাবুশেন নামেন এবং ৯৩ বলে অপরাজিত ৮০ রানের ইনিংস খেলে দলকে জিতিয়ে দেন। ম্যাচের পর অসি ক্রিকেটার বলেছেন, “গোটা ম্যাচেই মা মাঠে ছিল। প্রথম একাদশে না থাকা সত্ত্বেও মা নিশ্চিত ছিল যে আমি এই ম্যাচে খেলব। আমি বলেছিলাম, ‘আমি দল দেখেছি মা। আমি সেখানে নেই।’ তখনও মা মানতে চায়নি। তবু আরও এক বার ঠিক প্রমাণিত হল।”
বিশ্বকাপের দলে রাখা হয়নি লাবুশেনকে। অসি ক্রিকেটারের মতে, খুব বেশি অবাক হননি তিনি। কারণ ইদানীং যে ভাবে এক দিনের ক্রিকেটে খেলছিলেন তাতে এই সিদ্ধান্ত অবাক করার মতো নয়। তিনি বলেছেন, “এক দিনের বিশ্বকাপ দলে সুযোগ না পেয়ে প্রচণ্ড হতাশ হয়েছিলাম। কিন্তু শেষ ১০-১২টা ম্যাচে ভাল খেলতে পারিনি। সেই সাহসটাই মনের মধ্যে ছিল না। তাই বাদ পড়ার পর অতটাও ঘাবড়ে যাইনি।”
কিন্তু সুযোগ পেলে যে নিজের সেরাটা দেবেন সেটাও শুনিয়ে রেখেছেন। বলেছেন, “অ্যাশেজ় থেকে ফেরার পর আমি এক দিনের ক্রিকেটে ভাল খেলার ব্যাপারে জোর দিয়েছিলাম। এখনও নিজেকে মিডল অর্ডারে প্রতিষ্ঠিত ব্যাটার হিসাবে তৈরি করতে চাই। সুযোগ এলে সেটা কাজে লাগাব।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy