শেষ ওভারে জিততে রাজস্থান রয়্যালসের দরকার ছিল ৯ রান। লখনউ সুপার জায়ান্টসের পেসার আবেশ খান মাত্র ৬ রান দেন। ২ রানে হারে লখনউ। আবেশের বলের জবাব ছিল না ব্যাটারদের কাছে। ম্যাচ শেষে আবেশ জানিয়েছেন, তিনি মিচেল স্টার্ক হতে চান না। তিনি চান আরও পরিণত আবেশ খান হতে।
গত দু’টি ম্যাচ একই পরিস্থিতিতে পড়তে হয়েছিল রাজস্থানকে। দিল্লি ক্যাপিটালস ও লখনউয়ের বিরুদ্ধে ৬ বলে ৯ রান করতে পারেনি তারা। দিল্লির হয়ে শেষ ওভার বল করেন স্টার্ক। ৮ রান দেন তিনি। খেলা গড়ায় সুপার ওভারে। সেখানে জেতে দিল্লি। আবেশ আরও ভাল বল করেছেন। সুপার ওভার পর্যন্ত খেলা গড়াতে দেননি তিনি। সেই কারণেই স্টার্কের সঙ্গে আবেশের তুলনা হচ্ছে। সেই তুলনা নিয়েই মুখ খুলেছেন তিনি।
রাজস্থানকে হারিয়ে আবেশ বলেন, “আমি মিচেল স্টার্ক হতে চাই না। আমি আরও পরিণত আবেশ খান হতে চাই। আমি নিজের পরিকল্পনা কাজে লাগাতে চাই। বল করার সময় স্কোরবোর্ডের দিকে তাকাই না। রাজস্থানের বিরুদ্ধে শেষ ওভারে আমার পরিকল্পনা ছিল, প্রথম তিন বলে বাউন্ডারি দেব না। সেটা করতে পেরে আত্মবিশ্বাস আরও বেড়ে যায়।”
শেষ বলে দরকার ছিল ৪ রান। রাজস্থানের শুভম দুবে সোজা মারেন। কিন্তু সেই বল হাত দিয়ে আটকে দেন আবেশ। তাঁর হাতে আঘাত লাগে। পরে দেখা যায়, হাতে আইসপ্যাক নিয়ে ঘুরছেন তিনি। আবেশ জানিয়েছেন, এত জোরে বল লেগেছিল যে তিনি ভেবেছিলেন হাত ভেঙে গিয়েছে। আবেশ বলেন, “হাত এখন ভাল আছে। কিন্তু তখন মনে হয়েছিল বোধহয় ভেঙে গিয়েছে। চোখের সামনে অন্ধকার দেখছিলাম। উল্লাস করারই সময় পাইনি।”
আরও পড়ুন:
রাজস্থানের বিরুদ্ধে ১৮ ও ২০তম ওভারে বল করেন আবেশ। ১৮তম ওভারে যশস্বী জয়সওয়াল ও রিয়ান পরাগকে আউট করেন তিনি। ২০তম ওভারে ফেরান শিমরন হেটমেয়ারকে। অর্থাৎ, যে তিন জনের উপর রাজস্থানের রান টেনে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব ছিল, সেই তিন ব্যাটারকেই ফেরান তিনি। ম্যাচে চার ওভারে ৩৭ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন আবেশ। এ বারের আইপিএলে সাতটি ম্যাচে আট উইকেট নিয়ে বেগনি টুপির তালিকায় রয়েছেন তিনি।
আবেশের বোলিংয়ের প্রশংসা করেছেন দলের ব্যাটার এডেন মার্করাম। তিনি বলেন, “আবেশ এই মুহূর্তগুলোর অপেক্ষাতেই থাকে। কঠিন পরিস্থিতি ছিল। ও করে দেখাল। আমি খুব খুশি। আবেশ চোট থেকে ফিরেছে। আশা করছি আগামী দিনে ও আরও ভাল বল করবে।”
রাজস্থানকে হারিয়ে আট ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে চার নম্বরে উঠে এসেছে লখনউ। এক ম্যাচ বেশি খেললেও প্রথম তিন দলের সমান পয়েন্ট তাদের। নেট রানরেটে পিছিয়ে রয়েছে তারা। গত বার প্লে-অফে উঠতে পারেনি লখনউ। এ বার সেই লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছেন আবেশরা।