টস জিতে ওভালের ২২ গজে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রোহিত। ছবি: আইসিসি।
টেস্ট বিশ্বকাপের জন্য দ্বিতীয় একটি পিচ তৈরি রেখেছে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল। ভারত-অস্ট্রেলিয়া ফাইনাল ভেস্তে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন ইংল্যান্ডের তেল আন্দোলনকারীরা। তাই সতর্কতা হিসাবে দ্বিতীয় পিচ প্রস্তুত রাখার পাশাপাশি ফাইনালের প্লেয়িং কন্ডিশনও পরিবর্তন করা হয়েছে।
ম্যাচ চলাকালীন পিচ এবং মাঠের ক্ষতি করার হুমকি দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। সে কথা মাথায় রেখে ওভালের নিরাপত্তা বৃদ্ধি করা হয়েছে। ভারত-অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট বিশ্বকাপ ফাইনাল সুষ্ঠু ভাবে শেষ করাই লক্ষ্য আইসিসির। তেমন পরিস্থিতি তৈরি হলে বিকল্প পিচে খেলা হবে। এ জন্য আইসিসির প্লেয়িং কন্ডিশনের ৬.৪ ধারা পরিবর্তন করা হয়েছে। এমনই জানিয়েছেন সংবাদ সংস্থা এএনআই। আইসিসির একটি সূত্র সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছে, প্রথম পিচের কোনও ক্ষতি হলে প্রথমে খতিয়ে দেখা হবে, তা খেলার উপযুক্ত রয়েছে কি না। উপযুক্ত থাকলে পিচ পরিবর্তন করা হবে না। প্রথম পিচেই খেলা হবে। যদি প্রথম পিচ খেলার উপযুক্ত না থাকে, তা হলে দ্বিতীয় পিচের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখা হবে। তার পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে সেই পিচে খেলা হবে কি না। এ ব্যাপারে দু’দলের অধিনায়ক রোহিত শর্মা এবং প্যাট কামিন্সের সম্মতি নিয়েছে আইসিসি। দুই অধিনায়কই আইসিসিকে জানিয়েছেন, তেমন পরিস্থিতি তৈরি হলে দ্বিতীয় পিচে তাঁরা খেলতে রাজি। তা-ও সম্ভব না হলে টেস্ট বিশ্বকাপ ফাইনাল পরিত্যক্ত বা বাতিল বলে ঘোষণা করা হবে।
তেমন পরিস্থিতি তৈরি হলে আইসিসির ৬.৪.১ ধারা অনুযায়ী মাঠের দুই আম্পায়ার প্রথম পিচের অবস্থা খতিয়ে দেখবেন। তাঁরা খেলা থামিয়ে বিষয়টি বিস্তারিত ভাবে জানাবেন ম্যাচ রেফারিকে। এর পর ৬.৪.৪ ধারা অনুযায়ী আম্পায়ারেরা দেখবেন প্রথম পিচ সারিয়ে তাতে খেলা চালিয়ে যাওয়া সম্ভব কি না। পিচ সারিয়ে খেলা চালানো হলে কোনও দল বাড়তি সুবিধা পাবে কি না, তা দেখার দায়িত্ব ম্যাচ রেফারির। তেমন হলেও পরিবর্তন করা হতে পারে পিচ। এই সমস্ত বিষয়ই ৬.৪.৭ ধারা অনুযায়ী দু’দলের অধিনায়ককে সঙ্গে জানানো হবে। একই সঙ্গে জানানো হবে স্টেডিয়াম কর্তৃপক্ষ এবং ওভালের কিউরেটরকে। দর্শকদের বিষয়টি জানানোর দায়িত্ব থাকবে স্টেডিয়াম কর্তৃপক্ষের উপর।
টেস্ট বিশ্বকাপ ফাইনালের জন্য প্রস্তুত রাখা ওভালের দ্বিতীয় পিচ কোনটি, তা নিরাপত্তার কারণে জানানো হয়নি। পিচটিকে এমন ভাবে রাখা হয়েছে, যাতে দেখে বোঝা না যায়। যাতে আন্দোলনকারীরা সহজে দ্বিতীয় পিচের ক্ষতি করতে না পারে। প্রয়োজনে ম্যাচ রেফারির নির্দেশ অনুযায়ী যুদ্ধকালীন তৎপরতায় দ্বিতীয় পিচটিকে খেলার জন্য প্রস্তুত করে দেবেন মাঠ কর্মীরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy