সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাকিব (ডান দিকে)। ছবি: ইনস্টাগ্রাম
গত বছর মিনি নিলামে তাঁকে কিনেছে কলকাতা নাইট রাইডার্স (কেকেআর)। প্রথম রাউন্ডে অবিক্রিত থাকলেও দ্বিতীয় রাউন্ডে ২০ লাখ টাকায় কেকেআরে যোগ দিয়েছেন তিনি। সেই সাকিব হুসেন জানিয়েছেন, রোজগারের পুরো টাকাই তিনি তুলে দেবেন পরিবারের হাতে। নিজের জন্য শুধু একটি জুতো কিনতে চান। এ ছাড়া ক্রিকেটের বিভিন্ন সরঞ্জাম কেনাও রয়েছে তাঁর তালিকায়।
এক সাক্ষাৎকারে সাকিব বলেছেন, “আইপিএলের পুরো টাকাটাই পরিবারের হাতে তুলে দেব। ওরা যা খুশি তাই করতে পারে। আমি শুধু বল করার নির্দিষ্ট জুতো এবং বেশ কিছু ক্রিকেটীয় সরঞ্জাম কিনব।” কেকেআরের হয়ে খেলবেন ভেবেই উত্তেজিত সাকিব। প্রথম একাদশে সুযোগ পাবেন কি না তা অবশ্য জানেন না। সাকিব বলেছেন, “আমার পছন্দের ক্রিকেটার এমএস ধোনি। কিন্তু কলকাতার হয়ে খেলব বলে শ্রেয়স আয়ার, রিঙ্কু সিংহকে বল করার জন্য মুখিয়ে আছি।”
বিহারের গোপালগঞ্জ জেলা থেকে উঠে এসেছেন সাকিব। বিহারের বিভিন্ন বয়সভিত্তিক দলে খেলার পর সিনিয়র দলের হয়েও নজর কেড়েছেন। তিনি বলেছেন, “ক্রিকেট খেলা শুরু করার পর কোনও দিন স্বপ্নেও ভাবিনি এমন দিন দেখতে পাব। নিলাম চলার সময় বাড়িতে বসে টিভিতে দেখছিলাম। প্রথম বার অবিক্রিত থাকার পর কোচ রবিন স্যরকে ফোন করে বলেও দিই, এ বার আরও বেশি পরিশ্রম করতে হবে। কিন্তু দ্বিতীয় রাউন্ডেই বিক্রি হয়ে যাই। সবাই খুশিতে ফেটে পড়েছিল তখন।”
টেনিস বল ক্রিকেটে খেলা শুরু করেছিলেন। প্রচণ্ড গতিতে বল করার জন্য চোখে পড়ে যান কোচ রবিনের। তিনিই সাকিবকে পটনায় নিয়ে যান। তাঁর জহুরির চোখ বুঝে গিয়েছিল হিরে খুঁজে পেয়েছেন। এর পর সাকিবকে তিনি খেলান বিহার ক্রিকেট লিগে। জেলা স্তরের হয়ে না খেলেই বিহারের অনূর্ধ্ব-১৯ দলে ঢুকে পড়েন সাকিব। ধারাবাহিক ভাবে উইকেট পাওয়া শুরু করেন তিনি। বিহারের হয়ে কুচবিহার ট্রফিতে ভাল বল করেন। জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে বিশেষ প্রশিক্ষণ নিয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy