চার উইকেট রাবাডার। মঙ্গলবার।
ধৈর্যের পরীক্ষায় বিরাট কোহলির বিরুদ্ধে জয় তাঁকে দিয়েছে তৃপ্তি। কেপ টাউনে তৃতীয় টেস্টের প্রথম দিনের শেষে জানালেন কাগিসো রাবাডা। জীবনের পঞ্চাশতম টেস্ট ম্যাচে খেলতে নেমে তাঁর দিনের শেষে বোলিং পরিসংখ্যান ২২-৪-৭৩-৪।
মঙ্গলবারের লড়াই মূলত ছিল বিরাট কোহলি বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা বোলিংয়ের। চোট সারিয়ে ফেরা ভারত অধিনায়কের অনমনীয় মনোভাবের কাছে হার মানতে হয়েছে লুনগি এনগিডি, মার্কো জানসেনদের। শেষ পর্যন্ত কোহলিকে পরাস্ত করেন রাবাডা। সাংবাদিক সম্মেলনে এসে তিনি বলে যান, “বিরাটের বিরুদ্ধে আমাদের একটা স্পষ্ট পরিকল্পনা ছিল। ঠিক লাইন ও লেংথ বজায় রেখে আউটসুইংয়ে কাবু করতে হবে বিরাটকে। কিন্তু এ দিন ও অসম্ভব ধৈর্য নিয়ে ব্যাট করেছে। প্রত্যেকটি বলকে দেখে ছেড়ে দিয়েছে। এত ভাল ব্যাটিং সত্যিই দেখা যায় না। শেষ পর্যন্ত বিরাটকে ফিরিয়ে ভাল লেগেছে।”
জোহানেসবার্গের মতো সিরিজ়ের শেষ টেস্টেও ভারতীয় ব্যাটিং ফের ভেঙে পড়ে গতি এবং বাউন্সের কাছে। রাবাডা মনে করছেন, প্রথম দিনেই কম রানে কোহলির দলের প্রথম ইনিংস শেষ করে দেওয়ায় ম্যাচের ফয়সালা হবেই। তিনি বলেছেন, “ম্যাচটা এমন একটা জায়গায় এখন দাঁড়িয়ে রয়েছে যেখানে অনেককিছু হতে পারে। টসে জিতলে আমাদেরও হয়তো ভাল হত তবে ভারতকে ২২৩ রানে শেষ করে দেওয়াও দারুণ প্রাপ্তি। এ বার আমাদের ব্যাটারদের ভাল কিছু করে দেখাতে হবে।”
তাঁর সঙ্গেই তিন উইকেট তুলে নিয়েছেন মার্কো জানসেন। যা নিয়ে উৎফুল্ল রাবাডা। তিনি বলেছেন, “এই দলের সবচেয়ে বড় শক্তি, দ্রুত সকলে ভুল শুধরে নিজেদের তৈরি করে ফেলতে পারে। খেলা চলার সঙ্গেই আমরা অনেক কিছু শেখার কায়দাটা রপ্ত করতে পেরেছি। আমি মনে করি, তা খুব লাভদায়ক হবে ভবিষ্যতে।” কেপ টাউনের উইকেট নিয়ে ডিন এলগারের দলের অন্যতম তারকা বলেছেন, “এটাকে যথার্থ টেস্ট উইকেট বলা যেতে পারে। পিচ এখনও সতেজ। বুধবার তার চরিত্রে খুব পরিবর্তন হবে বলে মনে হয় না। সেটা মাথায় রেখে আমাদের দলের ব্যাটারদের ভাল কিছু করে দেখাতে হবে।”
নিজের ৫০তম টেস্ট ম্যাচে বিরাট কোহলির উইকেট পাওয়া কতটা আনন্দের? রাবাডা বলেছেন, “সেই অর্থে নিখুঁত দিন হয়তো বলা যাবে না। জীবনে নিখুঁত দিন খুব কমই আসে। মোটের উপরে দিনটা ভাল গিয়েছে, সেটা বলতে পারি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy