এখনও প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে ফেরার অনুমতি পাননি বুমরা। ফাইল ছবি।
কবে ক্রিকেটে ফিরবেন যশপ্রীত বুমরা? এখনও নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। আশা করা হচ্ছে, মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে তিনি আইপিএলে খেলতে পারবেন। যদিও তাঁর মাঠে নামা নির্ভর করছে জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমির অনুমতির উপর।
চোট সারানোর জন্য বেঙ্গালুরুর জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে রয়েছেন বুমরা। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের চিকিৎসকরা তাঁর দেখভাল করছেন। তাঁদের পরামর্শ মতোই চলছেন। এর মধ্যে একাধিক বার বুমরাকে জাতীয় দলে ডাকা হলেও শেষ পর্যন্ত তাঁকে খেলার অনুমতি দেয়নি এনসিএ। ফলে বার বার পিছিয়ে গিয়েছে তাঁর মাঠে ফেরার সময়। এখনও বুমরাকে নিয়ে হঠকারী সিদ্ধান্ত নিতে রাজি নন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের কর্তারা।
গত বছর সেপ্টেম্বরের পর আর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দেখা যায়নি দেশের অন্যতম সেরা জোরে বোলারকে। অনেকে মনে করেছিলেন অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টেস্ট বা এক দিনের সিরিজ়ে খেলতে পারেন তিনি। কিন্তু তাঁর খেলার ব্যাপারে সম্মতি দেয়নি এনসিএ। ভারতীয় বোর্ড সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১০ দিনে জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে কয়েকটি অনুশীলন ম্যাচ খেলেছেন বুমরা। যদিও এখনও তাঁকে প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ খেলার অনুমতি দেওয়া হয়নি। তাঁকে পর্যবেক্ষণে রেখেছেন এনসিএর চিকিৎসকরা। তাঁর সুস্থতা নিয়ে প্রায় প্রতি দিন রিপোর্ট পাঠানো হচ্ছে বোর্ড কর্তাদের কাছে। প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে ফিরলেও এখনই বুমরার উপর বেশি চাপ পড়ুক, চান না বোর্ডের চিকিৎসকরা। দিনে তিনি কতটা পরিশ্রম করবেন তা নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। বোর্ড কর্তারাও চান এখন বুমরাকে খুব বেশি চাপ না দিতে।
আগামী অক্টোবরে রয়েছে এক দিনের বিশ্বকাপ। তার আগে জুনে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল খেলতে পারেন রোহিত শর্মারা। এই দুই প্রতিযোগিতায় বুমরাকে সম্পূর্ণ সুস্থ অবস্থায় পেতে চান বোর্ড কর্তারা। তাই মুম্বইয়ের হয়ে আইপিএল খেললেও রাশ নিজেদের হাতে রাখতে চায় বোর্ড। বুমরা কোন কোন ম্যাচ খেলবেন, একটি ম্যাচে তিনি কতটা এবং কী রকম পরিশ্রম করতে পারবেন— এই সব কিছু ঠিক করে দিতে পারেন এনসিএর বিশেষজ্ঞরা। সেই মতো চলতে হবে বুমরা এবং মুম্বই ইন্ডিয়ান্স কর্তৃপক্ষকে। যদিও খেয়াল রাখা হবে যাতে পাঁচ বারের আইপিএল চ্যাম্পিয়নদের স্বার্থ অক্ষুণ্ণ থাকে।
কয়েক দিন আগে একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের গোপন ক্যামেরায় বুমরাকে নিয়ে প্রাক্তন প্রধান নির্বাচক চেতন শর্মার বিস্ফোরক দাবি প্রকাশ্যে এসেছে। চেতনের দাবির সত্যতা সম্পর্কে কোনও পক্ষই আর মুখ খোলেনি। চেতনের দাবি অনুযায়ী, পিঠের চোট সম্পূর্ণ না সারিয়েই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে দেশের মাটিতে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে খেলেছিলেন বুমরা। ব্যথা কমানোর জন্য ইঞ্জেকশন নিয়েছিলেন। তাতে বুমরার চোট আরও বেড়ে গিয়েছে। চেতনের দাবির বা টেলিভিশন চ্যানেলের সম্প্রচারিত ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন। তবু বোর্ড বুমরাকে নিয়ে যে ভাবে সাবধানে এগোতে চাইছে, তাতে আন্দাজ করা যায় তাঁর চোট যথেষ্টই গুরুতর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy