শিরোনামে: আচমকাই ঋদ্ধির ক্রিকেট-ভবিষ্যৎ নিয়ে ওঠা প্রশ্নের উত্তর এখনও পরিষ্কার নয়। টুইটার
তাঁর ক্রিকেট আকাশে ভিড় করা কালো মেঘ নিয়ে বাংলা তথা সারা ভারতে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। সেই বিতর্কে মুখ খুললেন ঋদ্ধিমান সাহা। জানিয়ে দিলেন, দল ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত তিনি দলের অভ্যন্তরে হওয়া কোনও কথা নিয়ে মন্তব্য করতে চান না। ঋদ্ধি বলছেন, ‘‘দলে কে থাকবে না থাকবে, সেটা নির্বাচকদের ব্যাপার। আমি আগাম এ সব নিয়ে কিছু বলতে পারি না।’’ যোগ করছেন, ‘‘প্রত্যেক বার দল নির্বাচনের পরেই আমি প্রস্তুতি নিতে শুরু করি। এ বারও সে রকমই পরিকল্পনা রয়েছে।’’
ঋদ্ধিকে নিয়ে মঙ্গলবারই খবর ছড়িয়ে পড়ে যে, তাঁকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে ভবিষ্যতের রাস্তায় তাঁর কথা আর ভাবা হচ্ছে না। যার অর্থ, তাঁর টেস্ট জীবনই কার্যত থেমে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। তা হলে সেই খবরের কি সত্যতা নেই? ঋদ্ধিমান স্বীকার, অস্বীকার কিছুই করেননি। তবে তিনি বলেছেন, ‘‘যারা এই বিষয়টি বলেছে, তারা বলতে পারবে কোথা থেকে জেনেছে।’’ তা হলে নিজেকে রঞ্জি ট্রফি খেলা থেকে সরিয়ে নিলেন কেন? ঋদ্ধির বক্তব্য, ‘‘আমার রঞ্জিতে না খেলতে চাওয়ার সঙ্গে এর কোনও সম্পর্ক নেই। একেবারে ব্যক্তিগত কারণে আমি রঞ্জি ট্রফি খেলছি না।’’
এই বিবৃতি পড়ে যা-ই মনে হোক না কেন, ঋদ্ধির কাছে যে বার্তা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে, তা নিয়ে খুব একটা সন্দেহ নেই। দল পরিচালন সমিতি মনে করছে, দ্বিতীয় উইকেটকিপার হিসেবে দক্ষিণের কে এস ভরতের কথাই ভাবা হবে। ৩৭ বছরের ঋদ্ধিকে তাই রাহুল দ্রাবিড়েরা ‘প্রাক্তন’ করে দিতে চান। শোনা যাচ্ছে, চেতন শর্মাদের জাতীয় নির্বাচকমণ্ডলীও এ ব্যাপারে সহমত হয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে, ঋদ্ধিকে এই কথাটা যদি দল পরিচালন সমিতি বলে থাকে, এক্তিয়ার বহির্ভূত ভাবে বলল কি না?
যিনিই বার্তা পৌঁছে দিয়ে থাকুন না কেন, ঋদ্ধিমান সাহার সামনে ভারতীয় টেস্ট দলের দরজা কার্যত বন্ধই হয়ে যাচ্ছে। সঙ্গে ক্রমশ তৈরি হচ্ছে এই সম্ভাবনা যে, সাদা পোশাকে তিনি এ বার অবসরের পথে কি না। ঋদ্ধি বাংলার হয়ে রঞ্জি না খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। যার অর্থ, তাঁর সামনে পড়ে রয়েছে শুধু আইপিএল। সেখানে যদি জায়গা করতে পারেন, ভাল। না হলে দেশের মাঠে নিউজ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধেই শেষ টেস্ট খেলে ফেলেছেন কি না, সেই প্রশ্ন উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। এক বছর পরে তিনি ফের রঞ্জি খেলতে নামবেন, এমন সম্ভাবনা দূরতম কল্পনাতেও কেউ দেখছে না।
সিএবি কর্তারা যে ঋদ্ধি নিয়ে আশ্চর্যজনক রকম নীরব, তা বঙ্গ ক্রিকেটের জন্য কোনও ভাল বিজ্ঞাপন নয়। বুধবার সারাদিনে সিএবি সচিব স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়কে এ নিয়ে কোনও কথা বলতে শোনা যায়নি। না আছে কোনও বিবৃতি, না আছে কোনও কোনও প্রতিবাদ। ফোন, মেসেজে যোগাযোগ করার চেষ্টা হলেও সাড়া পাওয়া যায়নি সিএবি সচিবের দিক থেকে। সিএবি প্রেসিডেন্ট অভিষেক ডালমিয়ার বক্তব্যও খুব দায়সারা। অভিষেক বলেছেন, ‘‘এখনও পর্যন্ত এটি একটি মিডিয়া রিপোর্ট। জানি না, ঋদ্ধিকে ঠিক কী বলা হয়েছে। সব কিছু জেনেবুঝে তবেই
মন্তব্য করব।’’
পাল্টা প্রশ্ন হল, ঋদ্ধি তা হলে রঞ্জি খেললেন না কেন এবং সিএবি কর্তাদের কাছে না-খেলার কারণ হিসেবে কী বললেন? আবার এটাও শোনা যাচ্ছে যে, সিএবি নাকি খুব প্রসন্ন নয় ঋদ্ধির রঞ্জি না খেলতে চাওয়া নিয়ে। কারও কারও প্রশ্ন, ভারতীয় দলের দরজা যদি সাময়িক ভাবে বন্ধও হয়ে গিয়ে থাকে, তার জন্য রাজ্য দলের হয়ে খেলব না কেন? অনেক খেলোয়াড়কেই এমন পরীক্ষার মুখে পড়তে হয়। ঘরোয়া ক্রিকেটে নিজেদের প্রমাণ করে তাঁরা ফিরে এসেছেন। ঋদ্ধি সেই পথ নিলেন না কেন?
শোনা গিয়েছে, ঋদ্ধি ভারতীয় দল পরিচালন সমিতি এবং নির্বাচকদের সিদ্ধান্তে মর্মাহত। মুখে তিনি যে রকমই বিবৃতি দিন না কেন। ভিতরে-ভিতরে রঞ্জি খেলে ফিরে আসার তাগিদ এই মুহুর্তে খুঁজে পাচ্ছেন না। সিএবি কর্তাদের সম্ভবত সে রকমই কিছু জানিয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy