উদ্বেগ: মাথায় চোট পাওয়ার পরে শুশ্রূষা চলছে ঈশানের। টুইটার
লাহিরু কুমারের বাউন্সারে মাথায় আঘাত পেয়ে মাটিতে বসে পড়েছিলেন ঈশান কিশান। তার পরে বেশিক্ষণ ব্যাটও করতে পারেননি। কুমারের বলেই মিড-অনে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান ভারতীয় ওপেনার ১৪ বলে ১৬ রান করে। ম্যাচ শেষে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তিনি কাংড়ার হাসপাতালেই আছেন। তাঁর কয়েকটি পরীক্ষাও করেছেন চিকিৎসকেরা।
ভারতীয় ওপেনারের সিটি স্ক্যান হয়েছে। আপাতত তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল। ভারতীয় বোর্ডের পক্ষ থেকে সরকারি কোনও বিবৃতি এখনও দেওয়া হয়নি। তবে গণমাধ্যমে ঈশান কিশানকে নিয়ে শুরু হয়েছে চর্চা। ক্রিকেট সমর্থকেরা তাঁর আরোগ্য কামনা করছেন। প্রার্থনা করছেন ভারতীয় ওপেনার যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে ফিরে আসেন। আজ, রবিবার তৃতীয় টি-টোয়েন্টি। সে ম্যাচে ঈশান খেলবেন কি না, তা সময়ই বলবে।
ঈশান এ দিন বড় রান না পেলেও শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে টানা দু’ম্যাচে হাফসেঞ্চুরি করলেন শ্রেয়স আয়ার। ম্যাচের সেরাও বেছে নেওয়া হল তাঁকেই। শনিবার ধর্মশালায় ৪৪ বলে ৭৪ রানে অপরাজিত থাকলেন ম্যাচের নায়ক। কিন্তু শ্রেয়স জানিয়ে দিয়েছেন দু’উইকেট পড়ার পরে সঞ্জু স্যামসনের সঙ্গে ৮৪ রানের জুটিই ম্যাচে পার্থক্য গড়ে দিয়েছে।
ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে এসে শ্রেয়স বললেন, ‘‘শুরুর দিকে বল সুইং করছিল। পিচে পড়েও নড়াচড়া করছিল। ঈশান শুরুটা ভালই করেছিল। কিন্তু ও আউট হওয়ার পরে সঞ্জুর ব্যাটিং আমার মনোবল বাড়িয়েছে। ওর সঙ্গে জুটি গড়তে পেরেই দলকে জয়ের পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে পেরেছি।’’ যোগ করেন, ‘‘শেষের দিকে জাড্ডু এসে বিধ্বংসী ইনিংস খেলে গেল। আরও একটি সিরিজ় জিততে পেরে
আমি খুশি।’’
শ্রেয়সের কাছে জানতে চাওয়া হয়, স্পিনারদের বিরুদ্ধে কী করে এত সহজে ক্রিজ় ব্যবহার করেন তিনি? তাঁর উত্তর, ‘‘বুঝতে পেরেছিলাম বল ঘুরবে না। তাই স্টেপ আউট করে মারতে শুরু করি। বাউন্ডারি ছোট। যদি শট নেওয়ার সময় সময়ে ভুল করতাম, বাউন্ডারির বাইরে বল যেতই। ভয় পাওয়ার কারণই ছিল না।’’
ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মাও মুগ্ধ মাঝের সারির ব্যাটারদের পারফরম্যান্সে। বললেন, ‘‘অসাধারণ ইনিংস খেলে গেল শ্রেয়স। জাড্ডুও দারুণ শেষ করল। এর চেয়ে বেশি আর কী আশা করা যায়!’’ যোগ করেন, ‘‘আমাদের দলে প্রতিভার অভাব নেই। প্রত্যেকেই সুযোগ পাবে নিজেদের মেলে ধরার। সঞ্জু আজ বুঝিয়ে দিয়েছে ওর টাইমিং ঠিক হলে কী করে দিতে পারে। মুহূর্তের মধ্যে ম্যাচ বদলে দিয়ে চলে গেল। সুযোগের সদ্ব্যবহার এই ইনিংসকেই বলে।’’ তিনি আরও বলেছেন, ‘‘ওর মতোই আরও অনেকে আছে যারা সুযোগের অপেক্ষায় বসে আছে। প্রত্যেককে সুযোগ দেওয়া হবে।’’ সঞ্জুও বুঝতে পেরেছিলেন, এই পিচে ১৮৪ রান খুব একটা কঠিন নয়। বললেন, ‘‘ব্যাটে বল লাগতে শুরু করার পরেই বুঝে গিয়েছিলাম, এই ম্যাচ সহজেই জিতব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy