যশপ্রীত বুমরা। ছবি: পিটিআই।
ব্রিসবেন টেস্টের দ্বিতীয় দিন সম্প্রচারকারী চ্যানেলে বিতর্কিত মন্তব্য করে বসলেন ইংল্যান্ডের প্রাক্তন মহিলা ক্রিকেটার ইশা গুহ। রবিবার অস্ট্রেলিয়ার দুই ওপেনারকেই ফেরান ভারতীয় জোরে বোলার যশপ্রীত বুমরা। তখনই কথায় কথায় ইশা বলেন, “হ্যাঁ, ও তো এমভিপি। তাই না? মোস্ট ভ্যালুয়েবল প্রাইমেট, যশপ্রীত বুমরা।”
ধারাভাষ্যকার হিসেবে তখন ছিলেন অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন জোরে বোলার ব্রেট লি। তিনি মন্তব্য করেন, ‘‘বিশ্বের সেরা বোলারের থেকে তো এ রকম বোলিংই আশা করা উচিত। তা ছাড়া বুমরা তো প্রাক্তন অধিনায়কও। প্রথম টেস্টে নেতৃত্বও দিয়েছে।’’
তখনই ইশা ওই মন্তব্য করেন। প্রসঙ্গত ‘প্রাইমেট’ শব্দটির অর্থ আদিম বাঁদর প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণী। কেন তিনি এমন কথা বললেন, তার কোনও কিন্তু ব্যাখ্যা করেননি প্রাক্তন ইংল্যান্ড মহিলা ক্রিকেটার। প্রসঙ্গত ২০০৮ সালে সিডনিতে অস্ট্রেলীয় অলরাউন্ডার অ্যান্ড্রু সাইমন্ডসের অভিযোগ ছিল হরভজন সিংহ নাকি তাঁকে ‘মাঙ্কি’ বলেছেন। ইশা আবারও যেন সেই বিতর্কও ফিরিয়ে আনলেন। প্রাক্তন ইংল্যান্ড ক্রিকেটারের মন্তব্য নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে।
রবিবার গ্যাবা টেস্টে পাঁচ উইকেট নিয়েছেন বুমরা। ভারতীয় তারকার বোলিং দেখে মুগ্ধ হরভজন সিংহ জানিয়েছেন, বিজ্ঞান যেখানে হার মানে, বুমরার কাজ সেই জায়গা থেকে শুরু হয়। তিনি নিজেই বিজ্ঞান।
গ্যাবা টেস্টের প্রথম ইনিংসে বুমরার বোলিং পরিসংখ্যান এখনও পর্যন্ত ২৫-৭-৭২-৫। সেই বিষয়ে প্রাক্তন অফস্পিনার পুরনো প্রসঙ্গ টেনে আনেন। প্রসঙ্গত পাকিস্তানের প্রাক্তন ক্রিকেটার সাইদ আজ়মল একবার সাক্ষাৎকার নিয়েছিলেন উসমান খোয়াজ়ার। সেই প্রসঙ্গ টেনে হরভজন বলেন, ‘‘আমি খোয়াজার সঙ্গে আজ়মলের একটা সাক্ষাৎকার দেখেছিলাম। যেখানে বলা হয়েছিল, বিজ্ঞানই মানুষ।’’
প্রসঙ্গত সেই সাক্ষাৎকারে আজ়মল খোয়াজ়াকে প্রশ্ন করেন, ‘‘কোনও তরুণ কি কনুই ১৫ ডিগ্রি মধ্যে রেখে দুসরা দিতে পারে?’’ তাতে খোয়াজার জবাব ছিল, ‘‘মানুষ পারে না এমন কিছু নেই। বিজ্ঞান শুধু বলে দিতে পারে, কী ভাবে কী করতে হবে। কিন্তু মানুষ সবকিছু করতে পারে। মানুষই বিজ্ঞান।’’
সম্প্রচারকারী চ্যানেলে হরভজন সেই মন্তব্য টেনে এনে যোগ করেন, ‘‘বুমরা নিজেই একজন বড় বিজ্ঞানী। যেখানে বিজ্ঞান ব্যর্থ হয়, সেখানেই বুমরার কাজ শুরু হয়। ও জানে, কোথায় বলটা রাখতে হবে। এটা একটা শিল্প।’’ আরও যোগ করেন, ‘‘বুমরাকে কী ভাবে খেলতে হবে তা জানে না খোয়াজা। বুমরা ব্যতিক্রমী। বিস্ময়কর। পরিংসখ্যানই প্রমাণ করে ও কত বড় বোলার।’’
বুমরা যে ভাবে ফিল্ডিং সাজিয়ে নাথান ম্যাকসুইনিকে ফেরান, তারও উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন ভাজ্জি। প্রসঙ্গত ৪৯ বল খেলে মাত্র ৯ রান করেন অস্ট্রেলিয়ার তরুণ ওপেনার। ৪৫ বলে ২১ রান করা খোয়াজ়াকে শট খেলতে বাধ্য করেন। যা সোজা চলে যায় ঋষভ পন্থের গ্লাভসে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy