বাংলাদেশ বোর্ড অসহযোগিতা করলে ভবিষ্যতে শাকিবরা আইপিএলে হয়তো কোনও দলই পাবেন না। — ফাইল চিত্র
আইপিএলে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের খেলা নিয়ে কড়া অবস্থান নিয়েছে সে দেশের বোর্ড। দেশের আগে আইপিএল নয়, এ কথা স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। ভারতীয় বোর্ডও চুপ করে বসে থাকতে চায় না। তারাও পাল্টা কড়া অবস্থান নিতে চলেছে। শাকিবদের ‘ছায়া নির্বাসন’ করা হবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বোর্ডের অন্দরে। এ বারের আইপিএলে বাংলাদেশের শাকিব আল হাসান, লিটন দাস এবং মুস্তাফিজুর রহমান খেলছেন।
কী এই ছায়া নির্বাসন?
জানা গিয়েছে, কোনও বোর্ড যদি আইপিএল খেলার জন্যে নিজেদের ক্রিকেটারদের না ছাড়ে বা দেরি করে ছাড়ে, তা হলে ভবিষ্যতে সেই দেশের ক্রিকেটারদের হয়তো আইপিএলে খেলতে দেখা যাবে না। অর্থাৎ, বাংলাদেশ বোর্ড এ ভাবে অসহযোগিতা করলে ভবিষ্যতে শাকিবরা আইপিএলে হয়তো কোনও দলই পাবেন না। সেই দেশের ক্রিকেটারদের অগ্রাহ্য করা হবে নিলামের সময়।
আইপিএলের এক ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিক এক ওয়েবসাইটে বলেছেন, “আমাদের অভিযোগ করার কোনও জায়গা নেই। কারণ ক্রিকেটারদের ব্যাপারে বিসিসিআই বাকি বোর্ডগুলির সঙ্গে সমঝোতা করে। কিন্তু পরের দিকে নির্দিষ্ট কিছু দেশের ক্রিকেটার নেওয়া ব্যাপারে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলি সতর্ক হয়ে যাবে। এর আগে তাসকিন আহমেদও এনওসি (নো অবজেকশন সার্টিফিকেট) পায়নি। এখন শাকিবদের ক্ষেত্রেও একই জিনিস। যদি ওরা ক্রিকেটারদের আইপিএলে খেলতে দিতেই না চায়, তা হলে নথিভুক্ত করারই দরকার নেই। তবে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের নিয়ে ধারণা যে বদলাবে এ ব্যাপারে আমরা নিশ্চিত।”
শুধু বাংলাদেশ নয়, একই জিনিস দেখা যেতে পারে শ্রীলঙ্কার ক্ষেত্রেও। এ বারের আইপিএলে শ্রীলঙ্কার চার ক্রিকেটার রয়েছেন। নিউ জ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে সিরিজ় থাকায় প্রথম সপ্তাহে তাঁরা খেলতে পারবেন না। অতীতে ইংল্যান্ড বোর্ডও সে দেশের ক্রিকেটারদের এনওসি দেয়নি।
শুক্রবার বাংলাদেশের বোর্ডের সভাপতি নাজমুল বলেন, ‘‘আইপিএলের জন্য ক্রিকেটারদের কবে ছাড়া হবে, এই প্রশ্ন আমাকে বার বার করা হচ্ছে। আমার উত্তর একটাই। আইপিএলের নিলামের আগে সংশ্লিষ্ট কর্তারা আমার কাছে জানতে চেয়েছিলেন, কবে থেকে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের পাওয়া যাবে। আমি বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক সূচি পাঠিয়ে দিয়েছিলাম। তার ভিত্তিতেই নিলামে আমাদের ক্রিকেটারদের নাম রাখা হয়েছিল। এখন অন্য কিছু হওয়ার সুযোগ নেই।’’
বিসিবি সভাপতি আরও বলেছেন, ‘‘বাংলাদেশের খেলা চলাকালীন শাকিব, লিটন, মুস্তাফিজুরদের জন্য কিছু করা কঠিন। আমার কাছে কোনও বিকল্প উপায় নেই। অনুমতিপত্র দেওয়া হবে, এমন কিছু কখনও বলা হয়নি। এর পরেও এত সংশয়ের কী রয়েছে? বিষয়টা কি পরিষ্কার হচ্ছে না!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy