ঋষভ পন্থ। ফাইল ছবি।
২০১৭ সালে বাবা রাজেন্দ্র পন্থকে হারিয়েছেন ঋষভ পন্থ। ২০২১ সালে প্রয়াত হয়েছেন ঋষভের ছোটবেলার কোচ তারক সিন্হা। দিল্লি ক্যাপিটালস অধিনায়কের ক্রিকেট জীবনে এঁদের দু’জনের অবদান সব থেকে বেশি।
ঋষভের বাবার মৃত্যুর খবর পান সে বছরের আইপিএল চলার সময়ই। খবর পেয়েই রুরকির বাড়িতে গিয়েছিলেন ঋষভ। বাবাকে শেষ বার দেখে আবার যোগ দেন আইপিএল ফ্র্যাঞ্জাইজিতে। এখন জীবন বদলেছে। ভারতীয় দলে জায়গা পাকা হয়েছে। আইপিএলে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। জীবন বদলালেও অতীত ভোলেননি ঋষভ। আইপিএলে ব্যস্ত থাকলেও প্রয়াত বাবা এবং কোচের কথা মনে পড়ছে ঋষভের। বাবাকে একটি আবেগঘন চিঠি লিখেছেন ঋষভ। যা নেট মাধ্যমে দিয়েছেন দিল্লির অধিনায়ক।
বাবার মৃত্যুর দিনের কথা বলতে গিয়ে ঋষভ বলেছেন, ‘‘আমি চেয়েছিলাম বাড়িতে ফিরে এক বার বাবাকে দেখতে। বাবার অভাব ভীষণ অনুভব করি আমি। বাবা যখন আমাকে ছেড়ে চলে যান সে সময় ক্রিকেট খেলছিলাম। তারক স্যরও আমার কাছে বাবার মতোই ছিলেন। উনিও যখন আমাদের ছেড়ে চলে যান সে সময়ও আমি ক্রিকেট খেলছিলাম। অথচ ওঁরাই আমাকে আজকের জায়গায় পৌঁছে দিয়েছেন।’’
দীর্ঘ দিন ক্যান্সারে ভুগে প্রয়াত হন তারক সিন্হা। ঋষভ বলেছেন, ‘‘সে সময় তারক স্যরের যা যা প্রয়োজন ছিল, সব দেওয়ার চেষ্টা করেছি। শেষ অবস্থাতেও উনি শুধু বলতেন, ‘আমার জীবনে যাই ঘটুক তাতে আমার কিছু যায় আসে না। তোমাকে ভাল ক্রিকেট খেলে যেতে হবে। তোমাকে তোমার পরিবারকে দেখতে হবে। সেটা যাতে পার আমি সেই চেষ্টাই করেছি এত দিন ধরে।’’ ২৪ বছরের উইকেটরক্ষক-ব্যাটার বলেছেন, বাবা এবং ছোটবেলার কোচের অভাব তাঁর জীবনে পূরণ হওয়ার নয়। পৃথিবীর কাউকেই তিনি এই দু’জনের জায়গায় বসাতে পারবেন না।
বাবা এবং কোচের কথা বলতে বলতে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন ঋষভ। তিনি বলেছেন, ‘‘বাবা এবং তারক স্যরের তৈরি করে যাওয়া শূন্যতা কেউ পূরণ করতে পারবে না, যতই সবাই আমাকে ঘিরে রাখুক। মায়ের সঙ্গে মাঝে মধ্যে সমস্যা নিয়ে আলোচনা করি। আমার পরিধি খুব ছোট। সকলেরই একটা নিজস্ব পরিসর থাকে। বন্ধু এবং পরিবারের সদস্য, সকলের জন্য আমার জীবনে পৃথক জায়গা রয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy